Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

কবুতর পালন করতে গিয়ে কিভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন?


বলাই বাহুল্য বাংলাদেশে ফেন্সি কবুতর অনেক মানুষেই পালেন। কেউ হয়তো শখে পালেন আবার কেউ হয়তো বানিজ্যিক ভাবে।এছাড়াও আমাদের দেশে, শখের পাশাপাশি কিছু বাড়তি আয়ের জন্যও অনেক নতুন পালক কবুতর পালন করে থাকেন।

আমার এই লেখা আজ নতুন পালকদের জন্য। কারণ এই সেক্টরে নতুন পালকরাই ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয় বেশি।
অভিজ্ঞতা, সঠিক উপদেশ, সঠিক খামার ব্যবস্থাপনা, সঠিক মান না জেনে কবুতর ক্রয় ও বিক্রির স্থান না পাওয়া, ক্ষতির মূল কারণ বলে বিবেচনা করা হয়।

নতুন খামারিদের বা শখে পালন করে বাড়তি আয়ের জন্য যারা খামার করেন তাদের কিছু বিষয়ে খুব সতর্কতার সাথে মাথায় রাখতে হবেঃ

১. সঠিক খামার ব্যবস্থা জানার জন্য বেশি বেশি খামার পরিদর্শন করা।
২. কোনো কবুতর কেনার আগে ওই কবুতরের আন্তর্জাতিক মান সম্পর্কে জানা।
৩. কেনার আগে তাড়াহুড়ো না করা এবং দেশীয় বাজার যাচাই করা।
৪. নিজ নিজ এলাকার ভালো মানের একাধিক ব্রিডার ভাইদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা।
৫. যতটুকু সম্ভব নিজের এলাকা থেকে কবুতর সংগ্রহ করা। (বিকাশ লেনদেন করার আগে সর্বচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা)
৬. রোগ ব্যাধি সম্পর্কে ভালো ভাবে ধারনা নেয়া। বিশেষ করে রোগে আক্রান্ত হলে, বিচলিত না হয়ে ধীর মেজাজে অসুস্থ কবুতরটির পরিচর্যা করা। যেমন- তাকে কোন প্রকার ওভার ডোজ না করানো। যে কোন এক সাজেস্টেড ভাইয়ের পরামর্শক ওষুধগুলি সেবন করানো। একই সঙ্গে একাধিক সাজেস্টেড ভাইয়ের ওষুধ অবশ্যই ব্যবহার না করা। (নতুন পালকেরা শীতের শুরু এবং শেষ সময়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, এ বিষয়টিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা )
৭. কবুতরের খামারের জন্য মাষিক একটি ছক প্রস্তুত করা (খাবার/ভিটামিন/প্রতিষেধক / ক্রিমির কোর্স/পরিস্কার ব্যবস্থা/গোসল)
৮. পরিস্কার সুষম খাবার এবং পানি সরবরাহ করা।
৯. গরমের দিনে আলো বাতাসের ব্যবস্থা করা।
১০. বর্ষার দিনে পানি যেন খামারে না যায় সেই ব্যবস্থা করা।
১১. শীতে কবুতরের ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা।
১২. কবুতর কিনে এনে সরাসরি খামারে প্রবেশ না করানো। অন্তত ২০/৩০ দিন, আলাদা জায়গায়, আলাদা ব্যবস্থাপনায় পরিচর্যা করা। (এটা খুবই জরুরি একটা বিষয়) অনেক সাজানো খামার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এই ছোট ভুলের কারণে।

এবার আসি বিক্রয়ের বিষয়ে,
কবুতর বেশি না জমিয়ে অল্প অল্প করে বিক্রি করা। ট্রেডারদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। ১০০ গ্রুপের ভিড়ে আপনাকে আপনার পছন্দের গ্রুপ বেছে নিতে হবে যেখানে আপনার জাতের কবুতরের সাড়া পাবেন।

পরিশেষে একটা কথাই বলবো,  অনেক নতুন খামারি আছেন যারা পুরনো ব্রিডারদের সন্মান করেন না বা যোগাযোগ স্থাপন করেন না। এ ক্ষেত্রে তাদের উচিৎ সবার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। এতে করে বড় ব্রিডারদের কাছ থেকেও সুবিধা আদায় করে নেয়া যায়। একবার সম্পর্ক গড়ে দেখুন উপকার ছাড়া ক্ষতি হবে না।

আমার লেখায় কমতি বা ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ 

আরটিকেলটি লিখেছেন:-   Safiqul Islam Rubel

Senior Pigeon Breeder
Member:- Pigeon Breeders Club Bangladesh


 

আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান  মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

 *******Thank You *******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue