Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

একটি ভাল পরিকল্পনা সেই কাজের অর্ধেক”


একটি ভাল পরিকল্পনা সেই কাজের অর্ধেক” সফলতা নিশ্চিত করে। 

👇

একজন নতুন পালকের সবচেয়ে বড় ভুল হলো কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই শুধু আবেগর বসে ফেন্সি কবুতর পুষতে আগ্রহী হওয়া।

 এবং প্রথমেই দামী ব্রিডের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া।


 টাকা থাকলেই তো কবুতর কিনে ভরপুর খামার করা যায়। 

কিন্তু সেই  কবুতর দিয়ে কি দীর্ঘমেয়াদী রেজাল্ট  পাওয়া সম্ভব হয়। 

কারন কবুতর দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী রেজাল্ট পেতে হলে।

 নিজের খামারে  নিজের মতো করে কবুতর তৈরী করে নিতে হয়। 

এবং সেটা বাছাই কৃত কয়েক জোড়  কবুতর দিয়েও, মাত্র দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে মাঝারি ধরনের একজন সফল খামারি ওহয়া সম্ভব। 

তার জন্য যথেষ্ট ধৈর্য আর লম্বা সময়ের অপেক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদী  একটা পরিকল্পনা দরকার। 

পরিবেশসম্মত একটা খামার দরকার।

 যেখানে পর্যাপ্ত যায়গা, আলো-বাতাসের আসাযাওয়ার ব্যাবস্থা থাকা অত্যান্ত জরুরি। 


কি সেই পরিকল্পনা 

২ 

উন্মুক্ত স্থানে যেখানে রোদ এবং ছায় আছে,

 এমন  যায়গায় একটা ফ্লাইং জোন তৈরী করা জরুরী। 

কবুতরের সাইজ  ছোট কিংবা বড় হউক, 

খাচারা সাইজ ছোট করা উচিৎ নয়। 

৪ 

কবুতর সংগ্রহে কিছু  সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।

 হাট বাজার, কিংবা কম টাকায় ভালো কোয়ালিটি কবুতর ক্রয় করা উচিৎ নয়। 

কারন সমস্যা না থাকলে ভালো কোয়ালিটির কবুতর কেনো খামারি ঘড় থেকে বের করেনা।কিংব  কম টাকায় বিক্রি করেনা।

তাই সম্ভব হলে সরাসরি  ব্রিডারদের খামার থেকে কবুতর সংগ্রহ করা উচিৎ । 

সেটা যদি ভালো কোয়ালিটির সিঙ্গেল বাচ্চাও হয়, এবং দাম একটু বেশীও হয়, হাতছাড়া করা উচিৎ নয়। 

 কিংবা অভিজ্ঞ কাউকে সাথে নিয়ে সরাসরি নিজে দেখে শুনে বুজে, 

ইমপোর্টার থেকেও কবুতর সংগ্রহ করতে পারেন। 👇

 তবে সংগ্রহ যেখান থেকেই করেন ঐ কবুতর থেকে 

 নিজের ঘড়ে যে কোয়ালিটি বাচ্চা পাবেন,

 তা  দুই বছরের জন্য বিক্রি বন্ধ রাখতে হবে। 

এবং ঐ বাচ্চা মিনিমাম এক দুই পালক ঝাড়বার পরে পার্মানেন্ট ভাবে ফ্লাইং জোনে ছেড়ে রাখা উচিৎ। 

 এবং অকারণে কেনো ধরনের ভিটামিন কিংবা মেডিসিন ব্যাবহার না করে শুধু ন্যাচারাল খাবার ও জীবাণু মুক্ত পানি ব্যাবহার করাই ভালো।

👇

এতে হয়তো কিছু সময় নষ্ট হবে,

 তবে দীর্ঘমেয়াদি সফলতা এই কবুতর  থেকেই পাবেন।

কারন এই ধরনের ব্যাবস্থায় বেরে উঠা কবুতর শারীরিকভাবে শক্তিশালী হয়,

 এবং যেকোনো পরিবেশর সাথে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পাড়ে। 

রোগপ্রতিরোধ খমতা অনেক  বেশী থাকে। 

এবং সঠিক সময় পরিপূর্ণ ম্যাচিউরিটি আসে। 

ডিম জমেনা, সঠিক সময় ডিম পারেনা, নর ব্রিডিং করেনা, ডিমের মধ্যে বাচ্চা মারা যায়। 


 উপরে উল্লেখিত ব্যাবস্থায় বেড়ে ওঠা কবুতর থেকে এধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে নাই বললেই চলে। 


উপরে উল্লেখিত এই  সমস্যা গুলো মেডিসিন দিয়ে নয়।

সমস্যা গুলো ন্যাচারাল ভাবেই  পার্মানেন্ট সমাধানের চেস্টা করুন।

Writer:-                       Khandokar Asaduzzaman Kajol 

Senior Pigeon Breeder and Admin(Only Fancy Pigeon Club in Bangladesh)

 

আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান  মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

 *******Thank You *******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ