আজ আমরা আলোচনা করবো বান্জা কবুতর নিয়ে। এই বিষয়ে অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করে থাকেন, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের বান্জা কবুতর সম্পর্কে কিছু ভুল ধারনাও রয়েছে, আজ এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চেষ্টা করবো আশাকরি সম্পূর্ণ পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আলোচনাটি আমরা বিভিন্ন ধাপে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে বিস্তারিত আলোচনায় আসা যাক।
⏩প্রথমে আমরা জানবো বান্জা কবুতর মুলত কোন সব কবুতরকে বলেঃ-
বান্জা কবুতর বলতে আমরা সাধারণত এমন সব মাদি কবুতরকে বুঝিয়ে থাকি যে সকল মাদি কবুতর সাধারণত ডিম দিতে সক্ষম নয়।এরা নিজে ডিম দেয় না কিন্তু পরম যত্নে অন্য কবুতরের ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায়।যে কোন জাতের কবুতরই বান্জা হতে পারে।তবে স্বভাবিক ভাবে বান্জা কবুতর দেখে চেনার কোন সঠিক উপায় বা লক্ষণ নেই।স্বাভাবিক কবুতরের মত এরাউ ডিম দেবার জন্য খরকুটা বাসায় আনবে,নরের সাথে মিটিং করবে এবং বাসায় বা ডিমের হাড়িতে বসে এমন ভাব করবে যেন ডিম পারবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ডিম পারবে না শুধু ডিমের হাড়িতে বসে থাকবে। কিন্তু আপনি যদি পেলাস্টিকের ডিম দেন বা অন্য কবুতরের ডিম দেন তাহলে বান্জা কবুতর তাতে তা দেওয়া শুরু করবে। এবং ডিম ফুটিয়ে খুব ভালো ভাবে বাচ্চা লালন পালন করবে।
⏩এবার আসি বান্জা কবুতর কত প্রকারঃ-
বান্জা কবুতর মুলত দুই প্রকার।
১/জন্মগত ভাবে বন্জা যে কখনো ডিম দিবে না
২/ডিম বাচ্চা করা কবুতর হঠাৎ কোন কারন ছাড়াই দীর্ঘদিন ডিম দেয়া থেকে বিরত থাকা এমন কি সেটা তার পরবর্তী জীবনের সম্পূর্ণটা হতে পারে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।
⏩এবার জানবো কবুতর কেন বান্জা হয়ঃ-
১/ হরমন গত কারনে যেমনঃ-মানুষ বন্ধা হয় অর্থাৎ সন্তান জন্ম দানে অপারগ। এসব কবুতর প্রকৃতপক্ষে জন্মগত কারনে বান্জা।
২/বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থ হবার পরও অতিরিক্ত ঔষুধ প্রয়োগের ফলে ডিমের উৎপাদন ক্ষমতা সারা জীবন বা কিছু সময়ের জন্য হারাতে পরে বা বান্জা হতে পারে।
৩/ দীর্ঘ দিন কৃমিতে আক্রান্ত থাকলে এমনটা হতে পারে।
৪/অতিরিক্ত ডিম বাচ্চা করলে এটা হতে পারে।
৫/ খাবারের সুষম বণ্টন সঠিক মাত্রায় না হলে।
৬/জায়গার পরিবর্তন ঘটলেউ এমনটি হতে পারে।
⏩বান্জা কবুতরের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্যঃ- বান্জা কবুতরের মধ্যে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য গুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাওয়া যায়।
১/ বান্জা কবুতরে পায়খানার রাস্তা, ডিম দেয়া কবুতর থেকে তুলনামূলক শুখনো থাকবে।
২/ পায়খানার রাস্তার উপরে অর্থাৎ পেটের শেষ অংশের চামরা তুলনামূলক ভাবে মোটা হবে।
৩/ সাধারণ পরিমাপের চেয়ে ওজন অনেক বেশি ও মোটাসোটা হবে।
৪/ডিমের হাড়িতে ডিম দিলে তাতে তা দেবার জন্য হাড়িতে বসবে এবং তা দিয়ে বাচ্চা ফুটাবে।
৫/ নরের সাথে মাস্তি করবে সাধারণ সুস্থ কবুতরের মত কিন্তু
ডিম দিবে না।
৬/ বেশিরভাগ সময় ডিমের হাড়িতে বসে থাকবে মনে হবে যেন ডিম দিবে কিন্তু ডিম দিবে না।
৭/ জন্মগত বান্জা কবুতরের পায়খানার রাস্তা গোলাকার হবে।
৮/অনন্যের ফোটানো বাচ্চাও লালন পালনে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
⏩বান্জা কবুতর দিয়ে কিভাবে বাচ্চা উৎপাদন করবেন?
বান্জা কবুতরের হাড়িতে প্লাস্টিকের ডিম দিয়ে দেখবেন কবুতর তাতে তা দেয়ার জন্য রেডি কিনা যদি তা দেয় তাহলে প্লাস্টিকের ডিম সরিয়ে আসল ডিম দিবেন।কয়েক বার এভাবে বাচ্চা উৎপাদন করার পর কিছুদিন এর জন্য তাকে বাচ্চা উৎপাদন থেকে বিরতি দিয়ে আবার একই নিয়মে ডিম চেলে দিবন।
আলোচনার শেষ অংশে একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই। সেটি হলে বান্জা কবুতর মানেই যে সে কখনো ডিম দিবে না এটা ভুল একটি ধারনা, আমরা কখনো কখনো এমন কিছু কবুতরকে নির্বাচন করি যাকে কখনো ডিম দিতে দেখিনি অন্যের ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা লালনপালন করেছে অথচ হটাৎ তার ডিম দেয়া দেখে চমকে যাই। হ্যাঁ এটা স্বাভাবিক কেননা যে সকল কবিতর শারীরিক অক্ষমতা এর কারণে বান্জায় রুপান্তর হয়েছে কিন্তু তাই এই বান্জা হওয়াটা জন্মগত নয়। সে যদি তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরে পায় তবে সে আবার ডিম দিবে এতে আশ্চার্য হবার কিছু নেই।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
*******Thank You *******
⏩প্রথমে আমরা জানবো বান্জা কবুতর মুলত কোন সব কবুতরকে বলেঃ-
বান্জা কবুতর বলতে আমরা সাধারণত এমন সব মাদি কবুতরকে বুঝিয়ে থাকি যে সকল মাদি কবুতর সাধারণত ডিম দিতে সক্ষম নয়।এরা নিজে ডিম দেয় না কিন্তু পরম যত্নে অন্য কবুতরের ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায়।যে কোন জাতের কবুতরই বান্জা হতে পারে।তবে স্বভাবিক ভাবে বান্জা কবুতর দেখে চেনার কোন সঠিক উপায় বা লক্ষণ নেই।স্বাভাবিক কবুতরের মত এরাউ ডিম দেবার জন্য খরকুটা বাসায় আনবে,নরের সাথে মিটিং করবে এবং বাসায় বা ডিমের হাড়িতে বসে এমন ভাব করবে যেন ডিম পারবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ডিম পারবে না শুধু ডিমের হাড়িতে বসে থাকবে। কিন্তু আপনি যদি পেলাস্টিকের ডিম দেন বা অন্য কবুতরের ডিম দেন তাহলে বান্জা কবুতর তাতে তা দেওয়া শুরু করবে। এবং ডিম ফুটিয়ে খুব ভালো ভাবে বাচ্চা লালন পালন করবে।
⏩এবার আসি বান্জা কবুতর কত প্রকারঃ-
বান্জা কবুতর মুলত দুই প্রকার।
১/জন্মগত ভাবে বন্জা যে কখনো ডিম দিবে না
২/ডিম বাচ্চা করা কবুতর হঠাৎ কোন কারন ছাড়াই দীর্ঘদিন ডিম দেয়া থেকে বিরত থাকা এমন কি সেটা তার পরবর্তী জীবনের সম্পূর্ণটা হতে পারে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।
⏩এবার জানবো কবুতর কেন বান্জা হয়ঃ-
১/ হরমন গত কারনে যেমনঃ-মানুষ বন্ধা হয় অর্থাৎ সন্তান জন্ম দানে অপারগ। এসব কবুতর প্রকৃতপক্ষে জন্মগত কারনে বান্জা।
২/বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থ হবার পরও অতিরিক্ত ঔষুধ প্রয়োগের ফলে ডিমের উৎপাদন ক্ষমতা সারা জীবন বা কিছু সময়ের জন্য হারাতে পরে বা বান্জা হতে পারে।
৩/ দীর্ঘ দিন কৃমিতে আক্রান্ত থাকলে এমনটা হতে পারে।
৪/অতিরিক্ত ডিম বাচ্চা করলে এটা হতে পারে।
৫/ খাবারের সুষম বণ্টন সঠিক মাত্রায় না হলে।
৬/জায়গার পরিবর্তন ঘটলেউ এমনটি হতে পারে।
⏩বান্জা কবুতরের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্যঃ- বান্জা কবুতরের মধ্যে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য গুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাওয়া যায়।
১/ বান্জা কবুতরে পায়খানার রাস্তা, ডিম দেয়া কবুতর থেকে তুলনামূলক শুখনো থাকবে।
২/ পায়খানার রাস্তার উপরে অর্থাৎ পেটের শেষ অংশের চামরা তুলনামূলক ভাবে মোটা হবে।
৩/ সাধারণ পরিমাপের চেয়ে ওজন অনেক বেশি ও মোটাসোটা হবে।
৪/ডিমের হাড়িতে ডিম দিলে তাতে তা দেবার জন্য হাড়িতে বসবে এবং তা দিয়ে বাচ্চা ফুটাবে।
৫/ নরের সাথে মাস্তি করবে সাধারণ সুস্থ কবুতরের মত কিন্তু
ডিম দিবে না।
৬/ বেশিরভাগ সময় ডিমের হাড়িতে বসে থাকবে মনে হবে যেন ডিম দিবে কিন্তু ডিম দিবে না।
৭/ জন্মগত বান্জা কবুতরের পায়খানার রাস্তা গোলাকার হবে।
৮/অনন্যের ফোটানো বাচ্চাও লালন পালনে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
⏩বান্জা কবুতর দিয়ে কিভাবে বাচ্চা উৎপাদন করবেন?
বান্জা কবুতরের হাড়িতে প্লাস্টিকের ডিম দিয়ে দেখবেন কবুতর তাতে তা দেয়ার জন্য রেডি কিনা যদি তা দেয় তাহলে প্লাস্টিকের ডিম সরিয়ে আসল ডিম দিবেন।কয়েক বার এভাবে বাচ্চা উৎপাদন করার পর কিছুদিন এর জন্য তাকে বাচ্চা উৎপাদন থেকে বিরতি দিয়ে আবার একই নিয়মে ডিম চেলে দিবন।
আলোচনার শেষ অংশে একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই। সেটি হলে বান্জা কবুতর মানেই যে সে কখনো ডিম দিবে না এটা ভুল একটি ধারনা, আমরা কখনো কখনো এমন কিছু কবুতরকে নির্বাচন করি যাকে কখনো ডিম দিতে দেখিনি অন্যের ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা লালনপালন করেছে অথচ হটাৎ তার ডিম দেয়া দেখে চমকে যাই। হ্যাঁ এটা স্বাভাবিক কেননা যে সকল কবিতর শারীরিক অক্ষমতা এর কারণে বান্জায় রুপান্তর হয়েছে কিন্তু তাই এই বান্জা হওয়াটা জন্মগত নয়। সে যদি তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরে পায় তবে সে আবার ডিম দিবে এতে আশ্চার্য হবার কিছু নেই।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
*******Thank You *******
1 মন্তব্যসমূহ
Thanks to the Writer❤️
উত্তরমুছুনThanks for Commenting! please follow our blog and see update continue