''ছোট্ট একটা পরামর্শ কিন্তু বিষয়টা একটু লম্বা ও ঝামেলাটা একটু বেশী,,
তবে ধৈর্য সহকারে এই কাজটি করতে পারলে। আপনার অসুস্থ শখের দামি কবুতরটি শারীরিক ফিটনেস ধরে রেখেই সুস্থ হবে এবং টাল হবার সম্ভাবনা একেবারেই থাকবে না ।
সাল্মনিল্লাহ, প্যারাটাইফয়েড, ফাউল কলেরা , ডিপথেরিয়া কিংবা বদ হজমের আক্রমণে কবুতর নিজে খাবার খায়না কিংবা খাইয়ে দিলেও বমি করে ফেলে দেয়।
কখনো কখনো খাবার হজম হয়না কারন এসব ক্ষেত্রে কবুতরের ডাইজেস্ট ক্ষমতা কমে যায়। এসব ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত লিকুইড রাইস স্যালাইন খাইয়ে থাকি।
এখানে প্রশ্ন হলো রাইজ স্যালাইনে আছে কি যে অসুস্থ কবুতরের শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখবে।কেননা এসব রোগের ক্ষেত্রে কবুতর অনেক সময় একটানা ৪ থেকে ৫ দিন বমি করতে পাড়ে। এ কারনে শরীর থেকে ভিটামিন ক্যালসিয়াম ও মিনারেল পায়খানার সাথে বের হয়ে যেতে পাড়ে। যেটি রাইস স্যালাইনের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয়।কারন রাইস স্যালাইনে আছে চালের গুরার সাথে স্যালাইন মিক্সড। যা কবুতরের সামান্য খাবার চাহিদা ও পানি শুন্যতা দুর করতে সাহায্য করে।
কিন্তু এই ধরনের রোগের আক্রমণে কবুতরের শরীরে অনেক গুলি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় যা রাইস স্যালাইনের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয়। পরিণতি হিসেবে কবুতর সুস্থ হলেও বুকের হার বেরিয়ে যায়, হালকা হয়ে যায়। কখনো কখনো ঘাড় বাঁকিয়ে যায়।
যাকে আমরা অনেকেই টাল রোগ বলে থাকি আসলে টাল নামে কবুতরের কোনো রোগ নেই।
এ ধরনের রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক সঠিকতর নার্সিং জরুরী। অর্থাৎ যথেষ্ট সময় নিয়ে ধৈর্য সহকারে সেবা করতে হবে।
আমার এই পোস্ট আমি শুধু এধরনের অসুস্থ কবুতরের নার্সিং বিষয়ক কিছু পরামর্শ দিলাম।
দয়া করে কেউ এই পোস্টে এই রোগের মেডিসিন বিষয়ক কোনো সাজেশন বা পরামর্শ চাইবেন না।
কারন এসকল রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে মেডিসিন প্রয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম মত আছে।
⏩১/মেডিসিন কিংবা খাবার খাওয়ানোর ৩০ মিনিট আগে দশ এমএল পানির সাথে হাফ এমএল টকস্লিন মিশিয়ে খাইয়ে দিবেন।এতে কবুতরের পেটের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিশক্রিয় থাকবে এবং মেডিসিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।
⏩২/ ছোলাবুট, চিনাবাদাম, ভুট্টা, ও গম মিনিমাম ২ ঘন্টা ভিজিয়ে ব্যালেন্ডার দিয়ে লিকুইড করে নিবেন। ব্যালেন্ডার করার আগে ছোলাবুট ও চিনাবাদামের খোসা ফেলে দিবেন।তবে লক্ষ রাখবেন লিকুইড যেন পাতলা পানির মতো না হয় । অর্থাৎ ঘন পেস্টের মতো হতে হবে।
⏩৩/ এভাবে দিনে একবার বানিয়ে নিয়ে এবং ফ্রিজের নরমালে রাখতে পারেন। পুরো দিনে দুই থেকে তিনবার ১০ এমএল করে খাওয়াতে পারেন।তবে প্রথম বারের পর যতোবার খাওয়াবেন ততবার কুসুম গরম পানি মিক্সড করে ঠান্ডা ছারিয়ে নিবেন। প্রতিবার উক্ত লিকুইড খাবারের সাথে সামান্য পরিমান "লাইসোভিট" মিশিয়ে নিবেন।
কারন "লাইসোভিট" কবুতরের শারীরিক দুর্বলতা রোধ করে।
দিনের যেকোনো একবার এই খাবারের সাথে "ভিটামিন ডি" অর্থাৎ "ফসকল ডিবি" একটা ট্যাবলেটের ৮ ভাগের ১ ভাগ গুরা করে খাবারের সাথে মিক্সড করে নিবেন।এবং যতবার বমি করবে ততবার লাইসোভিট মিশ্রিত পানি খাওয়াবেন। এখানে যে খাবারের উপাদান গুলি দেয়া আছে তাতে বারতি কোনো ভিটামিনের দরকার হবেনা। একটা অসুস্থ কবুতরের শারীরিক দুর্বলতা রোধ করার সব রকমের ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি এই খাবারে রয়েছে। শুধু একটু বারতি কষ্ট করতে হবে। মনে রাখবেন কবুতরটা যদি দামি হয় কষ্ট কোনো ব্যাপার নয়। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যদি এই কষ্ট টুকু করতে পাড়েন তবে আপনার কবুতর সুস্থ হবে এবং টাল হবেনা। এবং একি ভাবে চার পাঁচ দিনের বাচ্চা কবুতরকেউ খাওয়াতে পাড়েন যদি তার বাবা-মা না খাওয়ায়। সেখেত্রে সব একি নিয়মে চলবে শুধু "লাইসোভিট" ও "ফসকল ডিবি" বাদ যাবে। পরিশেষে এটাই বলবে এই কষ্ট বিফলে যাবেনা। কারন এটা আমার পরিক্ষিত ফর্মুলা।
সর্বশেষ আবারো বলবো বিষয়টা একটু কষ্টকর তবে রেজাল্ট খুবী ভালো✌ কারো দামি কবুতর নিয়ে এমন সমস্যায় পরলে এই ফর্মুলা এপ্লাই করতে পাড়েন।✌✌
আগামী পর্বে আমরা আলোচনা করবো কবুতরের সাল্মনিল্লাহ, প্যারাটাইফয়েড, ফাউল কলেরা , ডিপথেরিয়া কিংবা বদ হজমের থেকে কবুতর সুস্থ হবার পর কিভাবে কবুতরের নাসিং করবো এই বিষয়টি নিয়ে।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
বিঃদ্রঃ পোস্ট টি খন্দকার আসাদুজ্জামান কাজল ভাই এর অনুমতি সাপেক্ষে আপনাদের জন্য পোস্ট কর হয়েছে। আপনি চাইলে আপনার পরামর্শ ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে আপনার পরামর্শটি আমাদেরকে মেইল করতে পারেন নিচের দেয়া মেইলে।
পরামর্শ ও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে মেইল করুনঃ pigeonhousebd3@gmail.com
আল্লাহ হাফেজ
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
*******Thank You *******
তবে ধৈর্য সহকারে এই কাজটি করতে পারলে। আপনার অসুস্থ শখের দামি কবুতরটি শারীরিক ফিটনেস ধরে রেখেই সুস্থ হবে এবং টাল হবার সম্ভাবনা একেবারেই থাকবে না ।
সাল্মনিল্লাহ, প্যারাটাইফয়েড, ফাউল কলেরা , ডিপথেরিয়া কিংবা বদ হজমের আক্রমণে কবুতর নিজে খাবার খায়না কিংবা খাইয়ে দিলেও বমি করে ফেলে দেয়।
কখনো কখনো খাবার হজম হয়না কারন এসব ক্ষেত্রে কবুতরের ডাইজেস্ট ক্ষমতা কমে যায়। এসব ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত লিকুইড রাইস স্যালাইন খাইয়ে থাকি।
এখানে প্রশ্ন হলো রাইজ স্যালাইনে আছে কি যে অসুস্থ কবুতরের শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখবে।কেননা এসব রোগের ক্ষেত্রে কবুতর অনেক সময় একটানা ৪ থেকে ৫ দিন বমি করতে পাড়ে। এ কারনে শরীর থেকে ভিটামিন ক্যালসিয়াম ও মিনারেল পায়খানার সাথে বের হয়ে যেতে পাড়ে। যেটি রাইস স্যালাইনের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয়।কারন রাইস স্যালাইনে আছে চালের গুরার সাথে স্যালাইন মিক্সড। যা কবুতরের সামান্য খাবার চাহিদা ও পানি শুন্যতা দুর করতে সাহায্য করে।
কিন্তু এই ধরনের রোগের আক্রমণে কবুতরের শরীরে অনেক গুলি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় যা রাইস স্যালাইনের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয়। পরিণতি হিসেবে কবুতর সুস্থ হলেও বুকের হার বেরিয়ে যায়, হালকা হয়ে যায়। কখনো কখনো ঘাড় বাঁকিয়ে যায়।
যাকে আমরা অনেকেই টাল রোগ বলে থাকি আসলে টাল নামে কবুতরের কোনো রোগ নেই।
এ ধরনের রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক সঠিকতর নার্সিং জরুরী। অর্থাৎ যথেষ্ট সময় নিয়ে ধৈর্য সহকারে সেবা করতে হবে।
আমার এই পোস্ট আমি শুধু এধরনের অসুস্থ কবুতরের নার্সিং বিষয়ক কিছু পরামর্শ দিলাম।
দয়া করে কেউ এই পোস্টে এই রোগের মেডিসিন বিষয়ক কোনো সাজেশন বা পরামর্শ চাইবেন না।
কারন এসকল রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে মেডিসিন প্রয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম মত আছে।
⏩১/মেডিসিন কিংবা খাবার খাওয়ানোর ৩০ মিনিট আগে দশ এমএল পানির সাথে হাফ এমএল টকস্লিন মিশিয়ে খাইয়ে দিবেন।এতে কবুতরের পেটের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিশক্রিয় থাকবে এবং মেডিসিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।
⏩২/ ছোলাবুট, চিনাবাদাম, ভুট্টা, ও গম মিনিমাম ২ ঘন্টা ভিজিয়ে ব্যালেন্ডার দিয়ে লিকুইড করে নিবেন। ব্যালেন্ডার করার আগে ছোলাবুট ও চিনাবাদামের খোসা ফেলে দিবেন।তবে লক্ষ রাখবেন লিকুইড যেন পাতলা পানির মতো না হয় । অর্থাৎ ঘন পেস্টের মতো হতে হবে।
⏩৩/ এভাবে দিনে একবার বানিয়ে নিয়ে এবং ফ্রিজের নরমালে রাখতে পারেন। পুরো দিনে দুই থেকে তিনবার ১০ এমএল করে খাওয়াতে পারেন।তবে প্রথম বারের পর যতোবার খাওয়াবেন ততবার কুসুম গরম পানি মিক্সড করে ঠান্ডা ছারিয়ে নিবেন। প্রতিবার উক্ত লিকুইড খাবারের সাথে সামান্য পরিমান "লাইসোভিট" মিশিয়ে নিবেন।
কারন "লাইসোভিট" কবুতরের শারীরিক দুর্বলতা রোধ করে।
দিনের যেকোনো একবার এই খাবারের সাথে "ভিটামিন ডি" অর্থাৎ "ফসকল ডিবি" একটা ট্যাবলেটের ৮ ভাগের ১ ভাগ গুরা করে খাবারের সাথে মিক্সড করে নিবেন।এবং যতবার বমি করবে ততবার লাইসোভিট মিশ্রিত পানি খাওয়াবেন। এখানে যে খাবারের উপাদান গুলি দেয়া আছে তাতে বারতি কোনো ভিটামিনের দরকার হবেনা। একটা অসুস্থ কবুতরের শারীরিক দুর্বলতা রোধ করার সব রকমের ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি এই খাবারে রয়েছে। শুধু একটু বারতি কষ্ট করতে হবে। মনে রাখবেন কবুতরটা যদি দামি হয় কষ্ট কোনো ব্যাপার নয়। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যদি এই কষ্ট টুকু করতে পাড়েন তবে আপনার কবুতর সুস্থ হবে এবং টাল হবেনা। এবং একি ভাবে চার পাঁচ দিনের বাচ্চা কবুতরকেউ খাওয়াতে পাড়েন যদি তার বাবা-মা না খাওয়ায়। সেখেত্রে সব একি নিয়মে চলবে শুধু "লাইসোভিট" ও "ফসকল ডিবি" বাদ যাবে। পরিশেষে এটাই বলবে এই কষ্ট বিফলে যাবেনা। কারন এটা আমার পরিক্ষিত ফর্মুলা।
সর্বশেষ আবারো বলবো বিষয়টা একটু কষ্টকর তবে রেজাল্ট খুবী ভালো✌ কারো দামি কবুতর নিয়ে এমন সমস্যায় পরলে এই ফর্মুলা এপ্লাই করতে পাড়েন।✌✌
আগামী পর্বে আমরা আলোচনা করবো কবুতরের সাল্মনিল্লাহ, প্যারাটাইফয়েড, ফাউল কলেরা , ডিপথেরিয়া কিংবা বদ হজমের থেকে কবুতর সুস্থ হবার পর কিভাবে কবুতরের নাসিং করবো এই বিষয়টি নিয়ে।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
বিঃদ্রঃ পোস্ট টি খন্দকার আসাদুজ্জামান কাজল ভাই এর অনুমতি সাপেক্ষে আপনাদের জন্য পোস্ট কর হয়েছে। আপনি চাইলে আপনার পরামর্শ ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে আপনার পরামর্শটি আমাদেরকে মেইল করতে পারেন নিচের দেয়া মেইলে।
পরামর্শ ও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে মেইল করুনঃ pigeonhousebd3@gmail.com
আল্লাহ হাফেজ
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue