কবুতর! গৃহপালিত পাখিদের সব থেকে প্রাচীন একটি প্রজাতি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কবুতর ১০০০০ বছর পূর্বেই গৃহপালিত পাখি হিসাবে লালনপালন হয়ে আসছে। সময়ের ধারাবাহিকতায় কবুতর পালনে এসেছে নানাবিধ পরিবর্তন তেমনি কবুতর পালকদের মধ্যেও এসেছে পরিবর্তন। পূর্বে শুধু সৌখিনতার বশে কবুতর পালন হয়ে থাকলেউ বর্তমানে সৌখিনতা থেকে অনেকেই অর্থ উপার্জন এর মাধ্যম হিসেবে এটিকে গ্রহণ করেছে। আজ আমরা এমনি একটা বিষয়ে আলোচনা করবো।আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় কবুতর পালকের মধ্যে শ্রেণি বিভাগ সহ আরও কিছু বিষয় । কেননা যারা কবুতর পালন করেন এরা বিভিন্ন শ্রেণির পালক দ্বারা বিভক্ত এবং প্রত্যেক শ্রেণির পালকরাই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য বহন করে থাকে। এবং প্রত্যেকের কাছে অন্যের আলাদা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়ায় কবুতর সেক্টর হয়ে উঠেছে একটি লাভজনক প্রকল্পে।
কবুতর পালনকে দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ-
১.সৌখিন ভাবে কবুতর পালন।
২.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালন।
⏩১.সৌখিন ভাবে কবুতর পালনঃ- শুধু মাত্র সখের বশে কোন অর্থনৈতিক বিষয় মাথায় না রেখে এরা কবুতর পালন করে থাকেন। প্রায় ১০০০০ বছর পূর্ব থেকে এটি শুরু হয়েছিল।
⏩২.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালনঃ- শুধু মাত্র অর্থনৈতিক বিষয় মাথায় রেখে এরা কবুতর পালন করে থাকেন। বানিজ্যিক কবুতর পালনের সাথে ব্রিডার, ট্রেডার এবং ইম্পোটার এই তিন শ্রেণির মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
কবুতর পালনের ক্ষেত্রে এই দুই শ্রেণির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেউ সবমিলিয়ে কবুতর সেক্টরে চার শ্রেণীর মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
১.সৌখীন কবুতর পালক। ২.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালক বা ব্রিডার।
৩.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালক বা ট্রেডার। ৪.IMPORTES বা আমদানিকারক।
চলুন এবার এই চার শ্রেণীর কবুতর পালক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করিঃ-
⏩১.সৌখিন কবুতর পালকঃ- সৌখিন কবুতর পালকগন শুধু মাত্র শখের বশেই কবুতর পালন করে থাকে। এদের মূল উদ্দেশ্য হলো কবুতর পালনের মাধ্যমে নিজের মনকে পরিতৃপ্ত করা।এরাই কবুতর পালনের প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। ধরনা করা হয় যে প্রায় ৫০০০ বছর পূর্ব সৌখিনতার বশে গৃহপালিত পাখি হিসাবে কবুতর পালন শুরু হয়। তবে গবেষণার দেখা গেছে ১০০০০ বছর পূর্বে এই কবুতর গৃহপালিত পাখি হিসাবে পালনের প্রচলন রয়েছে। সুতরাং বলা যায় সৌখিন কবুতর পালকগনই কবুতরে প্রাথমিক পালক এবং এদের অবদান সবচেয়ে বেশি ।যারা ৫০০০ কিম্বা ১০০০০ বছর পূর্ব থেকে আজ অবধি সৌখিনতার বশে কবুতর পালন করে আসছে।
⏩২.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালক (ব্রিডার) ঃ- যিনি তার কবুতর বিভিন্ন উপায়ে উৎপাদন করেন তথা ব্রিড করান বা তার সংগ্রহে থাকা রানিং পেয়ার বা মাস্টার পেয়ার কবুতর থেকে বাচ্চা উৎপাদন করেন। অতপর তার উৎপাদিত বাচ্ছা তথা বেবীগুলি বাজারে বিক্রি করেন। এবং প্রয়োজন অনুসারে রানিং কবুতর ক্রয় বিক্রয় করেন। এক কথায় অর্থনৈতিক বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কবুতর লালনপালন করেন বা উৎপাদন করেন তাকেই বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালক বা ব্রিডার বলে। ঠিক কত শতাব্দীর থেকে বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালন হয়ে আসছে সেটি অজানা।
⏩৩.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালক (ট্রেডার)ঃ- এরা সাধারণত ব্রিডার দের নিকট থেকে সরাসরি কবুতর সংগ্রহ করেন। মোটকথা যে সকল ব্যক্তি অর্থনৈতিক বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সরাসরি মাঠ পর্যায় থেকে কবুতর সংগ্রহ করেন অর্থ্যাৎ একজন এর কাছ থেকে ক্রয় করে অন্য জনের নিকট বিক্রয় করেন এদেরকে ট্রেডার বলা হয়ে থাকে। কখনো কখনো ক্রয় বিক্রয় এর মধ্যবর্তী সময়ে তাদের কে উক্ত কবুতর লালনপালন এর প্রয়োজন দেখা দেয় এই কারনে এরাউ এক শ্রেণীর কবুতর পালক। তবে এদের মূল লক্ষ্য থাকে অন্যের উৎপাদিত পন্য কিনে বাজারে বিক্রি করা।
⏩৪.IMPORTES বা আমদানিকারকঃ- কবুতর সেক্টরে আমদানি কারক শব্দটি বেশ পুরানো।প্রায় ২০০ বছর পূর্বে কবুতর সেক্টরে আমদানিকারকের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। আমদানিকারক বলতে যে সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য দেশ থেকে কোন পণ্য এনে নিজের দেশের মধ্যে সরবরাহ করে এদেরকে বুঝায়। কবুতর সেক্টরে আমদানিকারকের ভুমিকা অনস্বীকার্য। কেননা এরাই কবুতর পালকদের চাহিদা অনুযায়ী বা নতুন কোন প্রজাতির কবুতর ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করে নিজ দেশের কবুতর পালকদের মধ্যে পৌঁছে দেবার মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা ২ শ্রেণির কবুতর পালকদের সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা পেলাম। এখন প্রশ্ন হলো "কোন শ্রেণির কবুতর পালকের কাছে কোন শ্রেণির কবুতর পালকের গুরুত্ব সবথেকে বেশী।" আমরা এই প্রশ্নের উত্তরটি শ্রদ্ধেয় কবুতর প্রেমি খন্দকার কাজল ভাই এর একটি আর্টিকেল থেকে উপস্থাপন করবো।
⏩ সৌখিন খামারিরঃ- একজন সৌখিন খামারির কাছে সব থেকে গুরুত্ব পায় একজন বানিজ্যিক খামারি (ব্রিডার)। কেননা ব্রিডার দের কাছ থেকে এরা কবুতর সংগ্রহ করে থাকে অর্থাৎ একজন ব্রিডার হলো ছোট ছোট খামারিদের কবুতরের যোগান দাতা।
⏩ বানিজ্যিক খামারি (ব্রিডার)ঃ- একজন বড় ব্রিডার বা বড় খামারির কাছে প্রথমত সব থেকে বেশি গুরুত্ব পায় ছোট ছোট খামারি কারন ছোট খামারিরা তাদের ক্রেতা বা কাষ্টমার।দ্বিতীয়ত গুরুত্ব পায় একজন ট্রেডার কেননা একজন ট্রেডার তার বেশীরভাগ কবুতর সংগ্রহ করে একজন বড় ব্রিডার বা বড় খামারির কাছ থেকে। তাই একজন ব্রিডারের কাছে একজন ট্রেডারের গুরুত্ব অনেক বেশী থাকে।
⏩ বানিজ্যিক খামারি (ট্রেডার)ঃ- একজন ট্রেডারের কাছে একজন সৌখীন কবুতর পালক বা ছোট খামারির গুরুত্ব অনেক বেশী। কেননা এই ছোট ছোট খামারিরাই তার মূল কাষ্টমার।এদের থেকে বেশিরভাগ কবুতর সাধারণত সৌখিন কবুতর পালকগন ক্রয় করেন।
⏩আমদানিকারকঃ- একজন IMPORTES বা আমদানি কারক এর কাছে একজন বড় ব্রিডার বা বড় খামরির গুরুত্ব অনেক বেশী থাকে কারন IMPORTES বা আমদানি কারকের আমদানিকৃত ৯৫% কবুতরের বড় ক্রেতা হলো বড় ব্রিডার। তাই একজন Importes একজন বড় ব্রিডারকে যতটুকো গুরুত্ব দেবে আমাকে (সৌখিন কবুতর পালককে) তার ১০০% এর ৫% ও গুরুত্ব দিবেনা এবং এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।যা আমাদের অনুধাবন করা উচিৎ। কেননা একজন Imports তার বানিজ্যিক কৌশলের কারনেই একজন বড় ব্রিডারকে বেশী গুরুত্ব দিবে এবং এটা খুবই স্বাভাবিক। কেননা একজন বড় ব্রিডারের খামারে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনভেস্টমেন্ট করা থাকে এই কারনে যতো বড় ব্রিডার ততো বড় ঝুকিও এখানে বিদ্যামান। তাই সবার সাথে সু সম্পর্ক রাখা তার একটি বানিজ্যিক কৌশল।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা চার শ্রেণীর কবুতর পালকের সম্পর্কে এবং কে কার সাথে কিরূপ আচরণ করবে সেটি আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরতে চেষ্টা করছি। যদি উক্ত আলোচনায় কোথাও কোন ভুল হয়ে থাকে তবে দয়া করে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে উপকৃত করবেন।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#কবুতর #pigeopigeonfarming
#
#pigeoniformation #pigeonfarming
*******Thank You *******
কবুতর পালনকে দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ-
১.সৌখিন ভাবে কবুতর পালন।
২.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালন।
⏩১.সৌখিন ভাবে কবুতর পালনঃ- শুধু মাত্র সখের বশে কোন অর্থনৈতিক বিষয় মাথায় না রেখে এরা কবুতর পালন করে থাকেন। প্রায় ১০০০০ বছর পূর্ব থেকে এটি শুরু হয়েছিল।
⏩২.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালনঃ- শুধু মাত্র অর্থনৈতিক বিষয় মাথায় রেখে এরা কবুতর পালন করে থাকেন। বানিজ্যিক কবুতর পালনের সাথে ব্রিডার, ট্রেডার এবং ইম্পোটার এই তিন শ্রেণির মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
কবুতর পালনের ক্ষেত্রে এই দুই শ্রেণির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেউ সবমিলিয়ে কবুতর সেক্টরে চার শ্রেণীর মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
১.সৌখীন কবুতর পালক। ২.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালক বা ব্রিডার।
৩.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালক বা ট্রেডার। ৪.IMPORTES বা আমদানিকারক।
চলুন এবার এই চার শ্রেণীর কবুতর পালক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করিঃ-
⏩১.সৌখিন কবুতর পালকঃ- সৌখিন কবুতর পালকগন শুধু মাত্র শখের বশেই কবুতর পালন করে থাকে। এদের মূল উদ্দেশ্য হলো কবুতর পালনের মাধ্যমে নিজের মনকে পরিতৃপ্ত করা।এরাই কবুতর পালনের প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। ধরনা করা হয় যে প্রায় ৫০০০ বছর পূর্ব সৌখিনতার বশে গৃহপালিত পাখি হিসাবে কবুতর পালন শুরু হয়। তবে গবেষণার দেখা গেছে ১০০০০ বছর পূর্বে এই কবুতর গৃহপালিত পাখি হিসাবে পালনের প্রচলন রয়েছে। সুতরাং বলা যায় সৌখিন কবুতর পালকগনই কবুতরে প্রাথমিক পালক এবং এদের অবদান সবচেয়ে বেশি ।যারা ৫০০০ কিম্বা ১০০০০ বছর পূর্ব থেকে আজ অবধি সৌখিনতার বশে কবুতর পালন করে আসছে।
⏩২.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালক (ব্রিডার) ঃ- যিনি তার কবুতর বিভিন্ন উপায়ে উৎপাদন করেন তথা ব্রিড করান বা তার সংগ্রহে থাকা রানিং পেয়ার বা মাস্টার পেয়ার কবুতর থেকে বাচ্চা উৎপাদন করেন। অতপর তার উৎপাদিত বাচ্ছা তথা বেবীগুলি বাজারে বিক্রি করেন। এবং প্রয়োজন অনুসারে রানিং কবুতর ক্রয় বিক্রয় করেন। এক কথায় অর্থনৈতিক বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কবুতর লালনপালন করেন বা উৎপাদন করেন তাকেই বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালক বা ব্রিডার বলে। ঠিক কত শতাব্দীর থেকে বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালন হয়ে আসছে সেটি অজানা।
⏩৩.বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালক (ট্রেডার)ঃ- এরা সাধারণত ব্রিডার দের নিকট থেকে সরাসরি কবুতর সংগ্রহ করেন। মোটকথা যে সকল ব্যক্তি অর্থনৈতিক বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সরাসরি মাঠ পর্যায় থেকে কবুতর সংগ্রহ করেন অর্থ্যাৎ একজন এর কাছ থেকে ক্রয় করে অন্য জনের নিকট বিক্রয় করেন এদেরকে ট্রেডার বলা হয়ে থাকে। কখনো কখনো ক্রয় বিক্রয় এর মধ্যবর্তী সময়ে তাদের কে উক্ত কবুতর লালনপালন এর প্রয়োজন দেখা দেয় এই কারনে এরাউ এক শ্রেণীর কবুতর পালক। তবে এদের মূল লক্ষ্য থাকে অন্যের উৎপাদিত পন্য কিনে বাজারে বিক্রি করা।
⏩৪.IMPORTES বা আমদানিকারকঃ- কবুতর সেক্টরে আমদানি কারক শব্দটি বেশ পুরানো।প্রায় ২০০ বছর পূর্বে কবুতর সেক্টরে আমদানিকারকের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। আমদানিকারক বলতে যে সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য দেশ থেকে কোন পণ্য এনে নিজের দেশের মধ্যে সরবরাহ করে এদেরকে বুঝায়। কবুতর সেক্টরে আমদানিকারকের ভুমিকা অনস্বীকার্য। কেননা এরাই কবুতর পালকদের চাহিদা অনুযায়ী বা নতুন কোন প্রজাতির কবুতর ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করে নিজ দেশের কবুতর পালকদের মধ্যে পৌঁছে দেবার মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা ২ শ্রেণির কবুতর পালকদের সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা পেলাম। এখন প্রশ্ন হলো "কোন শ্রেণির কবুতর পালকের কাছে কোন শ্রেণির কবুতর পালকের গুরুত্ব সবথেকে বেশী।" আমরা এই প্রশ্নের উত্তরটি শ্রদ্ধেয় কবুতর প্রেমি খন্দকার কাজল ভাই এর একটি আর্টিকেল থেকে উপস্থাপন করবো।
⏩ সৌখিন খামারিরঃ- একজন সৌখিন খামারির কাছে সব থেকে গুরুত্ব পায় একজন বানিজ্যিক খামারি (ব্রিডার)। কেননা ব্রিডার দের কাছ থেকে এরা কবুতর সংগ্রহ করে থাকে অর্থাৎ একজন ব্রিডার হলো ছোট ছোট খামারিদের কবুতরের যোগান দাতা।
⏩ বানিজ্যিক খামারি (ব্রিডার)ঃ- একজন বড় ব্রিডার বা বড় খামারির কাছে প্রথমত সব থেকে বেশি গুরুত্ব পায় ছোট ছোট খামারি কারন ছোট খামারিরা তাদের ক্রেতা বা কাষ্টমার।দ্বিতীয়ত গুরুত্ব পায় একজন ট্রেডার কেননা একজন ট্রেডার তার বেশীরভাগ কবুতর সংগ্রহ করে একজন বড় ব্রিডার বা বড় খামারির কাছ থেকে। তাই একজন ব্রিডারের কাছে একজন ট্রেডারের গুরুত্ব অনেক বেশী থাকে।
⏩ বানিজ্যিক খামারি (ট্রেডার)ঃ- একজন ট্রেডারের কাছে একজন সৌখীন কবুতর পালক বা ছোট খামারির গুরুত্ব অনেক বেশী। কেননা এই ছোট ছোট খামারিরাই তার মূল কাষ্টমার।এদের থেকে বেশিরভাগ কবুতর সাধারণত সৌখিন কবুতর পালকগন ক্রয় করেন।
⏩আমদানিকারকঃ- একজন IMPORTES বা আমদানি কারক এর কাছে একজন বড় ব্রিডার বা বড় খামরির গুরুত্ব অনেক বেশী থাকে কারন IMPORTES বা আমদানি কারকের আমদানিকৃত ৯৫% কবুতরের বড় ক্রেতা হলো বড় ব্রিডার। তাই একজন Importes একজন বড় ব্রিডারকে যতটুকো গুরুত্ব দেবে আমাকে (সৌখিন কবুতর পালককে) তার ১০০% এর ৫% ও গুরুত্ব দিবেনা এবং এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।যা আমাদের অনুধাবন করা উচিৎ। কেননা একজন Imports তার বানিজ্যিক কৌশলের কারনেই একজন বড় ব্রিডারকে বেশী গুরুত্ব দিবে এবং এটা খুবই স্বাভাবিক। কেননা একজন বড় ব্রিডারের খামারে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনভেস্টমেন্ট করা থাকে এই কারনে যতো বড় ব্রিডার ততো বড় ঝুকিও এখানে বিদ্যামান। তাই সবার সাথে সু সম্পর্ক রাখা তার একটি বানিজ্যিক কৌশল।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা চার শ্রেণীর কবুতর পালকের সম্পর্কে এবং কে কার সাথে কিরূপ আচরণ করবে সেটি আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরতে চেষ্টা করছি। যদি উক্ত আলোচনায় কোথাও কোন ভুল হয়ে থাকে তবে দয়া করে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে উপকৃত করবেন।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#কবুতর #pigeopigeonfarming
#
#pigeoniformation #pigeonfarming
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue