Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

কবুতরের জিরো বেবীর মৃত্যু রোধে যা করণীয়


[ আল্লাহ কাকে বাঁচিয়ে রাখবেন কি বাঁচিয়ে রাখবেন না, এটি সব তাঁরই ইচ্ছা। ]


অনেক সময় দেখা যায় সব কিছু ঠিক থাকার পরও কিছু বেবির হটাৎ মৃত্যু হয়।যদিও বাচ্চার মৃত্যুর পেছনের অন্যতম কারণ হলো অপরিছন্নতা,তবে ঘর বা খাঁচা বা ডিমের পাত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখালেই যে বাচ্চার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব এটিও নয়। শুধুমাত্র অপরিছন্নতার কারণে যে বেবী মরেছে, তা শতভাগ নয়। বাচ্চার মৃত্যুর পেছনে অনেকগুলো কারণ বিদ্যমান।  আজ আমরা আলোচনা করবো জিরো বেবির কি কারনে মারা যায় এবং এর থেকে পরিত্রানের উপায় সম্পর্কে। আমাদের আজকের আলোচনায় আমরা অভিজ্ঞ কবুতর খামারি Rrm Pigeon Farm Norail ( Bodrul Alom)  ভাই এর অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।              

🌺বাচ্চার মৃত্যুর পেছনে যে সকল  কারণ হতে পারে।

✳লফ্ট অপরিস্কার অপরিছন্ন থাকার কারনে হতে পারে।

✳ বাচ্চা হেলদি ছিল না। কেননা সে ঠিকমত খাবার খায়নি।

✳বা বাচ্চাকে তাদের প্যারেন্টস ঠিকমত খাওয়ায়নি।

✳দুইটি বাচ্চার সাইজ দুই রকমের ছিলো ফলে ছোট বাচ্চাটি কম খাওয়ার কারণে মারা গেছে।

✳ ডিমের পাত্র অপরিস্কারের জন্য, বাচ্চা অসুস্থ হয়ে ছিল। এমন নানাবিধ কারণ থাকতে পারে।

🌺এক্ষেত্রে আপনাকে যা যা করতে হবেঃ- শুরুতেই পরিস্কার পরিছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে।
অতঃপর বাচ্চা ফুটলেই খেয়াল করা জরুরী বাচ্চাদের ঠিকমতো খাওয়াচ্ছে কিনা। জিরো বেবীকে প্যারেন্টস যদি না খাওয়ায়, সে বেবী বাঁচানো যায়না বলে আমার অভিজ্ঞতায় বলে। তবে ২/১ দিন প্যারেন্টস তাদের দুধ খাবার-খাওয়ানোর পর বেবীকে বাঁচানো যায়।

★ গুড়া দুধ বা হরলিক্স তরল করে বা কনডেন্স মিল্কে কিছুটা পানি মিশিয়ে, সিরিঞ্জ দিয়ে খাওয়াতে পারেন। বা ক্রপ মিল্ক তৈরি করে খাওয়াতে পারেন।

সিরিঞ্জের মুখে, স্যালাইনের মুখের যে চিকন পাইপটি থাকে, ঐটি সেট করে খাওয়াতে পারেন। অথবা রিক্সা সাইকেলের দোকানে বালটিউব ( সম্ভবত এমনই নাম) পাওয়া যায়, ঐটি সিরিঞ্জের মুখে লাগিয়ে খাওয়াতে পারেন।

🌺 সিরিঞ্জ দ্বারা খাওয়ানোর পদ্ধতিঃ

★ সিরিঞ্জের পাইপটি বেবী মুখে প্রবেশ করিয়ে, আলতো করে চাপ দিয়ে লিকুইড খাইয়ে দিন। ২/৩ এম এল পরিমান।

★ অথবা এক হাতের তালুতে বেবীটিকে রেখে, ঐ হাতের আঙ্গুলের উপর ঠোট রাখুন, তারপর ঠোটের স্পর্শে সিরিঞ্জটির মুখ রেখে ফোটায় ফোটায় লিকুইড দিন। বেবীও দমে দমে লিকুইড টেনে নিবে। এভাবে ২/৩ এম এল পরিমানে, পেটের লিকুইড শেষ হলেই খাওয়ান। আর প্যারেন্টস কাছেই রেখে দিন। এক সময় প্যারেন্টসও খাওয়াবে।

বিঃদ্রঃ ০-৭ দিন বয়সের বেবিকে কিভাবে ক্রপ মিল্ক তৈরি করে খাওয়াবেন সেটি আমাদের ব্লগের অন্য একটি পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন।             

🌺উত্তম ডিম বা উত্তম বেবী প্রাপ্তিঃ

উত্তম বাচ্চা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন ভালো বা মানসম্মত ডিম।এক্ষেত্রে আপনার করণীয়। 

★ প্যারেন্টসকে ডিম পাড়ার পূর্বে একদিন পর একদিন এ ক্যাল ডি হাফ করে খাওয়ান।

★ গ্যাপের দিন গুলোতে, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট একটি করে খাওয়ান। এভাবে ৭/৮ দিন খাওয়াতে হবে। কিছু দিন নিয়মিত খাওয়ালে, সমস্যা সল্ভ হবে ইনশাআল্লাহ।

★ নর মাদীর জোড়া ভেঙ্গে আলাদা করে, রেস্টে দেয়া যেতে পারে। অনেক সময়, পরপর অনেক দিন ডিম বেবী করলে এমন সমস্যা হয়ে থাকে।

★ প্রথম ডিমটি পাড়ার পর, সেটি সরিয়ে, তাদের প্লাসটিকের একটি ডিম দিন। ৩য় দিনে, ২য় ডিমটি পাড়লে, তখন প্লাসটিকের ডিমটি সরিয়ে, ১ম ও ২য় ডিমটি দিয়ে কবুতরকে তা'য়ে বসিয়ে দিন। এতে করে দুটি বেবীই একই সময়ে ফুটবার সম্ভাবনা থাকে। তাহলে বেবী ছোট বড় হয় না। তখন তারা প্যারেন্টস খাদ্য প্রাপ্তিও সমান হারে পেয়ে থাকে। আসা করি উপরুক্ত বিষয় গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিলে ইনশাআল্লাহ আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

পরিশেষে বলবো  সুস্থ বাচ্চা উৎপাদনের জন্য সুস্থ মায়ের বিকল্প নেই সুতরাং মা- বার সুস্থতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করুন।     

আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান  মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

তথ্য একত্রিকরণেঃ- 
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
 *******Thank You *******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ