চলুন জেনে নেই কি কি কারনে খাঁচায় বা ঘরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে।
⏩কবুতের ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের অভাব হলে।
⏩সল্প জায়গার মধ্যে গাদাগাদি করে খাঁচার অবস্থান হলে।
⏩কবুতরের ঘর খুব ছায়া যুক্ত স্থানে হলে।
⏩কবুতরের ঘর ভেজা বা স্যাঁতসেতে হলে।
⏩কবুতরের খাঁচার ট্রেতে পানি জমে থাকলে।
⏩সময় মত খাঁচার ট্রে পরিস্কার না করলে।
⏩কবুতর পাতলা ড্রপিং করলে।
⏩কবুতর অসুস্থ হলে।
⏩ভেজা খাবার পরিবেশন করলে।
উপরোক্ত কারণ সমূহের কারনে সাধারণত কবুতরের খাচাঁ বা ঘরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
চলুন এবার খাঁচা এবং কবুতরের ঘরের দুর্গন্ধ দুর করার উপায় সম্পর্কে জানা যাক।
⏩ কবুতের ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করা।
⏩ কবুতরের খাঁচা সেটাপ এর সময় দূরত্ব বজায় রেখে খাঁচা স্থাপন করা।
⏩খুব ছায়া যুক্ত স্থানে কবুতরের ঘর স্থাপন না করা।
⏩ কবুতরের ঘর যাতে ভেজা বা স্যাঁতসেতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।
⏩অসুস্থ কবুতরকে যত দ্রুত সম্ভব অন্যত্র নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নেয়া।
⏩প্রতিদিন খাঁচার ট্রে পরিস্কার করুন,ট্রেতে সংবাদপত্র বিছিয়ে দিন যাতে সহজে পরিস্কার করা সম্ভব হয় অথবা ট্রেতে শুকনা মোটা বালু দিন এবং মাঝে মাঝে পরিস্কার করুন।
⏩কবুতরকে শুখনো খাবার পরিবেশন করুন। কেননা ভেজা খাবার খুব দ্রুত দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে।
⏩কবুতের ঘরের মধ্যে অবাঞ্ছিত পালক, ময়লা,বিস্টা,খাবার এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ সরানোর জন্য খাঁচার নীচে ট্রে বা একটি মাদুর রাখুন, যাতে পরিষ্কার করা সহজ হয়।
⏩ সপ্তাহে একবার খাঁচাটি ভাল করে পরিষ্কার করুন এবং মাসে একবার খাঁচা গুলো বাইরে নিয়ে ধুয়ে জীবানু মুক্ত করুন এবং ভালোভাবে শুখিয়ে আবার প্রতিস্থাপন করুন।
⏩কবুতরের ঘর সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার জীবানু মুক্ত করুন।
উপরোক্ত আলোচনায় আমরা চেষ্টা করেছি কেন কবুতরের ঘর দুর্গন্ধ হয় এবং তা প্ররিত্রান এর উপায় সম্পর্কে এবার আমরা আপনার ঘরকে জীবানু মুক্ত করা এবং দুর্গন্ধ দুর করার জন্য দুইটি কার্যকারী জীবানু নাশক নিয়ে আলোচনা করবো।
কবুতরের খাঁচা থেকে দুর্গন্ধ দূর করতে এবং কবুতরের খামার জীবানু মুক্ত রাখতে ACI Group এর " Virocid(কোয়াটারনারী NH4CLগ্লোটারাল্ডিহাইড)" অথবা Renata Group এর "GPC8 (গ্লুটারেল্ডিহাইড,ফসফরিক এসিড, এমোনিয়াম কম্পাইঊন্ড)" ব্যবহার করতে পারেন।
এই ঔষুধ গুলো একসাথে দুটো কাজ করে।
১.কবুতরের খাঁচা ও ট্রে থেকে দুর্গন্ধ একেবারেই বের হবে না।
২. বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাস গুলো ধ্বংস করে কবুতরের ঘর এবং খাঁচাকে জীবাণু মুক্ত রাখবে।
শুধু তাই নয়, ট্রে তে কবুতরের ড্রপিংস শুকনো শুকনো হয়ে যাবে,এতে খাঁচার ট্রে কিছুদিন গ্যাপ দিয়ে পরিস্কার করলেও কোনো সমস্যা হবে না। ট্রে থাকবে একদম শুকনো।
ব্যবহারের নিয়মঃ- "ভাইরোসিড" - ৩ মিলি ১ লিটার পানিতে অথবা "জিপিসি ৮"- ২ মিলি ১ লিটার পানিতে এই পরিমাপে আপনার চাহিদা অনুযায়ী ভালো ভাবে মিশিয়ে নিবেন। এবার একটি স্প্রে দিয়ে খাঁচার, মেঝে ও ট্রেতে স্প্রে করবেন এমন ভাবে স্প্রে করবেন যাতে হালকা করে সমস্ত অংশ ভিজে।ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন স্প্রে করুন তবে একদিন গ্যাপ দিয়েও স্প্রে করতে পারেন।
প্রতিদিন স্প্রে করলে দুর্গন্ধ ও জীবাণু মুক্ত হবার পাশাপাশি মশার উপদ্রব কমে যাবে। স্প্রে করার সময় কবুতরের গায়ে লাগলেও সমস্যা নেই। এই দুটো জীবাণুনাশক স্প্রেতে কবুতরের কোনো ক্ষতি হবে না।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue