নতুন কবুতর কিনে বাসায় নিয়ে আসার ৫/ ৭ দিন পরে কবুতর অসুস্থ হয়ে যায়। প্রায় সময়ই এমন কিছু অভিযোগ শেনা য়ায়। এই বিষয়টি নিয়ে প্রায় সময়ই বড় ধরনের তর্ক বিতর্ক অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু তথ্য ও পরামর্শ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
কবুতর পালকদের মধ্যে একেক জন একেক রকমের ব্যবস্থাপনায় খামার পরিচালনা করেন। যার জন্য একেক জনের কবুতরের শারীরিক ফিটনেস ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে,খাবারের উপাদান ও রুটিন টাইম এর পার্থক্য থাকে। এছাড়াও যে সমস্যা গুলো দেখা দেয় তা হলো খামার পরিবর্তন, পরিবেশগত পরিবর্তন, খাবারের রুটিন টাইম এর পরিবর্তন, বেশী কবুতর থেকে আলাদা হয়ে নির্জন জায়গায় একাকীত্ব অথবা অপরিচিত কবুতরের সংস্পর্শে আসায় মেন্টালি প্রেসার যা কবুতরকে শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক ভাবে বিপর্যস্ত করে। যার প্রভাবে কবুতর শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ।
আরও যে সমস্যা গুলো থাকতে পাড়ে।
১/ শারীরিকভাবে সুস্থ স্বাভাবিক দেখালেও আসলে কবুতর কৃমিতে আক্রান্ত।
২/ ইকোলাই রোগের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বহন করা কবুতর।
৩/ সঠিক পরিচর্যা অযত্নে অবহেলায় অপুষ্টিতে আক্রান্ত কবুতর।
এসকল অবস্থায় করনীয়ঃ-
ক্রয়কৃত কবুতর বাসায় নিয়ে আসার পরে একটি আলাদা জায়গায় অবজারভেশনে রেখে, ক্রেতার কাছ থেকে কবুতরের অভ্যাস অনুযায়ী খাবারের উপাদান ও রুটিন টাইম জেনে নিন।
প্রথম দিন ছোট দানার খাবার এবং ফুটানো কুসুম গরম পানির সাথে "লাইসোভিট" মিশ্রিত পানি খেতে দিন। বিকেলে "এ্যাপেল সিডার ভিনেগার" মিশ্রিত পানি খেতে দিন। এবং খাবারের থলি চেক করুণ পর্যাপ্ত খাবার না খেলে অল্প ছোট দানার খাবার খাইয়ে দিন। রাতে ড্রপিং পর্যবেক্ষণ করুন।
পরের দিন হতে একটানা ৫ দিন সকালে "টক্সস্লিন" মিশ্রিত পানি খেতে দিন।
বিকেলে "টক দধির" পানি কিংবা "এ্যাপেল সিডার ভিনেগার" মিশ্রিত পানি কিংবা "পি এস" মিশ্রিত খেতে দিয়ে পর্যবেক্ষণ করুন কবুতরের ড্রপিং স্বাভাবিক কিনা।
যদি ড্রপিং স্বাভাবিক মনে হয় তাহলে খুবই ভালো। ১৪ /১৫ দিন আলাদা রেখে খামারে সেটাপ দিন।
আর যদি অস্বাভাবিক মনে হয়। যেমনঃ- চাহিদা অনুযায়ী খাবার খাওয়ার পড়েও ড্রপিং স্বাভাবিক নয়, খুবই ছোট আকারের ড্রপিং যাতে সাদা অংশ আছে। তাহলে ধরে নিবেন কবুতরটি কৃমি কিংবা ক্ষতিকারক "ই-কোলাই" ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত।যা বিক্রেতা নিজেও জানেনা,কিংবা বুঝবার মত অভিজ্ঞতাও তার ছিলনা কিংবা নাই। এজন্য তাকে দোষারোপ করা উচিৎ নয়। কারন এটি তার অভিজ্ঞতার ঘাটতি।
এক্ষেত্রে দেরি না করে অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নিয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করুন।
পাশাপাশি এক লিটারে দুই গ্রাম "প্রজাইম ভেট" এবং এক লিটারে এক গ্রাম"পল্টি স্টার সল্ট" ব্যাবহার করুণ। তবে একসাথ নয় আলাদা আলাদা সময়। কবুতরের শরীর গরম থাকলে রেনেটা কোম্পানির "রেনা স্পিরিন" এক লিটারে এক গ্রাম মিশ্রিত পানি খেতে দিন। এগুলো আলাদা সময় খেতে দিতে হবে।
ইনশাআল্লাহ উপরের নিয়ম গুলো ফলো করলে কবুতর জায়গা পরিবর্তন এর পরবর্তী সময়ে ঝুঁকিমুক্ত থাকবে।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
Senior Pigeon Breeder and Admin(Only Fancy Pigeon Club in Bangladesh)
*******Thank You *******
আল্লাহ হাফেজ
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue