একজন নতুন পালকের যে ভাবে কবুতর পালন শুরু করা জরুরী ..... [এটি একটি প্রাথমিক পর্যায় ]
০১। জানালা দরজা বিশিষ্ট একটা ছোট রুম প্রয়োজন। স্মরনে রাখতে হবে, খাঁচাগুলি দরজা জানালার সরাসরি মুখমুখি সেট করা যাবে না।
০২। জিয়াই তারের ২৪/২৪/১৮ মাপের ২/৩ টি খাঁচা প্রয়োজন হবে। এ মাপের খাচা না পেতে, ২৪/১৮/১৮ মাপের খাঁচা হলে ভাল হয়। এটিও না পেতে ১৬/১৮/১৪ মাপের হলেও চলবে। তবে এটি ডিম বাচ্চা করার জন্য মোটেই ভাল খাঁচা নয়।
০৩। খাঁচার রড বা প্রতি তারের ফাকা ১, ১.৫, ২ ইঞ্চি দূরত্বে দেয়া যেতে পারে। কিন্তু নিচের পার্ট ১.৩ ইঞ্চি ফাকা দিয়ে করতে হয়।
০৪। প্রতি খাঁচার এক পাশে পানির প্লাসটিকের ছোট বাটি, অন্য পাশে গ্রিটের প্লাসটিকের ছোট বাটি এবং মাঝে টিনের খাদ্যের বাটি দিয়ে সাজাতে হবে। প্রতি খাঁচায় সর্বমোট ৩ টি করে বাটি প্রয়োজন।
০৫। খাদ্যের বাটিগুলি অবশ্যই খাঁচার বাইরে দিতে হবে।
০৬। খাদ্যঃ গম, রেজা, বাজরা এবং ডামলি। এটার বাইরেও আরো অনেক প্রকার আছে। তবে সেটি প্রাথমিক সময়ে না করলেও অসুবিধা নাই। অতপর গ্রিট।
০৭। খাদ্য পরিবেশন ব্যবস্থাঃ সকাল ৮-১০ টার ভিতরে কবুতরের সামনে খাদ্য খেতে দিতে হবে। খাদ্য দেয়ার পর পানি খেতে দিতে হবে। খাদ্যের পরিমান ১ বা ১.৫ মুষ্টির বেশি হবে না। এভাবে কবুতরের সামনে সারাদিনই খাদ্য, পানি ও গ্রিট রেখে দেয়া যেতে পারে। অতপর ৩/৪ টার সময় পুরাতন পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি দিতে হবে। প্রয়োজনে কবুতরকে কিছু খাদ্য দিতে হবে। ৫/৬ টায়, খাদ্য বাটি ও পানি তুলে দিতে হবে।
অথবা সকাল ৮/১০ মাঝে খাবার ও পানি দিয়ে ২ ঘন্টা পর খাদ্য তুলে দেয়া যেতে পারে৷ আবার ৪/৫ ২য় বার অনুরূপ ভাবে খাদ্য দেয়া যেতে পারে।
০৭। পানি হিসেবে ফুটানো পানি দেয়া উত্তম।
০৮। কবুতর সংগ্রহের ধরণঃ শুরুতেই হুমা কবুতর দিয়ে পালন শুরু করতে হবে। এরা বেশ শক্ত জাতের কবুতর। সহজে অসুস্থ হয় না। আর হলেও ওষুধ খাওয়ালে দ্রুতই সেরে উঠে এবং দামেও কম৷ অতপর গ্রিবাজ, সিরাজি এবং লক্ষা। এ জাতীয় কবুতর ১ থেকে ১.৫ বছর পালতে হবে। [এটি কবুতর পালনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ চাপ্টার]
০৯। নতুন পালকের জন্য বেবী কবুতর কেনা সুবিধা জনক। এখানে টাকা ইনভেস্ট কম লাগে। আল্লাহ না করুক, মারা গেলে অল্প লস হবে। তবে বেবী ২/৩ পরের হতে হবে তথা ২-২.৫ মাস বয়স, ০ পরের বেবী নয় । এরা মোটামুটি শক্ত হয়ে যায়।
১০। কবুতর ডিম পাড়ার ৫/৬ পূর্বে ডিমের পাত্র দিতে হবে। ডিমের পাত্রে গোল করে কাটা ও সেলাই করা মোটা কাপড় দিতে হবে। যাতে করে ডিমে পর্যাপ্ত তাপ পায় ও ডিমগুলি পায়ের নড়াচড়ায় ভেঙ্গে না যায়।
১১। কবুতরের ঘরটি মশা মুক্ত রাখতে, জানালা দরজায় মশারির কাপড় দিয়ে আটকিয়ে দেয়া যেতে পারে এবং মশার উপস্থিতি মনে হলে সকালে বা বিকালে ১ ঘন্টার মত কয়েল জ্বালিয়ে মশা দূর করা যেতে পারে।
১২। কবুতরের মল বা ড্রপিং এর ট্রে, ২/৩ দিন পর পর পরিস্কার করে দিতে হবে।
১৩। কবুতরের রুমের বাতাস বের করার জন্য একটা এডজাস্ট ফ্যান লাগানো জরুরী এবং একটি ছোট সেলিং ফ্যান। তবে মনে রাখা জরুরী কোন ফ্যানের বাতাসই যেন কবুতরের গায়ে সরাসরি না লাগে।
Writer:-
Badrul Alom
RRm Pigeon loft Norail
Admin:-Fantail Pigeon Association Of Bangladesh
Basabo, Dhaka, Bangladeshআপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue