কবুতর পালন করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই।এই সমস্যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো কবুতরের রোগ। এক্ষেত্রে আমরা অনেকেই শখের বশে কবুতর পালন করলেউ প্রকৃতপক্ষে জানিনা যে কবুতর অসুস্থ হলে কিভাবে রোগ নির্ণয় করতে হয় এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়।আমরা অনেকেই কবুতর অসুস্থ হলে সাধারণত অভিজ্ঞ কবুতর পালকের নিকট হতে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা প্রাদান করি।এ ক্ষেত্রে সমস্যা হলো যদি পরামর্শ দাতার দেয়া চিকিৎসা ব্যার্থ হয় তবে সমস্ত দায় ভার তার কাঁধে তুলে দিতে চেষ্টা করি। হয়ত তিনি সঠিক চিকিৎসা দিয়েছিলেন কিন্তু রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত না জানার কারনে সঠিক পরিচর্যা দিতে পারিনি এটিই ব্যার্থতার মুল করন। কবুতর সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি ভালো পরিচর্যাও জরুরী। পূর্বে আমরা কবুতরের সমস্ত রোগের বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আজ আমরা কবুতরের কোন রোগ হলে কি চিকিৎসা প্রদান করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করবো। তবে চিকিৎসা দেবার পূর্বে উক্ত রোগ গুলো সম্পর্কে জেনে নিবেন।আর একটি কথা বলতে চাই সেটি হলো, কবুতর অসুস্থ হলো দ্রুত অভিজ্ঞ বা একজন ভালো ভেটেরিনারি ডক্টর এর কাছে পরামর্শ নিন। ধর্য্য ধরে চিকিৎসা প্রদান করুন ইনশাআল্লাহ কবুতর সুস্থ হয়ে যাবে।
কবুতর রোগে আক্রান্ত হলে সরাসরি দেখা ব্যাতিত চিকিৎসা প্রদান করা প্রায় অসম্ভব, কেননা একই কারণ বিভান্ন রোগের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পরে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।অনেকেই বলেন কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করতে, সেই কারনেই আজ আমরা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করবো। তবে অনুরোধ কেউ সঠিক রোগটি নির্ণয়ের পূর্বে কোন ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা আপনি নিজে বা যাকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন, আপনার একটি ভুল চিকিৎসা অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। সুতরাং আগে জানুন পরে চিকিৎসা প্রদান করুন। রোগ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে রোগের নামের উপরে ক্লিক করুন বা আমাদের ব্লগ টি ভিজিট করুন। ভালো লাগলে ব্লটি ফলো করুন এবং আপনার মতামতটি কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আমরা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করি। আমরা এই পোস্ট টিকে দুইটি ভাগে ভাগ করেছি।
✳১/ প্রচলিত ঔষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা।
✳২/ প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে চিকিৎসা।
আমরা এই পোস্ট টিতে প্রচলিত ঔষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করবো। আপনি যদি প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে চান তবে " (প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে চিকিৎসা) " এখানে ক্লিক করুন বা "(প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে চিকিৎসা)" এই অধ্যায়টি দেখুন। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে পরবর্তীতে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
★★★প্রচলিত ঔষুধের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ অনুযায়ী চিকিৎসাঃ-
✳১।ডিম আটকানো বা Egg Binding :- এই সমস্যা সমাধানে হোমিওপ্যাথি ঔষুধ Pulsatilla Mother ঔষুধ টি খুব কার্যকারি। ঔষুধটি ৩ ফোঁটা অল্প একটু পানির সাথে মিশিয়ে ২ ঘন্টা পর পর খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি ডিমটির সফল পাসিং এর জন্য স্যালাইন পানি খাওয়ানোর ব্যবস্হা করতে হবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳২। অপুষ্টি ও বিপাকীয় রোগঃ- এই রোগটির বিভিন্ন করনে হয়ে থাকে। সুতরাং রোগের ধরনের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দিতে হবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳৩। ছত্রাক সংক্রমণ বা Fungal Diseases:- এই রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে Two Plus এক লিটার পানিতে ২ মিলি পরিমাণ ঔষুধ মিশিয়ে ৫ মিলি করে অসুস্থ কবুতরগুলোকে খাইয়ে দিতে হবে।এভাবে দিনে ২ বার ৭ থেকে ১০ দিন খাওয়াতে হবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳৪।ম্যালেরিয়াঃ- কবুতরের ম্যালেরিয়া হলে Avloquin ১ সিসি+Jasoprim ১ সিসি + Glucos ১ সিসি এবং Electromin ১ গ্রাম এই ৪ টি ঔষুধ একসাথে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে অসুস্থ কবুতরগুলোকে ১০ সিসি পরিমাণ ঔষুধ দিনে ৩ বার করে ৭ থেকে ১০ দিন খাওয়াতে হবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳৫। বহিঃপরজীবি বা Parasite Diseases:- কবুতরের বহিঃপরজীবি সমস্যা সমাধানের A-Mectin Vet খুব ভালো কাজ করে। এটি কবুতরের মাথার পেছনে ১ ফোঁটা, পিঠের মাঝখানে ১ ফোঁটা, লেজের শেষ প্রান্ত অর্থাৎ গোড়ার দিকে ১ ফোঁটা, এবং কবুতরের দুই ডানায় ২ ফোঁটা দিতে হয়। ঔষুধ প্রয়োগের দিন কবুতরকে গোছল করানো যাবে না এবং একই নিয়মে ১৪ দিন পর আবার ঔষুধ টি প্রয়োগ করতে হবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳৬। Pigeon Chlamydia:- Chlamydia চিকিৎসায় Tetracycline বা Doxycycline (Tab১০০ Gm Vet ) ঔষুধ টি ৪ ভাগ করে এক ভাগ অর্থাৎ ২৫ গ্রাম করে সকালে এবং এক ভাগ বিকালে এভাবে দিনে ২ বার ১০ থেকে ২১ দিন খাওয়াতে হবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳৭। Adeno Virus:-প্রকৃতপক্ষে এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই তবে E-Coli এবং Hexamita এর চিকিৎসা করা যেতে পারে। এই ভাইরাস প্রতিরোধের কার্যকারি ব্যবস্হা নেয়াই উত্তম। তবে Improver(বিদেশি) ঔষুধ টি এই রোগ নিরাময়ে বেশ কার্যকারি।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳৮। Wet Dropping বা পাতলা পায়খানাঃ- Electromin( স্যালাইন )ঔষুধ টি ১ গ্রাম এক লিটার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াবেন ৩ থেকে ৫ দিন। যদি এতে সঠিকভাবে কাজ না হয় তবে Electromin( স্যালাইন ) এর পাশাপাশি Enrosin( ভেট ) আক্রান্ত কবুতরকে ৪ থেকে ৫ ফোটা করে দিনে তিন বার। অথবা ১ এম.এল ১ লিটার পানিতে। ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳৯। Circo Virus:- প্যাথলজিক্যাল পরিক্ষা ছারা এ রোগ সঠিক ভাবে নির্ণয় সম্ভব নয়। তাই প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেবার সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে Improver(বিদেশি) বা Oxecylin এবং AntiFungal ঔষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে Improver ঔষুধ টি Circo Virus এর চিকিৎসায় কার্যকারী।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳১০। Trichinosis বা কোষের সংক্রমণঃ- এই রোগের Metronidazole 400 mg ঔষুধটি ১৬ ভাগ করে ১ ভাগ করে দিনে দুই বার ৫ থেকে ৭ দিন।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳১১। খাদ্য শস্য আটকানো বা Sour Crop:- যদি পাকস্থলী পানিতে পরিপূর্ণ থাকে তবে কবুতরটির মাথা নিচ দিকে ধরে হালকা চাপ দিয়ে পানি বের করে দিতে হবে। এর পর Doxivet এক গ্রাম এক লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে দুই বার খাওয়াতে হবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳১২। ঠান্ডা বা সর্দি জনিত সংক্রমণ :-এই জাতিও রোগ হলে Doxy-Oxy বা Tylovet এর যে কোন একটির থেকে ১ গ্রাম নিয়ে সাথে Siprosin Vet ১ মিলি একত্রে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে দুই বার ৫ থেকে ৭ দিন খাওয়াতে হবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳১৩।পক্সঃ- কবুতরের বয়স যদি ২০ দিনের বেশি হয় তবে Tab.Phylopen DS ( Flucloscasin)ঔষুধ টির মধ্যে থাকা পাউডার গুলো বের করে অধেক পরিমাণ ঔষুধ দের সাথে ৫ সিসি পরিমাণ পানিতে গুলিয়ে প্রতিদিন ২ বার (সকাল + রাত)খাওয়াতে হবে, এভাবে ৭ দিন খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি এই ৭ দিন দুপুরে একটি করে কর্ডলিভার ওয়েল সরাসরি খাইয়ে দিতে হবে এবং ১ লিটার পানির সাথে ২ এম.এল B-complex মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
আর যদি কবুতরের বয়স ২০ দিনের কম হয় তবে হোমিওপ্যাথি Lidampal 30 - দুইটি করে বড়ি ২ টাইম (সকাল+বিকাল)তিন দিন। তিন দিন পর Lidampal 200 -এক টাইম ২টা করে বড়ি ১ বেলা। ২০ দিন পূর্ণ হবার পর উপরের চিকিৎসা গ্রহণযোগ্য।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳১৪। Avian Influenza:- কবুতরের ক্ষেত্রে তেমন কোন লক্ষণ চিহ্নিত করা সম্বাবপর হয়নি। সবুজ পাতলা পায়খানা,ঝিমানো,ক্ষুদামন্দা, হটাৎ করে মারা যাওয়া এসব সাধারন লক্ষণ হিসেবে ধরাহয়। সুতরাং প্যাথলজিক্যাল পরিক্ষা ছারা এ রোগ নির্ণয় সম্ভব নয়।উপরোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা দেবার সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। যদিও রোগ নির্ণয় হবার পর Norcin Care + Acidifier + immolyte সব গুলো ঔষুধ থেকে ১ এম.এল করে নিয়ে এক লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ থেকে ৭ দিন খাওয়াতে হবে। উক্ত ঔষুধ গুলো Avian Influenza এর ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকারী।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳১৫।শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণঃ-কবুতরের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ দেখা দিলে Stiagen Vet এবং Broncho Vet এই দুইটি ঔষুধ এক গ্রাম করে নিয়ে এক লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিন বার ৫ থেকে ৭ দিন খাওয়াতে হবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳১৬। ই- কোলিঃ- কবুতরের ই- কোলি হলে Tab Zimax ( Azithomisin) চার ভাগের একভাগ করে দিনে দুই বার খাওয়াতে হবে। অথবা Zimax Suspension দুই এমএল নিয়ে এক লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে দুই বার ১০ এম এল পরিমান খাওয়াতে হবে ৫ থেকে ৭ দিন।অথবা আধা এমএল করে সরাসরি খাইয়ে দিবেন। দিনে দুই বার। ৫ থেকে ৭ দিন।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳১৭। রক্ত আমাশয় বা Coccidiosis:- কবুতরের রক্ত আমাশয় হলে SCZ-WSP এবং Doxy-OXY দুইটি ঔষুধ থেকে ১ গ্রাম করে নিয়ে একসাথে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে দুই বার ১০ এম.এল করে খাওয়াবেন। ৫ থেকে ৭ দিন।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳১৮। কৃমি সংক্রমণঃ- কবুতরের কৃমি এর সংক্রমণ হলে Avinex ঔষুধটি ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম পরিমান মিশিয়ে ৫-১০ এমএল করে খাওয়াতে হবে। চাইলে সব গুলোকে একত্রে একটি পাত্রে দিতে পারেন।তবে অবশ্যই খালি পেটে কৃমির কোর্স করাতে হবে এবং ঔষুধ প্রয়োগের ২ ঘন্টা পর খাবার ও পানি দিতে হবে।এছাড়াও কৃমির ঔষুধ প্রয়োগের পূর্বে তিন দিন Liver Tonic( প্রতি লিটার পানিতে ২ এমএল) দিবেন।
উপরোক্ত ঔষুধটি ২/৩ দিনে ডিম দিবে বা বাচ্চা খাওয়াচ্ছে এমন মা বাবা, বা ডিমে তা দিচ্ছে বা ২.৫ মাসের চেয়ে কম বয়সি বাচ্চা, এমন কবুতরগুলোকে Avinex দেয়া যাবে না।কৃমির কোর্স করানোর পরবর্তী ৪৫ দিন পর আবার একই নিয়মে কোর্স করাতে হবে। প্রতিবার কৃমির কোর্স শেষে ৩ দিন Multivitamin (প্রতি লিটারে ১ এমএল) ও পরবর্তী ৩ দিন Probiotic (প্রতি লিটারে ১ এমএল) করে পানিতে মিশিয়ে খেতে দিতে হবে।
অথবা সব ধরনের কবুতরের জন্য Acimec 1% প্রতি লিটার পানিতে ১ এমএল ঔষুধ মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
অথবাঃ- Wormazole বড় কবুতরগুলোকে ৪ ফোঁটা এবং ছোট গুলোকে ২ ফোঁটা করে হাতে ধরে খাইয়ে দিতে হবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳১৯। ক্যাংকারঃ- কবুতরের ক্যাংকার হলে বা মুখের ভেতর ঘা হলে Metronidazole 400 mg ঔষুধটি ১৬ ভাগ করে ১ ভাগ করে সকাল বিকাল দুই টাইম ৫ থেকে ৭ দিন খাওয়াতে পারেন। অথবা Metronidazole Suspension এক এমএল ঔষুধ এক লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ এমএল করে দিনে ২ বার ৫ থেকে ৭ দিন। ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳২০। সালমোনেলোসিস বা সালমোনিল্লাহঃ- রোগের আধিক্য এর ক্ষেত্রে সালমোনিল্লাহ্ নিরাময়ে Orasin K Suspension (Human) নিয়ম অনুযায়ী মিক্স করে সেটি থেকে ২ সিসি, ২ গ্রাম স্যালাইন এবং ২ সিসি Syp Flazil, এই তিনটি ঔষুধ ৫ এমএল পানিতে মিক্স করে ৫ সিসি করে অসুস্থ কবুতরগুলোকে খাওয়াতে হবে। দিনে ৩ বার( সকাল/দুপুর /রাতে) ৩ থেক ৫ দিন দিবেন। মনে রাখবেন ঔষুধ ১ ঘন্টা পূর্বে অবশ্যই অসুস্থ কবুতরকে রাইছ স্যালাইন দিবেন।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳২১।রানিক্ষেতঃ- Tylovet 10g বা Doxy-A-Vet খাওয়াতে পারেন । দিনে এক বা দু বার ১গ্রাম পাউডার ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০গ্রাম পানি ১ টি কবুতরকে খাওয়াতে হবে।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
✳২২। Young Bird Sickness:-
দিনে ১ থেকে দেড় ঘন্টা অবশ্যই কবুতরের বাচ্চাকে রোদে দিতে হবে। ৫/৬ দিনের বাঁচ্চাকে Tab.Vitamin B-complex দুই ভাগ করে একদিন পর একদিন দিনে ১ বার অর্ধেক ঔষুধ খাওয়াতে হবে ৫ থেকে ৭ দিন।পাশাপাশি Tab. Aristocal-D, ৮ ভাগের ১ ভাগ, দিনে ১ বার ১ ভাগ করে ৫ থেকে ৭ দিন খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি কারমিনা সিরাপ Syp- Karmina এক লিটার পানিতে ২০ এমএল পরিমান ঔষুধ মিশাতে হবে। ঔষুধ মিশ্রিত পানি মা বাবাকে প্রতিদিন একবেল ১০ এমএল পরিমান খাওয়াতে হবে এবং বাচ্চাকে সিরিঞ্জে করে ৫ এম এল পরিমান সিরাপ মিশ্রিত পানি দিনে একবেলা খাওয়াতে হবে।
এবং বাচ্চার ডিমের পাত্র পরিস্কার রাখার পাশাপাশি বেবীকে হাতে ধরে অল্প অল্প করে খাদ্য খাইয়ে দিতে হবে, দিনে একবার বা দু'বার। মনে রাখবেন, খাদ্য খাওয়ানোর পর পানি না খাওয়ালে, বেবীর পেটে খাদ্য ফুলে, বেবী মারা যেতে পারে।
এভাবে ৮/১০ দিন বেবীর পরিচর্যা নিন।
***প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসাঃ-
উপরোক্ত চিকিৎসা সমুহ শুধু মাত্র কবুতরের যে সমস্ত রোগ হয় সেই অনুযায়ী উক্ত রোগ সমূহের চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। হয়তো উপরোক্ত চিকিৎসা সমুহ আপনার চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে নাউ মিলতে পারে সুতরাং কবুতরের অসুস্থতার ধরণ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করুন। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা। কবুতর অসুস্থ হলে সর্বপ্রথম যে কাজটি প্রয়োজন সেটি হলো সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা।রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কারো সহযোগিতা গ্রহন করুন এবং রোগ অনুযায়ী ঠান্ডা মাথায় অতিধর্য্যের সাথে চিকিৎসা প্রদান করুন। যদি উপরোক্ত চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাপারে আপনার কোন মতামত থাকে তবে আমাদের কে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন বা সরাসরি মেইল করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ- পানিতে মিশ্রিত ঔষুধ কোন অবস্থাতেই ৬ ঘন্টার অধিক সময় রাখা বা কবুতরকে পরিবেশন করা যাবে না।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং পোস্টটি সম্পর্কে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন।কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue