খামারে বাচ্চা লালনপালন করা সব থেকে কষ্টকর একটি বিষয়,অনেক সময় দেখা যায় সব ঠিক আছে কিন্তু বাচ্চাকে তার মা-বাবা থেকে আলাদা করার পর হঠাৎ মারা যায় বা অন্য কোন বির্পযায় দেখা দেয়।আসলে এই এই সময়ে নতুন আলাদা করা বাচ্চার জন্য প্রয়োজন পরে আলাদা যত্নের। যদিও আমরা অনেকেই মনে করি বাচ্চাদেরকে বাবা-মা থেকে আলাদা করা মানেই কষ্ট শেষ হয়ে যাওয়া, বা ঝুঁকি মুক্ত হয়ে যাওয়া। কেননা বাচ্চা নিজে খাওয়া শিখেছে, ফ্লাইংও করে সুতরাং আর কোন চিন্তা নেই।আসলে প্রকৃত বিষয়টি ভিন্ন আর কেন ভিন্ন এই বিষয়ে আমরা অভিজ্ঞ কবুতর খামারি "খন্দকার আসাদুজ্জামান কাজল " ভাই এর মুখে শুনবো।
প্রায়শই দেখা যায় কবুতরের বাচ্চা কে তার মা-বাবার থেকে আলাদা করার পর দিন দিন শুকিয়ে যায়, বুকের হাড় বেরিয়ে হালকা হয়ে যায় এবং এক সময় প্যারালাইজড হয়ে যায় কিংবা মারা যায়। অনেকেই এটাকে জটিল কোনো রোগ মনে করে থাকে। আসলে এটা কোনো রোগ নয়। আসল সমস্যা হলো ক্লাইম্যাক্স চেইন্জ অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
অসহনীয় তাপমাত্রা ভ্যাপসা গরম ভারসাম্য হীন আবহাওয়া। বা হটাৎ বাবা-মা থেকে আলাদা হয়ে নতুন পরিবেশে আসা।
যা বাচ্চা কবুতর বেরে ওঠার সাথে সাথে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী যে পরিমাণ খাবার খাওয়া দরকার সেই স্বাভাবিক খাবার খেতে বিগ্ন ঘটায়।
অর্থাৎ আবহাওয়াগত কারনে শরীরের চাহিদার চেয়ে অনেক কম খাবার খায় । যার কারনে বাচ্চার শরীরে ফ্যাট মিনারেল ও ক্যালসিয়ামে ঘাটতি দেখা দেয়।
এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের ভুলটা হলো বাচ্চা কবুতর মা বাবার থেকে আলাদা করার পর।প্রতিদিন বিকালবেলা প্রতিটা বাচ্চাকে হাতে ধরে খাবার থলি চেক করে দেখা যে বাচ্চাটার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাবার খেলো কিনা। এভাবে কিছুদিন নজরে রাখা। যা আমরা সময়ের অভাবে অনেকেই করিনা।যখন বাচ্চাটা আক্রান্ত হয় শুকিয়ে যায় তখনি বিষয়টি নজর পড়ে।
🌺🌺🌺এমতাবস্থায় করনীয় কি?
১/ এধরনের আবহাওয়ায় প্রতিদিন বিকালে বাচ্চা গুলির খাবারের থলি চেক করা।
এবং শরীরের চাহিদার চেয়ে খাবার কম খেলে বাড়তি খাবার খাইয়ে দেয়া।
২/ ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার দেয়া এক্ষেত্রে লেবুর পানি দিতে পড়েন।
৩/ মাঝে মাঝে জিংক মিশ্রিত পানি ।
৪/ ডাইজেস্ট ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক এনজাইম অর্থাৎ পোড়ামাটি খাওয়াতে পাড়েন।
৫/ মাঝে মাঝে ব্যাক্টেরিয়া নিধন টক্সিলিন(Toxilin) মিশ্রিত পানি খাওয়াতে পাড়েন।
৬/ প্রটিন যুক্ত বাড়তি খাবার। অর্থাৎ ছোলা,চিনাবাদাম,ভুট্টা ইত্যাদি ভিজিয়ে নরম করে কিংবা লিকুইড করে খাওয়াতে পাড়েন।
৭/ রাতের বেলা সামান্য পানি খাওয়ালে ভালো হয়।
সর্বশেষ এটা মনে রাখবেন বাচ্চা কবুতরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এডাল্ট কবুতরের তুলনায় কম থাকে । তাই পরপর দুই-তিনদিন শরীরের চাহিদার চেয়ে কম খাবার খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।সুতরাং সুস্থ ও সুন্দর বাচ্চা পেতে উপরুক্ত বিষয় গুলোর গুরুত্ব অনেক।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
*******Thank You *******
প্রায়শই দেখা যায় কবুতরের বাচ্চা কে তার মা-বাবার থেকে আলাদা করার পর দিন দিন শুকিয়ে যায়, বুকের হাড় বেরিয়ে হালকা হয়ে যায় এবং এক সময় প্যারালাইজড হয়ে যায় কিংবা মারা যায়। অনেকেই এটাকে জটিল কোনো রোগ মনে করে থাকে। আসলে এটা কোনো রোগ নয়। আসল সমস্যা হলো ক্লাইম্যাক্স চেইন্জ অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
অসহনীয় তাপমাত্রা ভ্যাপসা গরম ভারসাম্য হীন আবহাওয়া। বা হটাৎ বাবা-মা থেকে আলাদা হয়ে নতুন পরিবেশে আসা।
যা বাচ্চা কবুতর বেরে ওঠার সাথে সাথে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী যে পরিমাণ খাবার খাওয়া দরকার সেই স্বাভাবিক খাবার খেতে বিগ্ন ঘটায়।
অর্থাৎ আবহাওয়াগত কারনে শরীরের চাহিদার চেয়ে অনেক কম খাবার খায় । যার কারনে বাচ্চার শরীরে ফ্যাট মিনারেল ও ক্যালসিয়ামে ঘাটতি দেখা দেয়।
এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের ভুলটা হলো বাচ্চা কবুতর মা বাবার থেকে আলাদা করার পর।প্রতিদিন বিকালবেলা প্রতিটা বাচ্চাকে হাতে ধরে খাবার থলি চেক করে দেখা যে বাচ্চাটার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাবার খেলো কিনা। এভাবে কিছুদিন নজরে রাখা। যা আমরা সময়ের অভাবে অনেকেই করিনা।যখন বাচ্চাটা আক্রান্ত হয় শুকিয়ে যায় তখনি বিষয়টি নজর পড়ে।
🌺🌺🌺এমতাবস্থায় করনীয় কি?
১/ এধরনের আবহাওয়ায় প্রতিদিন বিকালে বাচ্চা গুলির খাবারের থলি চেক করা।
এবং শরীরের চাহিদার চেয়ে খাবার কম খেলে বাড়তি খাবার খাইয়ে দেয়া।
২/ ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার দেয়া এক্ষেত্রে লেবুর পানি দিতে পড়েন।
৩/ মাঝে মাঝে জিংক মিশ্রিত পানি ।
৪/ ডাইজেস্ট ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক এনজাইম অর্থাৎ পোড়ামাটি খাওয়াতে পাড়েন।
৫/ মাঝে মাঝে ব্যাক্টেরিয়া নিধন টক্সিলিন(Toxilin) মিশ্রিত পানি খাওয়াতে পাড়েন।
৬/ প্রটিন যুক্ত বাড়তি খাবার। অর্থাৎ ছোলা,চিনাবাদাম,ভুট্টা ইত্যাদি ভিজিয়ে নরম করে কিংবা লিকুইড করে খাওয়াতে পাড়েন।
৭/ রাতের বেলা সামান্য পানি খাওয়ালে ভালো হয়।
সর্বশেষ এটা মনে রাখবেন বাচ্চা কবুতরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এডাল্ট কবুতরের তুলনায় কম থাকে । তাই পরপর দুই-তিনদিন শরীরের চাহিদার চেয়ে কম খাবার খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।সুতরাং সুস্থ ও সুন্দর বাচ্চা পেতে উপরুক্ত বিষয় গুলোর গুরুত্ব অনেক।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue