আন্তজার্তিক কবুতর পরিমন্ড সহ আমাদের দেশেউ কবুতরের ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রচলন রয়েছে।তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের দেশের কবুতর খামারিরা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলেই এর যথাযথ ফলাফল থেকে বঞ্চিত হই। আজ আমরা আলোচনা করবো ভ্যাকসিন বিষয়ে। আমাদের আজকের আলোচনার সাথে অভিজ্ঞ কবুতর খামারি খন্দকার আসাদুজ্জামান কাজল ভাই এর গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা "ভ্যাকসিন বিষয় সর্তকতা" আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
"যারা ভাবেন ভ্যাকসিন করা থাকলেই আপনার কবুতরের রোগব্যাধি হবেনা। তারা একটা চরম ভুল ধারনা পোষণ করে বসে আছেন। কোনো ভাবেই ভ্যাকসিন আপনার কবুতরগুলোকে রোগব্যাধি থেকে মুক্ত রাখবেনা।
কারন ভ্যাকসিন হলো এন্ট্রি ভাইরাস। যা কবুতরের শরীরে ৪৫ থেকে ৬০ দিনের জন্য এন্ট্রি বডি তৈরী করে,রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কিন্তু আমাদের কিছু ভুলে এবং অতি বেশী বেশী বাচ্চাকাচ্চা পাওয়ার আশায়। রেগুলার অনিয়মিত মেডিসিন ব্যাবহার ও শারীরিক এক্সারসাইজ করার ফ্লাইং জোন এর পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা না থাকায়,ভ্যাকসিনের তৈরী করা এন্ট্রি বডি আমরাই নষ্ট করি। আর এই কারনেই কার্যকরী ভ্যাকসিনের ফলাফল জিরো।
ভ্যাকসিন থেকে রেজাল্ট পেতে হলে নিজের সচেতন হওয়া জরুরী" - খন্দকার আসাদুজ্জামান কাজল।
আবার আমাকে অনেকেই বিভিন্ন সময়ে জিজ্ঞেসা করেন ভ্যাকসিন কোথায় পাবো, কিভাবে প্রয়োগ করবো। আপনাদের জানার জন্য ভ্যাকসিন ব্যবহারের নিয়ম ও প্রাপ্তি স্থান উল্লেখ করলাম, আশাকরি গুরুত্ব সহকারে নিয়ম টি পড়বেন। কেননা বিষয়টি যতটা সহজ ভাবে বর্ণনা করা যায় মূলত ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়টি ততটা সহজ নয়। আপনি যদি বিষয়টি সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে ব্যার্থ হন তবে, আপনার কবুতরের জন্য অনেক বড় ক্ষতি আপনি নিজ হাতে ডেকে আনলেন। যদি আপনি আপনার কবুতর গুলোকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতেই চান এক্ষেত্রে আমি পরামর্শ দিব আপনার উচিৎ হবে অভিজ্ঞ কারো সহযোগিতা নেয়া।
✳✳✳ভ্যাকসিনের প্রকার ভেদঃ- ভ্যাকসিন সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে।
১/ Live Vaccine
২/ Killed Vaccine
⏩Live Vaccine :- একটি ক্ষয়িত টীকা বা প্যাথােজেন যার তীব্রতা হ্রাস করে তৈরি একটা টীকা। যা দুর্বল সংক্রামক এজেন্ট কে নির্মূল করতে কাজ করে যা নির্দোষ বা কম উৎকট হয়ে পরিবর্তিত হয় । ভাইরাস " হত্যা " দ্বারা এই টিকা উপাদিত হয় । এই টিকা স্বল্প সময়ের জন্য দেয়া হয়ে থাকে ও শরীরের বাইরে প্রয়ােগ করা হয়।
⏩Killed Vaccine:- অক্রিয়াশীল বা কিছু উপায়ে হত্যা করা হয়েছে এমন একটি সংক্রামক এজেন্ট থেকে তৈরি একটা টীকা । এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য কবুতরের শরীরে প্রয়োগ করা হয়।
যে সকল ভ্যাকসিন সাধারণত কবুতরের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকেঃ-
১/ Chevivac - P200 Vaccine
২/ Colombovac PMV Vaccine
৩/ Avian PMV vaccine.
এবার চলুন দেখা আসা যাক কিভাবে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়।
ভ্যাকসিন প্রয়োগের নিয়মঃ-
১/ Live Vaccine:- লাইভ ভ্যাকসিন সাধারণত ১ চোখে বা ১ নাকে ১ ফোঁটা করে দিতে হয় । সব ক্ষেত্রেই সব গুলাে ঔষধ একসঙ্গে মিক্স করতে হয় । ভ্যাকসিন ভায়াল খােলার পর ২ ঘণ্টা সময় পর্যন্ত ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত থাকে ।
২/ Killed Vaccine:- কিল্ড ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পুশ গান বা ইনসুলিন এর সিরিঞ্জ দিয়ে এর প্রয়োজন হয়। পুচ্ছ থেকে ঘার অভিমুখে শিরদাঁড়ার শেষ প্রান্তে পায়রা প্রতি 0.২ মিলি । পরিমান ইনজেকশন পুশ করতে হয় । কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন মাথার পিছনে না পুশ করা হয় বা হাড্ডিতে সূচ না লাগে । এতে কবুতর প্যারালাইস হবার সম্ভাবনা থাকে ।
ভ্যাকসিন ইমিউনিটি স্থিতিকাল বা সময় : কিলড ভ্যাকসিন ১২ মাস। লাইভ ভ্যাকসিন ৩০-৪৫ দিন পর পর।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue