সৌখিন পাখি পালনের দিক থেকে কবুতর পালনের বিষয়টি সবথেকে পুরাতন এবং প্রসিদ্ধ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেউ পাখি পালনের দিক থেকে কবুতর পালনের স্থান সর্বচ্চ। বেলজিয়াম,দুবাই,ইন্ডিয়া,পাকিস্তান বা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে হাজারো সখের খামার। গড় হিসাবে বাংলাদেশে ছোট বড় প্রায় ১৫০০০-২০০০০ খামার বা কবুতর পালক রয়েছেন হয়ত সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি। এসব খামার পরিচালনায় আছেন স্কুল ছাত্র থেকে চাকুরিজীবী, কৃষক থেকে কুমোর,পরিবহন চালক থেকে শুরু করে মোটামুটি সকল পেশার মানুষ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এত এসব খামারিদের বেশিরভাগই অদক্ষ, খামার পরিচালনায় পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব ইত্যাদি কারণে এদের বেশিরভাগ খামারি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞ খামারির কাছ থেকে তথ্য বা পরামর্শ নিয়ে এরা খামার পরিচালনা করেন। কেউ বাসার ছাদে,কেউবা অতি সখের বসে বাসার ব্যালকোনি ব্যবহার করে সখের বসে কবুতর পালন শুরু করেন। কিন্তু কবুতর পালন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা,খামার ব্যবস্থাপনা,রোগ বালাই সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা না থাকার ফলে বেশিরভাগ খামারি সফল হতে পারেন না। বা পর্যাপ্ত ইনফরমেশন পাওয়ার পরও নিজেদের খাম-খেয়ালি, বোঝার ভুল, বা সঠিক ইনফরমেশন না পাওয়ার কারনে বিভিন্ন সময়ে অনেক বড় বড় ভুল করে থাকেন।ফলে তিনি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হন বা আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে পারেন না।
আজ আমরা আলোচনা করবো খামার পরিচালনা করতে এমন কিছু ভুল নিয়ে,যে ভুল গুলো খুব সহজে একটি খামার ধংস করে দিতে পারে।
চলুন তাহলে ভুল গুলো জেনে নেয়া যাকঃ-
যে কাজগুলো ভুলেউ কখনো করবেন না।
১/ রোগের ধরন না বুঝে ঔষুধ দিবেন না।
২/ অযাচিত ভাবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন না।
৩/ অপরিষ্কার খাবার ও পানি ব্যবহার করবেন না।
৪/ নতুন কবুতর সংগ্রহের পর সরাসরি লফ্টে ঢুকাবেন না।
৫/অসুস্থতা ব্যতিরেখে কোন ঔষুধ ব্যবহার করবেন না।
৬/কোন কারনে আপনার কবুতরটি অসুস্থ মনে হলে কখনই সুস্থ কবুতরের সাথে রাখবেন না।
৭/কবুতর অসুস্থ হলে ধর্য্য হারাবেন না।
৮/ বাজার থেকে কেনা খাবার কখনোই রোদে না শুখিয়ে সরাসরি কবুতরকে খেতে দিবেন না।
৯/ কবুতর ঘরে থাকা অবস্থায় উক্ত ঘরে জিবানু নাশক স্প্রে করবেন না।এতে।কবুতরের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
১০/বহিরাগতদের বা নিজে অন্য কোন খামার ভিজিটের পর সরাসরি খামারে প্রবেশ করতে দিবেন না।
১১/অধিক ডিম বাচ্চার আসায় কবুতরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না দিয়ে ব্রিডিং করাবেন না।
১২/ অসুস্থ কবুতরকে সুস্থ কবুতরের সাথে একই জায়গায় রাখবেন না।
মনে রাখবেন ভুলগুলো হয়ত খুবই ছোট ছোট কিন্তু ক্ষতিটা অনেক বড়।সুতরাং যতটা সম্ভব ভুল গুলো এরিয়ে চলার চেষ্টা করুন।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন।
2 মন্তব্যসমূহ
অনেক কিছু শিখলাম ধন্যবাদ ভাই
উত্তরমুছুনসাইটি ভিজিট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মুছুনThanks for Commenting! please follow our blog and see update continue