গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম সাল্মনিল্লাহ, ফাউল কলেরা,আমাশা, কিংবা পায়খানা জনিত যেকোনো রোগে আক্রান্ত হবার পর কিভাবে নার্সিং করবেন এই বিষয়টি নিয়ে। আজ আমরা আলোচনা করবে এসকল রোগ থেকে মুক্তিলাভের পর উক্ত কবুতরের ডিম বাচ্চা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে কিভাবে শারীরিক ফিটনেস ফিরিয়ে আনা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে। গত পর্বের মত আজও আমরা কবুতর সেক্টরের একজন প্রিয় মুখ খন্দকার আসাদুজ্জামান কাজল ভাই এর এই বিষয়ে পরামর্শ আপনাদের সম্মুখে উপস্থাপন করবো। আশাবাদী আপনার যারা আমাদের ব্লগটি নিয়মিত অনুশীলন করেন তারা উপকৃত হবেন।
চলুন তাহলে মুল আলোচনায় আসা যাক।
সাল্মনিল্লাহ, ফাউল কলেরা,আমাশা, কিংবা পায়খানা জনিত যেকোনো রোগের থেকে মুক্তিলাভের পর উক্ত কবুতরের ডিম বাচ্চা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে কিভাবে শারীরিক ফিটনেস ফিরিয়ে আনা যায় এই বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া অত্যন্ত জরুরী।বিশেষ করে মাদি কবুতর এমন সমস্যা থেকে মুক্তিলাভের পর পর,
যদি E-SEL কিংবা ADE 3 মতো উত্তেজক ভিটামিন ব্যাবহার করা হয় এবং ঐ কবুতর যদি ব্রিডিংয়ে এসে ডিম দেয় সেক্ষেত্রে উক্ত কবুতরের প্যারালাইজড হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%। এমন সমস্যায় কখনো কখনো কবুতর ডিম দিতে অনেক দেরি করে। কিংবা ডিম দিলেও ডিমের উর্বরতা নষ্ট হয় এবং অপরিপক্ব ডিম পারে।পায়খানা জনিত রোগ থেকে মুক্তির এক দুই মাস পরেউ আরো কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যেমনঃ-পায়ের গিরা ফুলে যাওয়া, পাখা ঝুলে যাওয়া,এমনকি শরীরে টিউমারের মতো গোটা উঠতে পারে। কিংবা প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনো রেস্ট ছাড়া ঘন ঘন ডিম চালার কারনেও এমনটা হতে পাড়ে। কিংবা কোনো শারীরিক এক্সারসাইজ ছাড়া দীর্ঘদিন খাঁচায় থেকে মাস ভর একটার পর একটা ভিটামিন খাওয়ানো এই সমস্যার কারন হতে পাড়ে।
এসকল সমস্যায় করনীয় কিঃ-
⏩১/ পায়খানা জনিত রোগ থেকে মুক্তি লাভের সাথে সাথে এডাল্ট কবুতর হলে জোড়া ভেঙে আলাদা আলাদা যায়গায় রাখা জরুরী কমপক্ষে ৬০ দিনের জন্য।
⏩২/ কবুতরের ড্রপিং শক্ত ও স্বাভাবিক থাকলে প্রথমে Rena WS - ৪ লিটারে ১ গ্রাম একটানা ৭ দিন চলবে। ড্রপিং নরম দেখলে ভিটামিন বন্ধ করে সাদা পানি দিতে হবে। পাশাপাশি বারতি খাবার হিসাবে ৫ টা ছোলাবুট ও ৫ টা চিনাবাদাম দুই ঘন্টা ভিজিয়ে শুধু বিকেল বেলা খাওয়ানো হলে কবুতরের শরীরের ফ্যাটের ঘাটতি পুরণ হবে। কবুতরের শারীরিক ফিটনেস ফিরে পাবে।
তবে কোনো ভাবেই ছোলা বা চিনাবাদাম সারাদিন ভিজিয়ে রাখবেন না তাহলে বদ হজম হবার সম্ভাবনা থাকবে।এক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে কবুতরের ডাইজেস্ট ক্ষমতা ঠিক আছে কিনা।
⏩৩/ ফেরোভেট অর্থাৎ ভিটামিন আয়রন এক লিটারে ২ থেকে ৩ মিলি একটানা ৭ দিন দিতে হবে। এটা কবুতরের শরীরে নতুন রক্ত সৃষ্টি করবে।
⏩৪ / কেল্ডি প্লাস (ক্যালসিয়াম) ৩ লিটারে একটা ট্যাবলেট একটানা ৫ দিন দিতে হবে।
⏩৫/প্রিথি এটা (ভিটামিন বি১ বি২ বি৬) চলবে একটানা ৬ থেকে ৭ দিন -নিয়ম এক লিটারে ১ গ্রাম।
⏩৬ / ভিটামিন ডি ফসক্যল ডিবি কিংবা ক্যালভেট ডিবি যেকোনো একটা হলেই চলবে। এটা হারের গঠন মজবুত করবে প্যারালাইজড হওয়া থেকে মুক্তি পাবে। নিয়ম এডাল্ট কবুতর হলে একটা ট্যাবলেট ৬ ভাগের ১ ভাগ প্রতিদিন একবার চলবে ১০ থেকে ১২ দিন। বাচ্চা কবুতর হলে ৮ ভাগের ১ ভাগ।
⏩৭/ জিজভেট অর্থাৎ(ভিটামিন জিংক) এটি কবুতরের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাবে।নিয়ম এক লিটারে ২.৫ মিলি চলবে ৫ থেকে ৬ দিন।
বিঃদ্রঃ প্রতিটা ভিটামিন ব্যবহারের পরে পরবর্তী ভিটামিন ব্যবহারে অন্তত ৭ দিনের গ্যাপ রাখা দরকার। এবং ঐ সময়কালীন শুধু সাদা পানি ব্যবহার করা ভালো। তাতে যদি তিন মাসও সময় লাগে সেটুকু সময় অপেক্ষা করতে হবে যদি ঐ কবুতর দিয়ে ভালো রেজাল্ট পেতে চান।
এই নিয়মে কবুতরের ফিটনেস ফিরে পেলে E-SEL কিংবা ADE3 মতো কোনো উক্তেজক ভিটামিন ব্যবহার করা দরকার হবেনা।
কবুতর ফিটনেস ফিরে পাবে এবং এমনিতেই পরিপক্ব ডিম দিবে।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
বিঃদ্রঃ পোস্ট টি খন্দকার আসাদুজ্জামান কাজল ভাই এর অনুমতি সাপেক্ষে আপনাদের জন্য পোস্ট কর হয়েছে। আপনি চাইলে আপনার পরামর্শ ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে আপনার পরামর্শটি আমাদেরকে মেইল করতে পারেন নিচের দেয়া মেইলে।
পরামর্শ ও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে মেইল করুনঃ pigeonhousebd3@gmail.com
আল্লাহ হাফেজ
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
*******Thank You *******
চলুন তাহলে মুল আলোচনায় আসা যাক।
সাল্মনিল্লাহ, ফাউল কলেরা,আমাশা, কিংবা পায়খানা জনিত যেকোনো রোগের থেকে মুক্তিলাভের পর উক্ত কবুতরের ডিম বাচ্চা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে কিভাবে শারীরিক ফিটনেস ফিরিয়ে আনা যায় এই বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া অত্যন্ত জরুরী।বিশেষ করে মাদি কবুতর এমন সমস্যা থেকে মুক্তিলাভের পর পর,
যদি E-SEL কিংবা ADE 3 মতো উত্তেজক ভিটামিন ব্যাবহার করা হয় এবং ঐ কবুতর যদি ব্রিডিংয়ে এসে ডিম দেয় সেক্ষেত্রে উক্ত কবুতরের প্যারালাইজড হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%। এমন সমস্যায় কখনো কখনো কবুতর ডিম দিতে অনেক দেরি করে। কিংবা ডিম দিলেও ডিমের উর্বরতা নষ্ট হয় এবং অপরিপক্ব ডিম পারে।পায়খানা জনিত রোগ থেকে মুক্তির এক দুই মাস পরেউ আরো কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যেমনঃ-পায়ের গিরা ফুলে যাওয়া, পাখা ঝুলে যাওয়া,এমনকি শরীরে টিউমারের মতো গোটা উঠতে পারে। কিংবা প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনো রেস্ট ছাড়া ঘন ঘন ডিম চালার কারনেও এমনটা হতে পাড়ে। কিংবা কোনো শারীরিক এক্সারসাইজ ছাড়া দীর্ঘদিন খাঁচায় থেকে মাস ভর একটার পর একটা ভিটামিন খাওয়ানো এই সমস্যার কারন হতে পাড়ে।
এসকল সমস্যায় করনীয় কিঃ-
⏩১/ পায়খানা জনিত রোগ থেকে মুক্তি লাভের সাথে সাথে এডাল্ট কবুতর হলে জোড়া ভেঙে আলাদা আলাদা যায়গায় রাখা জরুরী কমপক্ষে ৬০ দিনের জন্য।
⏩২/ কবুতরের ড্রপিং শক্ত ও স্বাভাবিক থাকলে প্রথমে Rena WS - ৪ লিটারে ১ গ্রাম একটানা ৭ দিন চলবে। ড্রপিং নরম দেখলে ভিটামিন বন্ধ করে সাদা পানি দিতে হবে। পাশাপাশি বারতি খাবার হিসাবে ৫ টা ছোলাবুট ও ৫ টা চিনাবাদাম দুই ঘন্টা ভিজিয়ে শুধু বিকেল বেলা খাওয়ানো হলে কবুতরের শরীরের ফ্যাটের ঘাটতি পুরণ হবে। কবুতরের শারীরিক ফিটনেস ফিরে পাবে।
তবে কোনো ভাবেই ছোলা বা চিনাবাদাম সারাদিন ভিজিয়ে রাখবেন না তাহলে বদ হজম হবার সম্ভাবনা থাকবে।এক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে কবুতরের ডাইজেস্ট ক্ষমতা ঠিক আছে কিনা।
⏩৩/ ফেরোভেট অর্থাৎ ভিটামিন আয়রন এক লিটারে ২ থেকে ৩ মিলি একটানা ৭ দিন দিতে হবে। এটা কবুতরের শরীরে নতুন রক্ত সৃষ্টি করবে।
⏩৪ / কেল্ডি প্লাস (ক্যালসিয়াম) ৩ লিটারে একটা ট্যাবলেট একটানা ৫ দিন দিতে হবে।
⏩৫/প্রিথি এটা (ভিটামিন বি১ বি২ বি৬) চলবে একটানা ৬ থেকে ৭ দিন -নিয়ম এক লিটারে ১ গ্রাম।
⏩৬ / ভিটামিন ডি ফসক্যল ডিবি কিংবা ক্যালভেট ডিবি যেকোনো একটা হলেই চলবে। এটা হারের গঠন মজবুত করবে প্যারালাইজড হওয়া থেকে মুক্তি পাবে। নিয়ম এডাল্ট কবুতর হলে একটা ট্যাবলেট ৬ ভাগের ১ ভাগ প্রতিদিন একবার চলবে ১০ থেকে ১২ দিন। বাচ্চা কবুতর হলে ৮ ভাগের ১ ভাগ।
⏩৭/ জিজভেট অর্থাৎ(ভিটামিন জিংক) এটি কবুতরের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাবে।নিয়ম এক লিটারে ২.৫ মিলি চলবে ৫ থেকে ৬ দিন।
বিঃদ্রঃ প্রতিটা ভিটামিন ব্যবহারের পরে পরবর্তী ভিটামিন ব্যবহারে অন্তত ৭ দিনের গ্যাপ রাখা দরকার। এবং ঐ সময়কালীন শুধু সাদা পানি ব্যবহার করা ভালো। তাতে যদি তিন মাসও সময় লাগে সেটুকু সময় অপেক্ষা করতে হবে যদি ঐ কবুতর দিয়ে ভালো রেজাল্ট পেতে চান।
এই নিয়মে কবুতরের ফিটনেস ফিরে পেলে E-SEL কিংবা ADE3 মতো কোনো উক্তেজক ভিটামিন ব্যবহার করা দরকার হবেনা।
কবুতর ফিটনেস ফিরে পাবে এবং এমনিতেই পরিপক্ব ডিম দিবে।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
বিঃদ্রঃ পোস্ট টি খন্দকার আসাদুজ্জামান কাজল ভাই এর অনুমতি সাপেক্ষে আপনাদের জন্য পোস্ট কর হয়েছে। আপনি চাইলে আপনার পরামর্শ ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে আপনার পরামর্শটি আমাদেরকে মেইল করতে পারেন নিচের দেয়া মেইলে।
পরামর্শ ও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে মেইল করুনঃ pigeonhousebd3@gmail.com
আল্লাহ হাফেজ
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue