কবুতর পালন করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকি।তার মধ্যে একটি মারাত্মক সমসা হলো ৫- ৬ দিনের বেবি হটাৎ করে মারা যাওয়া। আসলে এই ঘটনাটি প্রায়শই বিভিন্না খামারি মোকাবেলা করে থাকে। তবে নতুনদের জন্য বিষয়টি হতাশা জনক হয়ে পরে। অনেক সময় দেখা যায়, সবকিছু ঠিক থাকার পরও লফ্টে এমন ঘটনার মোকাবেলা করতে হয়। নতুন খামারিরা এটিকে রোগ হিসাবে মনে করেন অপরদিকে পুরাতন খামারিরা দক্ষ হাতে এটির সমাধান করেন। যদিও রোগের ক্ষেত্রেউ এটি হতে পারে।যেমনঃ- মা-বাবা যদি পূর্বে কোন রোগের জীবাণু বহন করে। বিশেষজ্ঞরা রোগের ক্ষেত্রে বাচ্চা মারা যাবার পেছনে Adeno virus Type 1 কে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায়ি করেন,এখানে বাচ্চার আক্রমণের শতকরা হার ৫% , যার প্রতিকার কোন ভাবেই সম্ভব নয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আরও কিছু কারনে বাচ্চা জন্মের পর মারা যেতে পারে যেমন:- Circo Virus, Pigeon Young Bird Sickness এবং Pigeon Chlamydia ইত্যাদি রোগের মাধ্যমে ২০% কবুতরের বাচ্চার মৃত্যু ঘটে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রায় ৮০% কবুতরের বাচ্চার মৃত্যু হয় খামারির আজ্ঞতার কারণে এবং সঠিক পরিচর্যার অভাবে। আমাদের আলোচনার বিষয় বস্তু হলো ৮০% বাচ্চা কেন মারা যায় এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কবুতরের বাচ্চা মারা যাবার পেছনে যে সকল কারণ গুলো বিদ্যমানঃ-
১/ বাচ্চা কবুতরকে তার মা বাবা ঠিকমতো খাদ্য খাওয়াচ্ছে না।
২/ বাচ্চাকে প্যারেন্টস খাওয়াচ্ছে কিন্তু বাচ্চা ঠিকমতো খাচ্ছে না।
৩/ দুইটা বাচ্চার জন্মের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে ফলে একটা বাচ্ছা ঠিকমত খাবার পাচ্ছে অন্যটি পাচ্ছে না। বাচ্চা না খেয়ে শুকিয়ে গেছে।
৪/ত্রুটিপূর্ণ ডিম থেকে ফোটা বাচ্চা কবুতরের পা বা ঘাড় বিকলাঙ্গ হতে পারে।
৫/ অপরিছন্নতার কারনে বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণে।
🌺উপরুক্ত কারন কারণে সমূহ প্রতিকারে করনীয়।
১ / সর্বচ্চ পরিস্কার পরিছন্নতার প্রতি গুরুত্ব দেয়া।
২/ প্রতি দিনের শেষে, বেবীগুলিকে চেক করা, কার কি সমস্যা? বিশেষ করে যে বেবীর পেটে খাদ্য কম আছে, তাকে ছোট দানার বা লিকুইড খাদ্য পরিমান মত খাইয়ে দেয়া।
৩/ মা-বাবার জন্য সুষম খাদ্যের ব্যবস্হা নিশ্চিত করা।
৪/ বেবি কে ৫ দিন বয়স থেকে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন আলাদা ভাবে খাওয়াতে হবে, সাথে ভিটামিন ই ও জিংক দিতে পারেন মাঝে মাঝে এতে করে পালক ভালো হবে।
৫/ বেবীর বয়স ৫ দিন থেকে প্যারেন্টসকে ছোট দানার খাদ্য দিতে চেষ্টা করুন , ৫ থেকে ৭ দিন। এ সময় বেবী সাদা লিকুইড খাদ্য থেকে শক্ত দানার খাদ্য খাওয়া শুরু করে, ফলে বড় খাদ্য ভাল খেতে পারেনা।
৬/ বেবীকে নিয়মিত দিনে ১/২ ঘন্টা রোদে রাখার ব্যবস্থা করুন।
মনে রাখবেন সুস্থ বাচ্চার জন্য আপনাকে আপনার খামারে সর্বচ্চ সময় দিতে হবে। প্যারেন্স কবুতরের পাশাপাশি বাচ্চার প্রতি আলাদা যত্নের প্রয়োজন সুতরাং এই বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহেঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue