যুগেরপর যুগ ধরে কবুতর পালন হয়ে আসছে।এরই ধারাবাহিকতায় কবুতর পালন করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই। এটি কোন নতুন বিষয় নয়।এই সমস্যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো কবুতরের রোগ। এক্ষেত্রে আমরা অনেকেই শখের বশে কবুতর পালন করলেউ প্রকৃতপক্ষে জানিনা যে কবুতর অসুস্থ হলে কিভাবে রোগ নির্ণয় করতে হয় এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়।আমরা অনেকেই কবুতর অসুস্থ হলে সাধারণত অভিজ্ঞ কবুতর পালকের নিকট হতে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা প্রাদান করি।এ ক্ষেত্রে সমস্যা হলো যদি পরামর্শ দাতার দেয়া চিকিৎসা ব্যার্থ হয় তবে সমস্ত দায় ভার তার কাঁধে তুলে দিতে চেষ্টা করি। হয়ত তিনি সঠিক চিকিৎসা দিয়েছিলেন কিন্তু রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত না জানার কারনে সঠিক পরিচর্যা দিতে পারিনি এটিই ব্যার্থতার মুল করন। কবুতর সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি ভালো পরিচর্যাও জরুরী। পূর্বে আমরা কবুতরের সমস্ত রোগের বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আজ আমরা কবুতরের কোন রোগ হলে কি চিকিৎসা প্রদান করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করবো। তবে চিকিৎসা দেবার পূর্বে উক্ত রোগ গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া জরুরী ।আর একটি কথা বলতে চাই সেটি হলো, কবুতর অসুস্থ হলো দ্রুত অভিজ্ঞ বা একজন ভালো ভেটেরিনারি ডক্টর এর কাছে পরামর্শ নিন। ধর্য্য ধরে চিকিৎসা প্রদান করুন ইনশাআল্লাহ কবুতর সুস্থ হয়ে যাবে।
কবুতর রোগে আক্রান্ত হলে সরাসরি দেখা ব্যাতিত চিকিৎসা প্রদান করা প্রায় অসম্ভব, কেননা একই কারণ বিভান্ন রোগের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পরে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।অনেকেই বলেন কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করতে, সেই কারনেই আজ আমরা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করবো। তবে অনুরোধ কেউ সঠিক রোগটি নির্ণয়ের পূর্বে কোন ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা আপনি নিজে বা যাকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন, আপনার একটি ভুল চিকিৎসা অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। সুতরাং আগে জানুন পরে চিকিৎসা প্রদান করুন। পূর্বে আমরা কবুতরের যে সমস্ত রোগ হয়ে থাকে তার মূল চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা করেছিলাম। আজ আমরা আলোচনা করবো কবুতরের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী কি চিকিৎসা দেয়া যায় এই সম্পর্কে। তবে এখানে একটা কথা না বল্লেই নয় সেটি হলো, পূর্ব আমরা কবুতরের রোগ সম্পর্কে আলোচনা করেছি এই রোগ গুলোই মূলত কবুতরের প্রধান রোগ। প্রতিটা রোগের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা লক্ষণ রয়েছে সুতরাং চিকিৎসা দেবার পূর্ব উক্ত লক্ষণ গুলো বিবেচনা এবং পর্যবেক্ষন জরুরী। তবে এ সমস্ত রোগের বাইরে কবুতরের শুধু যদি আলাদা আলাদা লক্ষণ প্রকাশ পায় তবে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা কবুতরের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা করবো। তবে পূর্বে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি আমরা দুইটি ভাগে ভাগ করে আলোচনা করেছিলাম। তেমনি এই আলোচনা টিও আমরা দুইটি ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা অধ্যায়ে আলোচনা করবো।
⏩ক) প্রচলিত ওষুধের মাধ্যমে কবুতরের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা।
⏩খ)প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে কবুতরের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা।
চলুন তাহলে মূল আলোচনায় আসা যাক।
ক) প্রচলিত ওষুধের মাধ্যমে কবুতরের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসাঃ-
✳১।সবুজ পায়খানা / চুনা পায়খানা/ আমাশয়ঃ- SCZ-WSP এবং Doxy-OXY দুইটি ঔষুধ থেকে ১ গ্রাম করে নিয়ে একসাথে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে দুই বার ১০ এম.এল করে খাওয়াবেন। ৫ থেকে ৭ দিন।
আজ আমরা কবুতরের কোন রোগ হলে কি চিকিৎসা প্রদান করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করবো। তবে চিকিৎসা দেবার পূর্বে উক্ত রোগ গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া জরুরী ।আর একটি কথা বলতে চাই সেটি হলো, কবুতর অসুস্থ হলো দ্রুত অভিজ্ঞ বা একজন ভালো ভেটেরিনারি ডক্টর এর কাছে পরামর্শ নিন। ধর্য্য ধরে চিকিৎসা প্রদান করুন ইনশাআল্লাহ কবুতর সুস্থ হয়ে যাবে।
কবুতর রোগে আক্রান্ত হলে সরাসরি দেখা ব্যাতিত চিকিৎসা প্রদান করা প্রায় অসম্ভব, কেননা একই কারণ বিভান্ন রোগের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পরে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।অনেকেই বলেন কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করতে, সেই কারনেই আজ আমরা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করবো। তবে অনুরোধ কেউ সঠিক রোগটি নির্ণয়ের পূর্বে কোন ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা আপনি নিজে বা যাকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন, আপনার একটি ভুল চিকিৎসা অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। সুতরাং আগে জানুন পরে চিকিৎসা প্রদান করুন। পূর্বে আমরা কবুতরের যে সমস্ত রোগ হয়ে থাকে তার মূল চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা করেছিলাম। আজ আমরা আলোচনা করবো কবুতরের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী কি চিকিৎসা দেয়া যায় এই সম্পর্কে। তবে এখানে একটা কথা না বল্লেই নয় সেটি হলো, পূর্ব আমরা কবুতরের রোগ সম্পর্কে আলোচনা করেছি এই রোগ গুলোই মূলত কবুতরের প্রধান রোগ। প্রতিটা রোগের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা লক্ষণ রয়েছে সুতরাং চিকিৎসা দেবার পূর্ব উক্ত লক্ষণ গুলো বিবেচনা এবং পর্যবেক্ষন জরুরী। তবে এ সমস্ত রোগের বাইরে কবুতরের শুধু যদি আলাদা আলাদা লক্ষণ প্রকাশ পায় তবে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা কবুতরের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা করবো। তবে পূর্বে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি আমরা দুইটি ভাগে ভাগ করে আলোচনা করেছিলাম। তেমনি এই আলোচনা টিও আমরা দুইটি ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা অধ্যায়ে আলোচনা করবো।
⏩ক) প্রচলিত ওষুধের মাধ্যমে কবুতরের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা।
⏩খ)প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে কবুতরের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা।
চলুন তাহলে মূল আলোচনায় আসা যাক।
ক) প্রচলিত ওষুধের মাধ্যমে কবুতরের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসাঃ-
✳১।সবুজ পায়খানা / চুনা পায়খানা/ আমাশয়ঃ- SCZ-WSP এবং Doxy-OXY দুইটি ঔষুধ থেকে ১ গ্রাম করে নিয়ে একসাথে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে দুই বার ১০ এম.এল করে খাওয়াবেন। ৫ থেকে ৭ দিন।
✳২।সবুজ পায়খানার সাথে চুনা পায়খানাঃ- এসব রোগের জন্য SCZ- WS ১ এম.এল+Toylovet ১ এম.এল+Electromin( স্যালাইন ) ১ গ্রাম করে। তিনটি ঔষুধ একসাথে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে কবুতরকে খাওয়াতে হবে। বা ১০ এম.এল করে ধরে খাওয়াবেন দিনে দুই বার। ৫ থেকে ৭ দিন।
✳৩।ঠান্ডা/কাশি/জ্বরঃ- এর কোন একটি রোগ হলে Doxy-Oxy বা Tylovet এর যে কোন একটির থেকে ১ গ্রাম নিয়ে সাথে Siprosin Vet ১ মিলি একত্রে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে দুই বার ৫ থেকে ৭ দিন খাওয়াতে হবে।
✳৪।হটাৎ বমি করলে বা বদহজম হলেঃ- Electromin( স্যালাইন ) ১ গ্রাম+ Hajmi ( হারবাল)১ এম.এল+ Zincare ১ এম.এল। তিনটি ঔষুধ একসাথে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে দুই বার ১০ এম.এল করে খাওয়াতে হবে। এভাবে ৩ থেকে ৫ দিন ব্যবহার করতে হবে।
অথবাঃ- Multizyme BT ঔষুধ টি ১ লিটার পানিতে ১এম.এল গুলিয়ে দিনে এক বার খাওয়াতে পারেন।
✳৫। হিট স্ট্রোকঃ- Fastercool ঔষুধ টি ১ গ্রাম এক লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে এক বার খাওয়াতে হবে। এভাবে ৩ থেকে ৫ দিন ব্যবহার করতে হবে ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
✳৬।ডিম না জমলে/ ডিম দেয়া বন্ধ করে দিলেঃ-প্রথমে নর মাদিকে আলাদা করে Calbo-D + Lisovit দুইটা একসাথে দিবেন ১ লিটার পানিতে ২ এম.এল। ৫ থেকে ৭ দিন।এটা শেষ হলে দ্বিতীয় ধাপে ADE3 বা E-Sel ১ এম.এল ঔষুধ এক লিটার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াবেন ৫ থেকে ৭ দিন। পাশাপাশি উন্নত মানের গ্রিড দিবেন।এক মাস পর আবার জোরা দিন ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
✳৭।প্যারালাইসিসঃ- কবুতর হঠাৎ দাঁড়াতে পারছে না বা ডিম দেওয়ার পর হাটতে পারছে না কিংবা পায়ে আঘাত জনিত ব্যাথা পেয়েছে। Syp-Calcium + Syp-Zincare + Syp-Deltason ৩ টা ঔষুধ থেকে ২ এম.এল করে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৪ থেকে ৫ দিন খাওয়াতে হবে। ইনশাআল্লাহ কবুতর ঠিক হয়ে যাবে।
অথবা Syp- Paralysis Cure এক গ্রাম এক লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে এক বার(সকালে) দিবেন ৫ থেকে ৭ দিন। সাথে Rena-Ws ১ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে একবার ( বিকালে ) ৫ থেকে ৭ দিন।
✳৮। ডিমের ভেতর বাচ্চা মারা যাওয়াঃ- এই সমস্যা সমাধানে Syp-Calbo-D ২ এম.এল এবং Syp-Zincare ২ এম.এল এই দুইটা ঔষুধ একসাথে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩ থেকে ৪ দিন খাওয়াতে হবে।এর পর ৩ থেকে ৪ দিন বিরতি দিয়ে Multivitamin ২ এম.এল ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে খাওয়ান ৩ থেকে ৪ দিন।ইনশাআল্লাহ সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
✳৯।ক্ষতের সৃষ্টি হলে বা বাচ্চার নাভির ইনফেকশনঃ- কবুতরের বাচ্চার নাভিতে ইনফেকশন বা কোন কারণে কবুতরের শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি হলে Tab-Panvik ৪ ভাগের এক ভাগ + Tab Riboflavin ২ ভাগের একভাগ +Oracin-K ৪ ভাগের একভাগ করে এই ঔষুধ তিনটি দিনে দুই বার করে ৪ থেকে ৫ দিন খাওয়াতে হবে পাশাপাশি কবুতরের ক্ষতের যায়গা নিয়মিত পরিস্কার করে দিতে হবে। বাচ্চার ক্ষেত্রে শুধু প্রাকৃতিক চিকিৎসা অনুসরণ করুন।
✳১০।পালক ফুলানোঃ- কবুতরের পালক ফুলানো মানেই রোগ নয়। কখনো কখনো শীতের কারনে বা আবহাওয়ার কারনেউ কবুতর এটি করে থাকে।তবে যদি কবুতরের এই সভাবটি নিয়মিত দেখা যায় তাহলে। Zincare + Hajmi (Hamdad) ঔষুধ দুইটি থেকে ২ এম.এল পরিমাপ নিয়ে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে দুই বার খাওয়াতে হবে। এভাবে ৩ থেকে ৫দিন খাওয়াতে হবে। ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
✳১১।কবুতরের পেটে গ্যাস হলেঃ- মানুষের গ্যাসের ঔষধ Niotac ১০ ভাগের একভাগ ১ এক লিটার পানিতে মিশিয়ে সেটা থেকে ৫ সিসি পরিমাণ ঔষুধ কবুতরকে খাইয়ে দিন।প্রয়োজনে দিনে দুইবার দিন। ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
✳১২।পা বা পাখা ভেঙে যাওয়াঃ- যেখানে হাড় ভেঙ্গেছে সেখানে দুই জায়গা টেনে ভাঙ্গা মুখ কাছাকাছি এনে দুইটা মুখ হালকা চাপ দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।এর পর ভাঙ্গা হাড়ের চার পাশে মোটা তুলার প্রলেপ দিয়ে তার চার পাশে ৩-৪ টি মসৃণ কাঠ বা বাঁশের টুকরো লাগিয়ে সুন্দর ভাবে ব্যান্ডেজ জরিয়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ব্যান্ডেজ যেন বেশী শক্ত বা বেশী আলগা না হয়।
এবার Orasin-K ১ মিলি+ORS ১ গ্রাম নিয়ে দুইটা ঔষুধ একসাথে ২ থেকে ৩ মিলি পানিতে মিক্স করে দিনে ৩ বার কবুতরকে খাইয়ে দিন।এভাবে ৪ থেকে ৫ দিন দিতে হবে । এর পর Calbo D দিতে হবে ৪ থেকে ৫ দিন। ট্যাবলেট হলে ৪ ভাগের এক ভাগ, লিকুইড ১ এমএল পরিমাণ নিয়ে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিনে এক বার।
✳১৩।চোখের সংক্রমণ হলে/চোখ ওটাঃ- কবুতরের চোখে সংক্রমণ হলে প্রথমে সেটি পটাস মিশ্রিত পানি দিয়ে মাঝে মাঝে পরিস্কার করবেন। ঔষুধ হিসেবে Criprocin drop বা Gatison বা সিভডেক্স ভেট এর যে কোন একটি ঔষুধ ১ ফোঁটা করে দিনে ২ বার কবুতরকে চোখে দিন। পাশাপাশি আক্রান্ত কবুতরকে Criprocin syp ১ এম.এল + Respiron ১ এম.এল+ Multivitamin ২ গ্রাম। এই তিনটি ঔষুধ একসাথে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ এম.এল করে আক্রান্ত কবুতরকে দিনে এক বার ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াতে হবে।
✳১৪। কবুতর টাল হলেঃ-কবুতর টাল হলে প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘন্টা রোদে দেবার পাশাপাশি মানুষের ঔষুধ Tab Biovit বা Tab Thiovit এর যে কোন একটির থেকে ১ টা করে ১৫ দিন প্রতিদিন সকালে দিবেন। এবং বিকালে Sancal D বা Calcin D এর যে কোন একটি ওষুধের অর্ধেক করে প্রতিদিন বিকালে একবার ১৫ দিন দিবেন। যদি এটিতে কাজ না হয় তবে Neuro-B ইনজেকশন কবুতরের বুকের মাংসে ৩০ ইউনিট অর্থাৎ এক সিসির তিন ভাগের এক ভাগ ৭ দিন দিবেন।এটা শেষ হলে Cordliver Oil প্রতিদিন একটা করে ৭ দিন খাওয়াতে হবে। তবে বলে রাখা ভালো টাল বিভিন্ন কারনে হতে পারে অবশ্যই টালের চিকিৎসা করার পূর্বে প্রকৃত রোগের চিকিৎসা করতে হবে।
✳১৫। চোখের কর্নিয়ার ক্ষতঃ-
Orbidex C নামে মানুষের চোখের ড্রপ নিন এখান থেকে ১ ফোঁটা করে দিনে ৪ থেকে ৫ বার ২ চোখে প্রয়োগ করুন। একই নিয়মে ৬ থেকে ৭ দিন চোখে দিতে হবে।
✳১৬।চোখের ছানিঃ-Orbidex T + Trimolo Osl 5% নামে ২ টি মানুষের চোখের ড্রপ ১০ মিনিট আগে পড়ে করে ২ চোখেই ১ ফোঁটা করে দিনে ৩-৪ বার।এভাবে ৭ দিন চোখে দিতে হবে।
✳১৭।বিভিন্ন কীট পতাঙ্গাদি- ইদুর/ কুকুর/বিড়াল/মৌমাছি/ ইত্যাদি কামর দিলেঃ- কামরের ফলে যদি রক্ত বের হয় তাহলে Hexisol/Povisep/ Sevlon বা যেকোন Antiseptic দ্বারা আক্রান্ত স্থান পরিস্কার করে দিতে হবে।
এর পর কোন ধরনের প্রাণী কামর দিয়েছে সেটি অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে।
***ক) যদি কুকুকে কামড়ায় তাহলে হোমিও Hydrophobia30 (হোমিও) ঔষুধটি ১ ফোঁটা করে ১ থেকে ২ ঘণ্টা পরপর কবুতরকে খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে নাইট্রিক বা কার্বলিক এসিড ক্ষত স্থানে আগে লাগানোর ব্যাবস্থা করতে হবে।
***খ) ইঁদুর/বিড়াল/মৌমাছি/ বোলতা বা বিষাক্ত কিছুতে কামড়ালে, Ledum Pal30 (হোমিও) দিনে ৩ থেকে ৪ বার করে ২ থেকে ৩ দিন ব্যাবহার করতে হবে।
এসমস্ত ঔষুধের পাশাপাশি রক্ত পরিস্কারক হিসাবে হোমিও Echinesia Mother- ১ থেকে ২ ফোঁটা করে দিনে ৪ থেকে ৫ বার।এভাবে ৫ থেকে ৬ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যায়। এবং ব্যাথার সাথে যদি গায়ে তাপমাত্রা বেশী থাকে তবে Beledona 30 (হোমিও) খাওয়াতে হবে ১ ফোটা করে দিনে ৩ থেকে ৪ বার। আর যদি গায়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। তবে Arnicamont 30 (হোমিও)ঔষুধটি খাওয়াতে পারেন ১ ফোটা করে দিনে ৩ থেকে ৪ বার খাওয়ান এবং আঘাতের স্থান প্রতিদিন পরিস্কার করুন ও খেয়াল রাখুন।
✳১৮।কবুতরের পেটে পানি জমা বা উদরী/শোথঃ- এক্ষেত্রে আপনাকে B-complex বা লিভার টনিক ও ভাল মানের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। কবুতর কে গরম জায়গাতে রাখতে হবে। নিয়মিত ক্রিমির ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।
✳১৯। কবুতর বাচ্চাকে খাওয়ানো ছেড়ে দিলে/বাচ্চাকে ঠোঁকরায়/নর-মাদী মারামারি করে/কয়েক দিন ডিমে তাপ দেবার পর ডিমে বসে নাঃ- নর মাদিকে কমপক্ষে এক মাসের রেষ্ট দিন। রেষ্ট চলাকালীন সময়ে প্রথম সপ্তাহ Multivitamin দিন, পাশাপাশি ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার প্রদান করুন ও কৃমির কোর্স করান।
✳২০। পাখা লক বা পাখা অবস হলেঃ- কবুতরের পাখা অবশ বা পাখা আটকানো একটি অত্যন্ত খারাপ ও দীর্ঘমেয়াদি রোগ। এটি হলে Vitamin B-complex ২ এম.এল ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে, ১০ এম.এল পরিমাণ মিশ্রণ দিনে দুই বার খাওয়াতে হবে।
ভাল মানের গ্রিট সরবরাহ করতে হবে। সম্ভব হলে রোদে দিবেন।
✳২১। কবুতরের বাচ্চার পা বাঁকাঃ- কম বয়স থাকাকালীন চিকিৎসা শুরু করলে অনেক দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু বাচ্চা বড় হয়ে হাড় শক্ত হয়ে গেলে তা ঠিক হয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
❣️১ম পদ্ধতি – পায়ের গোড়ালি ও হাটুর মাঝের স্থানে স্টিকি ব্যান্ডেজ দিয়ে এমনভাবে পেচিয়ে দিতে হবে যাতে বাচ্চা নিজ পায়ের উপর ভর করে দাড়াতে পারে এবং নাড়াচাড়া করতে পারে। ব্যান্ডেজ যাতে দুই পাকে বেশি কাছাকাছি নিয়ে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
❣️২য় পদ্ধতি – মেক-আপ এর স্পঞ্জ কেটে নিয়ে, নির্দিষ্ট জায়গায় দুটি ছিদ্র করে পাখির পা দুটো ঢুকিয়ে দিতে হবে। এভাবে বাচ্চাকে ১-২ সপ্তাহ দেখাশুনা করতে হবে। হাড্ডি শক্ত হলে যখন মেক-আপ স্পঞ্জ পড়েও পাখি দাড়াতে পারবে, তখন স্পঞ্জ থেকে তার পা বের করে দিতে হবে।
❣️৩য় পদ্ধতি – একটি নরম চুল বাধার ব্যান্ড নিয়ে স্ট্র ছোট করে কেটে সেটার ভিতর দিয়ে ব্যান্ড ঢুকিয়ে দুই কোনার ভিতর দিয়ে দুই পা ঢুকিয়ে দিতে হবে। স্ট্র এমন ভাবে কাটতে হবে যাতে বাচ্চার পায়ে তা ঘষা না খায়।
প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করলে ২-৩ দিনেই বাচ্চা সুস্থ হয়ে নিজেনিজে সঠিকভাবে হাটা শুরু করতে পারবে, অন্যথায় ১-২সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
❣️ চতুর্থ পদ্ধতি -
অনেক সময় বাচ্চা কবুতর এর পায়ের আঙুল বেকে যায় যা আঙুল আলাদা ব্যান্ডেজ করে সোজা কোণো পাঈপ জাতীয় ফ্রেম এ ভরে কিছু দিন রাখলে অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায় । এদের কে একটু আলাদা করে বা আলাদা খাঁচায় রাখতে হবে ।(চিকিৎসা টি Montu Nazmul এর পোস্ট থেকে নেওয়া)
✳২২। অরুচি বা খুদামন্দঃ- প্রথমে কবুতরের কৃমির ঔষুধ খাওয়ানো নিশ্চিত করতে হবে। এর পর নিয়মিত ভাবে Vitamins, Calcium দেয়া।
✳২৩। বাচ্চার ছোট বড় হওয়া সমস্যাঃ- সাত থেকে আট দিন বয়সের বড় বেবি কে প্রতিদিন এক ঘন্টার জন্য অন্যত্রে যত্নসহকারে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে রাখবেন।
তখন প্যারেন্টস ছোট বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াবে, এবং এভাবে প্রতিদিন এ পদ্ধতি অনুসরণ করবেন। একটা সময় দেখবেন প্রায় সমান সমানহ য়ে যাবে। এসম কবুতরের বাচ্চা এবং প্যারেন্টসকে, Multivitamin দেয়া।
⏩প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে কবুতরের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
#pigeon #কবুতর #feralrockdove
#pigeontreatmant
#treatmant
*******Thank You *******
1 মন্তব্যসমূহ
সুন্দর
উত্তরমুছুনThanks for Commenting! please follow our blog and see update continue