Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

বানিজ্যিক বা সৌখিন কবুতর পালনে প্রতিবন্ধকতা এবং মাসিক কোর্স। ।

বাংলাদেশে ফেন্সি কবুতর পালকদের বড় একটা অংশ৷কিছুটা বানিজ্যিক কিছুটা সৌখিনতার বসেই। অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ফেন্সি কবুতর পুষে চলছে, অসংখ্য কবুতর পালক।

যেমন বাড়ি ওয়ালার দেয়া কিছু শর্ত এইটা করা যাবেনা ঐটা করা যাবেনা। এগুলো মেনেই নিয়েই পোষা হচ্ছে  ভাড়া বাসায় ফেন্সি কবুতর , যেখানে নেই পর্যাপ্ত যায়গা পর্যাপ্ত আলোবাতাস, কিংবা ফেন্সি কবুতর পোষার জন্য যে পরিবেশ দরকার সেটা নাই বললেই চলে। এই বাস্তবতা মেনেই কিছু কবুতরপালকদের ফেন্সি কবুতর পুষতে হচ্ছে। আসলে এমন পরিস্থিতিতে ফেন্সি কবুতর পুষে সফলতা অর্জন করা খুবই কষ্টসাধ্য  ব্যাপার।তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে খামার পরিচালনা করতে পারলে। সফলতা পাওয়া একেবারে অসম্ভব কিছু নয়।

যেমন খামারে খোলামেলা জায়গা রেখে খাঁচা সেটাপ করা, কবুতর ছোট কিংবা বড় সাইজ বুঝে খাচার মাপ নির্ধারণ করা।যাদের খামারে পর্যাপ্ত যায়গা নেই কবুতরের শারীরিক এক্সারসাইজ করানোর জন্য কোনো ব্যাবস্থা নাই তাদের  কবুতরের জন্য খাঁচার সাইজ মিনিমাম হাইট ২০/  ৩০/ ৩৬/ রাখা উচিৎ। 
আর যদি খামারের মধ্যে কিছু যায়গা ফাঁকা রেখে মাঝে মাঝে খাঁচা থেকে কবুতর ফ্লোরে ছেড়ে দিয়ে এক্সারসাইজ করানোর ব্যাবস্থা রাখা যায়, তো এর চেয়ে ভালো আর কিছুই নাই।

মনে রাখবেন আবদ্ধ খাচার কবুতরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, এবং বিভিন্ন রকমের ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়। যা ফ্লাইং জোনে ছেড়ে পোষা কবুতরের মধ্যে থাকেনা।আর এ কারনেই অবদ্ধ খাঁচায় বন্দী কবুতরের জন্য মাসিক কোর্সের প্রয়োজন দেখা দেয় । যা ফ্লাইং জোনে ছেড়ে পোষা কবুতরের জন্য এতটা  প্রয়োজনীয় নয়। আসলে মাসিক কোর্স কথাটা অসুস্থ প্রাণীর  জন্য, কোনো সুস্থ স্বাভাবিক প্রাণীকে মাসিক কোর্স করানো দরকার হয়না। তবুও যারা পরিস্থিতির শিকার হয়ে যায়গা সল্পতার জন্য কবুতর খাঁচায় আবদ্ধ রেখেই পুষতেছেন। তাদের জন্য,ভিটামিন B1,B2,B6,জিংক,ক্যালসিয়াম,আয়রন,ভিটামিন ডি এবং মিনারেল, এই মেডিসিন গুলি ব্যাবহারের পরামর্শ রইলো।
তবে মাসিক কোর্স  নয় মাঝে মাঝেই এগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। তবে এ ধরণের পরিস্থিতিতে কবুতরকে মাঝে মাঝে রেস্টে দেয়া উচিৎ।
যেমন আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়। শীতের আগমনের পুর্বে। শীতের শেষে গরমের আগমনের পুর্বে। অতিমাত্রায় শীত চলাকালীন সময়। কবুতরের জোড়া ভেঙে রেস্টে দেয়া উচিৎ। এবং রেস্ট চলাকালীন সময় কোনো ধরনের উত্তেজক ভিটামিন ব্যাবহার না করাই ভালো।

 যেমনঃ- ADE 3, ই সেল,ই ক্যাপ।





 আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান  মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।

আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।


Acknowledgment of gratitude:- Khandokar Asaduzzaman Kajol 
Senior Pigeon Breeder and Admin(Only Fancy Pigeon Club in Bangladesh)

আল্লাহ হাফেজ

 🌼🌼Thank You For Visit Our Site🌼🌼


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ