ফেন্সি কবুতর আর গোল্লা, গিরিবাজ বা রেসার কবুতরের ইমিউনিটি ক্ষমতা এক রকম নয়। এক এক প্রজাতির কবুতরের মধ্যে ইমিউনিটি ক্ষমতা এক এক রকম। ফেন্সি কবুতরের তুলনায় গোল্লা, রেসার বা গিরিবাজ কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশী হয়ে থাকে। তাই একজন গিরিবাজ পালক তার কবুতরের চিকিৎসায় অনেক সময় হোমিও বা বোনাজি ঔষধ ব্যবহার করে বেশির ভাগ সময় ১০০% রেজাল্ট পেয়ে থাকেন। অপরদিকে একই ক্ষেত্রে একজন ফেন্সি কবুতর পালক উক্ত ফলাফল পেতে বিলম্ব করেন। এসব ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হলো অসুস্থ কবুতরটি কোন ধরনের স্টেপে রয়েছে। এটি জেনেই আপনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যদি আপনার কবুতরটি সর্বশেষ স্টেপে অবস্থান করে এবং আপনি হারবাল বা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার ফলাফল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জিরো আসবে। কেননা কিছু রোগ রয়েছে যা আপনাকে চিকিৎসার জন্য সময়ই দিবে না, আপনি বুঝে ওঠার পূর্বেই সব শেষ করে দিবে। যেমন -সাধারণ ঠান্ডা, বদহজম, অপুষ্টি ও বিপাকীয় রোগ,ক্যাংকার,পক্স আপনাকে যতটা সময় দিবে অপর দিকে সালমোনিল্লাহ্, এডিনো ভাইরাস, সিকরো ভাইরাস, ডাইরিয়া আপনাকে ওগুলোর ২০% সময়ও দিবে না। সুতরাং কবুতরের চিকিৎসা দেবার ক্ষেত্রে উক্ত রোগের ধরন ও গভীরতা জেনে কবুতরের চিকিৎসা দিন। অপর দিকে আরও একটি কথা না বললেই নয়, সেটি হলো কবুতরের রোগবালাই এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার এই দুইটার মধ্যে প্রাকৃতিক উপাদান প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ব্যবহার অনেক কার্যকারী ভুমিকা রাখে। তবে বিশেষ কিছু রোগ প্রতিকারের ক্ষেত্রেউ প্রাকৃতিক উপাদান অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যেমনঃ- ঠান্ডা জনিত সমস্যা, ক্যাংকার, পক্স, ডাইরিয়া ইত্যাদি।তবে কবুতর অসুস্থ হলে অসুস্থতার ধরন ও সময় বুঝে আপনাকে চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
আমরা আপনাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে কবুতরের চিকিৎসা পদ্ধতিকে ২ টি ভাগে ভাগ করেছি।
১.সাধারণ ঔষুধের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা।
২.প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা।
আমরা আমাদের অপর একটি পোস্টে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি উল্লেখ করেছি, প্রায়োজন হলে দেখে নিতে পারেন। পোস্ট টি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
যাই হোক আজকে আমরা আলোচনা করবো কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে। চলুন তাহলে চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জানা যাক।
✳১। ডিম আটকানো বা Egg Binding :-কবুতরের ডিম আটকে গেলে, তেল জাতীয় কিছু দিয়ে পেছনের এলাকায় পেশী খুব সাবধানে ম্যাসেজ করুন, মেসেজিং করার সময় খুব সাবধান কারন চাপ লাগলে ডিম ভিতরে ভঙ্গে যেতে পারে যা জীবন নাশক হতে পারে। এছাড়াও পেছনে পিচ্ছিলকারক পদার্থ হালকা করে দিয়া যেতে পারে এটি ভাল সহায়ক হতে পারে। এগুলোর পাশাপাশি ডিমের সফল পাসিং এর জন্য স্যালাইনে পানি খাওয়ানোর বাবস্থা করতে হবে এবং অন্য কবুতর থেকে আলাদা করতে হবে ও শান্ত রাখতে হবে।
✳২। অপুষ্টি ও বিপাকীয় রোগঃ- রোগের ধরণ যেনে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাবার ও মানসম্মত গ্রীড পরিবেশন করতে হবে।
✳৩। ছত্রাক সংক্রমণ বা Fungal Diseases:- পরিমান মত দারুচিনি গুড়া নিন, তাতে হালকা পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন । এবার তা একটি ডাবলির সাইজের মত করে গোল করুন।যদি ডাবলির মত গোল করতে অসুবিধা হয় তবে দারুচিনির গুড়ার সাথে ২/৩ টা ভাত মিশিয়ে নিন তাহলে সহজেই গোল হয়ে যাবে।এবার দারুচিনি গুড়ার বল টা আক্রান্ত কবুতরকে খাইয়ে দেন। প্রতি দিন তিন বার করে কবুতর সুস্থ না হয়ে উঠা পর্যন্তু ।এটি ১০০ % কার্যকারী একটি প্রকৃয়া। ইনশাআল্লাহ ৪ থেকে ৫ দিনে কবুতর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।
✳৪।ম্যালেরিয়াঃ-চার ভাগের এক ভাগ পিয়াজ নিন। এবং ৫-৬ টি গোল মরিচ একত্রে পিষে এক লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ সিসি করে খাওয়ান দিনে তিন বার সেরে না ওঠা পরযন্ত।
✳৫। বহিঃপরজীবি বা Parasite Diseases:- ১০ থেকে ১৫ টি নিমপাতা নিয়ে ১ লিটার পানিতে দিয়ে সেটি ভালোভাবে চুলায় বা হিটারে ফুটিয়ে যখন পানির কালারের পরিবর্তন হয় তখন সেটি নামিয়ে ঠান্ডা করে। উক্ত দ্রবনে কবুতরকে গোছল করাতে হবে।
✳৬। Pigeon Chlamydia:-রসুন ছোট ছোট টুকরা করে কবুতরগুলোকে খাবার এর সাথে মিশিয়ে বা হাতে ধরে খাইয়ে দিন। দিনে দুই বার ৩/৪ দিন। অথবা ৩/৪ টি রসুন পিষে এক লিটার পানিতে গুলিয়ে ৫ সিসি করে দিনে ৩ টাইম ৩ থেকে ৪দিন।
✳৭। Adeno Virus:- প্রকৃতপক্ষে Adeno এর কোন চিকিৎসা নেই তবে নিয়মিত কবুতররের দানাদার খাবারের সাথে দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে খাওয়াতে পারলে এর থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব পাশাপাশি খাবার পানির সাথে রসুনের নির্জাস পরিবেশন করতে হবে। এক কেজি খাবারের সাথে ২ চামুচ দারুচিনি গুরা সপ্তাহে কমপক্ষে ১ দিন এবং এক লিটার পানিতে ৩/৪ কোয়া (টুকরা) রসুন পিষে দিতে হবে সপ্তাহে কমপক্ষে ১ দিন।
✳ ৮। Wet Dropping বা পাতলা পায়খানাঃ- কচি পেয়ারার পাতার রস ২ এম.এল করে ৪ ঘন্টা পর পর খাইয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ একদিনেই পায়খানা কমে যাবে।পায়খানা ঠিক হওয়া পর্যন্ত খাওয়ান।পায়খানা ঠিক হলে পেয়ারার রস খাওয়ানো বন্ধ করে দিতে হবে।
অথবা ১টি লং (লবঙ্গ) গুরা করে সামান্য পরিমান পানিতে মিশিয়ে দিনে একবার খাওয়াতে হবে এভাবে ২ দিন খাওয়ালেই যথেষ্ট।
✳৯। Circo Virus:- পরিমান মত দারুচিনি গুড়া নিন, তাতে হালকা পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন । এবার তা একটি ডাবলির সাইজের মত করে গোল করুন।যদি ডাবলির মত গোল করতে অসুবিধা হয় তবে দারুচিনির গুড়ার সাথে ২/৩ টা ভাত মিশিয়ে নিন তাহলে সহজেই গোল হয়ে যাবে।এবার দারুচিনি গুড়ার বল টা আক্রান্ত কবুতরকে খাইয়ে দেন। প্রতি দিন তিন বার করে কবুতর সুস্থ না হয়ে উঠা পর্যন্তু। পাশাপাশি এক লিটার পানিতে ৩/৪ কোয়া (টুকরা) রসুন পিষে গুলিয়ে তিন টাইম দিন।
✳১০। Trichinosis বা কোষের সংক্রমণঃ- পরিমান মত দারুচিনি গুড়া নিন, তাতে হালকা পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন । এবার তা একটি ডাবলির সাইজের মত করে গোল করুন।যদি ডাবলির মত গোল করতে অসুবিধা হয় তবে দারুচিনির গুড়ার সাথে ২/৩ টা ভাত মিশিয়ে নিন তাহলে সহজেই গোল হয়ে যাবে।এবার দারুচিনি গুড়ার বল টা আক্রান্ত কবুতরকে খাইয়ে দেন। প্রতি দিন তিন বার করে কবুতর সুস্থ না হয়ে উঠা পর্যন্তু ।এটি ১০০ % কার্যকারী একটি প্রকৃয়া। ইনশাআল্লাহ ৪ থেকে ৫ দিনে কবুতর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।।
✳১১। খাদ্য শস্য আটকানো বা Sour Crop:- যদি পাকস্থলী পানিতে পরিপূর্ণ থাকে তবে কবুতরটির মাথা নিচ দিকে ধরে হালকা চাপ দিয়ে পানি বের করে দিতে হবে।এবং যদি পাকস্থলীতে খাবার আটকে থাকে তবে উষ্ণ গরম পানির সাথে Probiotic যেমন টকদই, মিক্স করে খাদ্য থলি সাবধানতার সাথে পরিস্কার করতে হবে অথবা অ্যাপেলসিডার পানির সাথে মিক্স করে পরিস্কার করতে হবে। সর্বপরি পাকস্থলীতে যাতে খাবার আটকে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর পর দারুচিনি গুরা ডাবলির মত করে দুই টাইম খাওয়াতে হবে।
✳১২। ঠান্ডা বা সর্দি জনিত সংক্রমণ :- ১ লিটার পানিতে আদা কুচি করে কেটে এবং সাথে ৮-১০ টি লং দিয়ে পানিটা ফুটান। এরপর চুলা নিভিয়ে দিয়ে ১০-১৫ টি তুলসি পাতা উক্ত পানিতে ছেড়ে দিয়ে ২ মিনিট ভালোভাবে নারুন। এরপর সব গুলো উপাদান পানি থেকে উঠিয়ে ফেলুন।পানিটা কুসুম গরম অবস্থায় এলে ১ চা চামচ মধু উক্ত পানিতে ভালোভাবে মিশান। এরপর পানি নরমাল তাপমাত্রায় এলে তা সেঁকে অসুস্থ কবুতরকে ৫ সিসি পরিমাণ পানি খাইয়ে দিন।দিনে ২ বার করে ৪ থেকে ৫ দিন কবুতরকে খেতে দিন।
✳১৩। পক্সঃ- হলুদ গুরা+সরিষার তেল,দুইটা একসাথে মিশিয়ে পেষ্ট করে গোটাতে লাগিয়ে দিবেন, দিনে ২ বার।সেরে না ওঠা পর্যন্তুু এটি ব্যবহার করুন। ইনশাআল্লাহ ৪ থেকে ৫ দিনে ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়াও আরও প্রাকৃতিক চিকিৎসা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্ট টি দেখুন।
✳১৪। Avian Influenza:- কোন তথ্য পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে সংযোজন করা হবে।
✳১৫।শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণঃ- পরিমান মত দারুচিনি গুড়া নিন, তাতে হালকা পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন । এবার তা একটি ডাবলির সাইজের মত করে গোল করুন।যদি ডাবলির মত গোল করতে অসুবিধা হয় তবে দারুচিনির গুড়ার সাথে ২/৩ টা ভাত মিশিয়ে নিন তাহলে সহজেই গোল হয়ে যাবে।এবার দারুচিনি গুড়ার বল টা আক্রান্ত কবুতরকে খাইয়ে দেন। প্রতি দিন তিন বার করে কবুতর সুস্থ না হয়ে উঠা পর্যন্তু ।এটি ১০০ % কার্যকারী একটি প্রকৃয়া। ইনশাআল্লাহ ৪ থেকে ৫ দিনে কবুতর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।
✳১৬। ই- কোলিঃ- এক টেবিল চামচ অরাগানো পাতার গুরা এক কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। খাবারের সাথে মেশাতে তেলের ব্যবহার করা যাবে। অথবা এক লিটার পানিতে এক টেবিল চামচ অরাগানোর পাতা ফুটিয়ে ১০ সিসি করে দিনে তিনবার, ৪ থেকে ৫ দিন।
✳১৭। রক্ত আমাশয়ঃ- থানকুনি পাতার রস ৫ এম.এল করে দিনে তিন বার। সাথে ৫ ফোঁটা আদার রস খাওয়ান ৫ থেকে ৭ দিন ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। অথবা পায়খানা স্বাভাবিক হওয়া পযুন্ত।
✳১৮। কৃমি সংক্রমণঃ-
নিমপাতার সাথে সমপরিমাণ কালোজিরা একত্রে পিষে ডাবলির মত করে গোল করে প্রতিদিন রাতে একটি করে বানানো বড়ি খাওয়াতে হবে এভাবে ভাবে পর পর তিনদিন।
অথবাঃ- ১০ থেকে ১৫ টি নিমপাতা নিয়ে ১ লিটার পানিতে দিয়ে সেটি ভালোভাবে চুলায় বা হিটারে ফুটিয়ে যখন পানির কালারের পরিবর্তন হয় তখন সেটি নামিয়ে ঠান্ডা করে। উক্ত দ্রবন কবুতরকে ১০ এমএল করে খাওয়াতে হবে পর পর তিনদিন।
✳১৯। ক্যাংকারের প্রাকৃতিক চিকিৎসাঃ- শুরুতে কবুতর এর মুখের ভেতর ঘা বা ক্যাংকার দেখাদিলে সেটি খুব সাবধানতার সাথে পরিস্কার করতে হবে।এটি খুব সাবধানে হালকা করে মুখের ঘা এর উপরের আবরন পরিষ্কার করতে হবে পরিষ্কার কাঠি দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে যাতে রক্ত না বের হয় । এবার সামান্য পরিমান দারুচিনি গুরা নিন তারে হালকা পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এবার তা একটি ডাবলির আকৃতির তৈরি করুন। যদি ডাবলির আকার দিতে কষ্ট হয় তবে দারুচিনির গুরার সাথে ২/৩ টা ভাত মিশিয়ে নিন তাহলে ডাবলির আকার দিতে সুবিধা হবে। এবার ডাবলি কৃত দারুচিনি গুার বল টা আক্রান্ত কবুতরকে খাওয়ান প্রতি দিন তিন বার করে কবুতর সুস্থ না হয়ে উঠা পর্যন্তু ।এটি ১০০ % কার্যকারী একটি প্রকৃয়া। ইনশাআল্লাহ ৪ থেকে ৫ দিনে কবুতর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।
✳২০। সালমোনেলোসিস বা সালমোনিল্লাহঃ- কোন প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত পাওয়া যায়নি তবে সালমোনিল্লাহ্ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক উপাদান অনেক কার্যকারি। এখনে দেখুন।
✳২১।রানিক্ষেতঃ- কোন তথ্য পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে সংযোজন করা হবে।
✳২২। Young Bird Sickness:- কোন তথ্য পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে সংযোজন করা হবে।
✳১৩। পক্সঃ- হলুদ গুরা+সরিষার তেল,দুইটা একসাথে মিশিয়ে পেষ্ট করে গোটাতে লাগিয়ে দিবেন, দিনে ২ বার।সেরে না ওঠা পর্যন্তুু এটি ব্যবহার করুন। ইনশাআল্লাহ ৪ থেকে ৫ দিনে ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়াও আরও প্রাকৃতিক চিকিৎসা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্ট টি দেখুন।
✳১৪। Avian Influenza:- কোন তথ্য পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে সংযোজন করা হবে।
✳১৫।শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণঃ- পরিমান মত দারুচিনি গুড়া নিন, তাতে হালকা পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন । এবার তা একটি ডাবলির সাইজের মত করে গোল করুন।যদি ডাবলির মত গোল করতে অসুবিধা হয় তবে দারুচিনির গুড়ার সাথে ২/৩ টা ভাত মিশিয়ে নিন তাহলে সহজেই গোল হয়ে যাবে।এবার দারুচিনি গুড়ার বল টা আক্রান্ত কবুতরকে খাইয়ে দেন। প্রতি দিন তিন বার করে কবুতর সুস্থ না হয়ে উঠা পর্যন্তু ।এটি ১০০ % কার্যকারী একটি প্রকৃয়া। ইনশাআল্লাহ ৪ থেকে ৫ দিনে কবুতর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।
✳১৬। ই- কোলিঃ- এক টেবিল চামচ অরাগানো পাতার গুরা এক কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। খাবারের সাথে মেশাতে তেলের ব্যবহার করা যাবে। অথবা এক লিটার পানিতে এক টেবিল চামচ অরাগানোর পাতা ফুটিয়ে ১০ সিসি করে দিনে তিনবার, ৪ থেকে ৫ দিন।
✳১৭। রক্ত আমাশয়ঃ- থানকুনি পাতার রস ৫ এম.এল করে দিনে তিন বার। সাথে ৫ ফোঁটা আদার রস খাওয়ান ৫ থেকে ৭ দিন ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। অথবা পায়খানা স্বাভাবিক হওয়া পযুন্ত।
✳১৮। কৃমি সংক্রমণঃ-
নিমপাতার সাথে সমপরিমাণ কালোজিরা একত্রে পিষে ডাবলির মত করে গোল করে প্রতিদিন রাতে একটি করে বানানো বড়ি খাওয়াতে হবে এভাবে ভাবে পর পর তিনদিন।
অথবাঃ- ১০ থেকে ১৫ টি নিমপাতা নিয়ে ১ লিটার পানিতে দিয়ে সেটি ভালোভাবে চুলায় বা হিটারে ফুটিয়ে যখন পানির কালারের পরিবর্তন হয় তখন সেটি নামিয়ে ঠান্ডা করে। উক্ত দ্রবন কবুতরকে ১০ এমএল করে খাওয়াতে হবে পর পর তিনদিন।
✳১৯। ক্যাংকারের প্রাকৃতিক চিকিৎসাঃ- শুরুতে কবুতর এর মুখের ভেতর ঘা বা ক্যাংকার দেখাদিলে সেটি খুব সাবধানতার সাথে পরিস্কার করতে হবে।এটি খুব সাবধানে হালকা করে মুখের ঘা এর উপরের আবরন পরিষ্কার করতে হবে পরিষ্কার কাঠি দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে যাতে রক্ত না বের হয় । এবার সামান্য পরিমান দারুচিনি গুরা নিন তারে হালকা পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এবার তা একটি ডাবলির আকৃতির তৈরি করুন। যদি ডাবলির আকার দিতে কষ্ট হয় তবে দারুচিনির গুরার সাথে ২/৩ টা ভাত মিশিয়ে নিন তাহলে ডাবলির আকার দিতে সুবিধা হবে। এবার ডাবলি কৃত দারুচিনি গুার বল টা আক্রান্ত কবুতরকে খাওয়ান প্রতি দিন তিন বার করে কবুতর সুস্থ না হয়ে উঠা পর্যন্তু ।এটি ১০০ % কার্যকারী একটি প্রকৃয়া। ইনশাআল্লাহ ৪ থেকে ৫ দিনে কবুতর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।
✳২০। সালমোনেলোসিস বা সালমোনিল্লাহঃ- কোন প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত পাওয়া যায়নি তবে সালমোনিল্লাহ্ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক উপাদান অনেক কার্যকারি। এখনে দেখুন।
✳২১।রানিক্ষেতঃ- কোন তথ্য পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে সংযোজন করা হবে।
✳২২। Young Bird Sickness:- কোন তথ্য পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে সংযোজন করা হবে।
সর্বশেষ বলবো অবশ্যই রোগের ধরন বুঝে প্রাকৃতিক চিকিৎসা দিবেন। প্রাথমিক স্টেপের বাইরে প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহেঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #প্রাকৃতিক_চিকিৎসা #Natural_Treatment #feralrockdove
*******Thank You *******
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহেঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #প্রাকৃতিক_চিকিৎসা #Natural_Treatment #feralrockdove
*******Thank You *******
1 মন্তব্যসমূহ
ধন্যবাদ, এত উপকারী পোস্ট লেখার জন্য।
উত্তরমুছুনThanks for Commenting! please follow our blog and see update continue