কবুতর পালন করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে ছোট খাটো কিছু সমস্যার সম্মুখীন হই। আসলে এসব সমস্যার সমাধান খুবই সহজ এবং নাম নামমাত্র টাকা খরচ করে করা সম্ভাব। আজ আমরা এমনি কিছু ছোট ছোট সমস্যা এবং সমাধান আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সমস্যা এবং সমাধান গুলো জেনে নেয়া যাক।
🌼সমস্যাঃ-১। কবুতর থাকার জায়গার সমস্যা, এই সমস্যার সাথে সম্মুখীন হন নাই এমন কবুতর পালক পাওয়া খুবই কঠিন। আমি নিজেও সেম সমস্যায় প্রায় সময়ই পরি। পছন্দ হলো নিয়া আসলাম বাট রাখার জায়গা নাই।
১ নং সমস্যার সমাধানঃ- থাকার খোপের ৭০% কবুতর কিনবেন৷ মানে খোপ ১০ টা হলে ৭ জোড়া কবুতর কিনবেন এর বেশী কখনোই না। কিনার আগে অবশ্যই খোপ/খাঁচা বাড়াবেন। ৩০% খোপ খালি রাখতে হবে কারণ বেবী উঠলে রাখতে হবে,কিছু মেল আছে এগ্রেসিভ হয়ে যায় বেবী ফুটলে তখন আলাদা করে রাখতে হবে, কবুতরের রেস্টে দেবার জন্য আলাদা রাখতে হবে।
বিঃদ্রঃ খাঁচা যত সম্ভব বড় সাইজ দিবেন৷ আমরা খাঁচা কিনার সময় ছোট সাইজ কিনি যার ফলে ব্রীডিং সমস্যা হয়।
🌼সমস্যাঃ- ২। খাঁচা খালি দেখলেই কিনার ইচ্ছে।
২ নং সমস্যার সমাধানঃ- এর অদৌ কোন সমাধান নাই আপনাকে ধৈর্য্য ধরা ছাড়া।কিনে খাঁচা ভরার চেয়ে হোমব্রীড গুলা দিয়া খাঁচা ভরান এতে মনের প্রশান্তি পাবেন।
🌼সমস্যাঃ-৩। বেবীর গ্রোথ কম হওয়া বা বেবীর সাইজ ছোট বড় হওয়া।
৩ নং সমস্যার সমাধানঃ- বেবী ফুটার ৭-৮ দিন থেকে খেয়াল করতে হবে কোনটাকে কম খাওয়াচ্ছে কিনা, যেটাকে কম খাওয়ায় ওইটাকে রাইস সেলাইন ঘন করে তৈরী করা ১০-৩০ মিলি(সাইজ অনুযায়ী) ২-৩ বার দেয়া।প্যারেন্টস কে মাল্টি ভিটামিন, মিনারেলস, গ্রীট সাপ্লাই নিশ্চিত করা। (এক্ষেত্রে সাইটে পূর্বের একটি আরটিকেল রয়েছে " বেবি ছোট/বড় হবার কারন ও প্রতিকার") এটি দেখে নিতে পারেন।
🌼সমস্যাঃ-৪। বেবী একটু বড় হলে খাবার হজম কম হওয়া।
৪ নং সমস্যার সমাধানঃ- বেবীর বয়স ১৫ দিন থেকে ২ মাস হওয়া পর্যন্ত ২-৩ দিন গ্যাপ গ্যাপে এনজাইম দেয়া, লিভার টনিক দেয়া প্যারেন্টস কে।
লিকুইড এনজাইম বাজারে কিনতে পাওয়া যায় আবার পোড়া মাটি গ্রীটের সাথে মিক্স করেও প্রাকৃতিক এনজাইম সাপ্লাই নিশ্চিত করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ ঠান্ডা লাগলে / অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হলেও খাবার হজম না হতে পারে সেক্ষেত্রে অন্যান্য সিনড্রোম & ড্রপিং দেখে কবুতরকে মেডিসিন দিতে হবে।
🌼সমস্যাঃ- ৫। কবুতরের বেবীর পক্স
৫ নং সমস্যার সমাধানঃ- এখানে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়।
যাতে পক্স না হয় এজন্য সবচেয়ে বেশী জরুরী লফট নিয়মিত পরিষ্কার রাখা হাড়ী পরিষ্কার রাখা, খাঁচায় মশারী ব্যাবহার করা, কয়েল ব্যাবহার বা অন্য কোন প্রাকৃতিক উপায়ে করে মশা নিয়ন্ত্রণ করা। ( পক্স সমস্যার প্রকৃতিক সমাধান এবং খামারে মশা নিয়ন্ত্রণ করার উপায় পোস্ট দুটি দেখতে পারেন)
যদি পক্স উঠেই যায় খোটাখুটি করা যাবে না যত খুটবেন তত বড় হবে।
দয়া করে আগরবাতি,কয়েল,এসিড ইত্যাদি দিয়ে গোটা পুড়াবেন না এটা অত্যান্ত অমানবিক আচরণ। এরচেয়ে গোটায় খাওয়ার লবণ হালকা করে চেপে ধরে রাখবেন ১ মিনিট দৈনিক ১ বার। তবে খোঁটাখুঁটি করিয়েন না । আপেল সিডার ভিনেগার থাকলে তুলায় ভিজিয়ে লাগায়া দিয়েন দিনে ২-৩ বার
৬-৭ দিন পর এমনি শুকায়া পরে যাবে।
উপরের সবগুলাই ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা মাত্র এরচেয়ে ভালো উপায়ও অবশ্যই আছে ওগুলাও কমেন্টে শেয়ার করতে পারেন।
Acknowledgment of gratitude:- Sohan Pigeon Loft
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন।
Group Admin
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼আল্লাহ্ হাফেজ 🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
***Thank You For Visit Our Website***
#pigeon #infomation #pigeonhealth #pigeonfarming #pigeonloft #breedinformation #pigeonbreed #pigeonfood #naturaltreatment #treatment #reaching
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue