প্রতারণা এবং ভুলবোঝাবুঝি এড়াতে যেসব বিষয়গুলো মাথায় রাখবেনঃ
১) প্রকৃত নাম এবং ছবি নেই এমন আইডি গুলোর সাথে লেনদেন এড়িয়ে চলুন।
২) কার সাথে লেনদেন করছেন, অবশ্যই ভিডিও কলে নিশ্চিত হয়ে নিন। আইডির ছবি এবং ভিডিও কলের ব্যক্তি একই কিনা তা যাচাই করুন।
৩) বিক্রেতা কবুতরের প্রকৃত মালিক কিনা তা যাচাই করার জন্য প্রয়োজনে ভিডিও কলে কবুতর দেখে নিতে পারেন। কবুতর ভালোভাবে দেখেশুনে কিনবেন যাতে পরবর্তীতে অভিযোগ করতে না হয়।
৪) ক্রেতা/বিক্রেতা সম্পর্কে দ্বিধা থাকলে অবশ্যই গ্রুপ এডমিনদের মাধ্যমে লেনদেন কিংবা গ্রুপে নির্দিষ্ট ব্যক্তির প্রোফাইলের স্ক্রিনশট দিয়ে যাচাই করে নেবেন।
৫) ক্রেতা বিক্রেতার প্রোফাইল একটু ঘাটাঘাটি করলেও তার লেনদেন সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে পারেন।
৬) বুকিং করে লেনদেন করলে অবশ্যই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে লেনদেন নিস্পত্তি করার চেষ্টা করবেন। বুকিং সময়ে কবুতরের কোনো ক্ষতি হলে কিভাবে লেনদেন নিস্পত্তি করবেন, তাও আলোচনার মাধ্যমে আগেই ঠিক করে নেবেন।
৭) বিক্রেতা ভাইয়েরা কখনোই গ্যারান্টি দিয়ে কবুতর সেল দেবেন না। ওটা একটা পাখি। কোনো মেশিন নয়। এমনও দেখেছি যে ডিম থেকে তুলে আনা কবুতর ৭/৮ মাসে ডিম দেয়নি। তাই ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে গ্যারান্টি দিয়ে সেল করবেন না। তবে হ্যাঁ কবুতরের ডিম বাচ্চা করার প্রমাণ থাকলে সেটা দিতে পারেন।
৮) সামান্য অসুস্থ থাকলেও সেই কবুতর ডেলিভারির ঝুঁকি নেবেন না। সবসময় সম্পূর্ণ ফিট কবুতর ডেলিভারি দেয়ার চেষ্টা করবেন।
৯) ক্রেতা ভাইয়েরা একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন যে, লম্বা জার্নির স্ট্রেস নিতে গিয়ে কবুতর মাঝে মধ্যেই অসুস্থ হয়ে যায়। তাই রিসিভ করার পর কবুতরের সর্বোচ্চ যত্ন নেয়ার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করে তার পরামর্শ নেবেন।
১০) লেনদেনের স্বপক্ষে ক্রেতা ও বিক্রেতা স্ক্রিনশট সহ প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংরক্ষণ করবেন।
১১) এত কিছুর পরও কোনো ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হলে ইনবক্সে আলোচনা সাপেক্ষে সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে সিনিয়রদের পরামর্শ এবং সহযোগিতা নেবেন।
১২) সামান্য কারণে কাউকে সামাজিক ভাবে হেয় কিংবা অপমানিত করতে হুট করেই ফেসবুকে পোস্ট না করে বরং সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
১৩) কাউকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক কিংবা অপমানজনক পোস্ট করার পর যদি তার সত্যতা না থাকে, তবে সেই ব্যক্তি আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেন। যেটা আপনার আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
১৪) সর্বোচ্চ ধৈর্য এবং সহনশীলতার পরিচয় দিন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ধৈর্যশীলদের সাথেই থাকেন।
**** লেখাটি আমার ব্যক্তিগত অনেক ভালোমন্দ অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা। আশা করি কপি করলে অবশ্যই কার্টেসি সহ করবেন। ভালো থাকুক সব কবুতর প্রেমি। এগিয়ে যাক এই দেশের কবুতর সেক্টর। এই দোয়া রইলো।
General Secretary Adiat Pigeon Loft Jhalokathi Racing Pigeon & Fanciers Club [JRPFC]
আপনি আরও পড়তে পারেন:
কবুতরের ঠান্ডা জনিত সমস্যা চিকিৎসায় প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার।
অসুস্থ কবুতরের চিকিৎসায় প্রতিকারের পাশাপাশি প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব এবং পরবর্তী পদক্ষেপ।
কবুতরের ব্রিডিং বিরতি বা রেষ্ট কেন দিবেন ? ব্রিডিং বিরতি বা রেষ্ট এর প্রয়োজনিয়তা।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue