যুগের পর যুগ ধরে আমাদের দেশে কবুতর পালন হয়ে আসছে। কখনো এটি শুধুমাত্র শখের বসে আবার কেউ কেউ বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালন করে থাকেন।মাঝে মাঝে কবুতর পালন এর ক্ষেত্রে আমরা জানা অজানা অনেক কুসংস্কার এর সম্মুখীন হই।কখনো তা বুঝতে পারি আবার তা বুঝিও না, না বুঝেই লোকমুখে শোনা এসব কথা গুলোকে মনে প্রানে বিশ্বাস করি। এসব কুসংস্কার এর কারনে আমরা অনেক সময় কবুতর পালনে নিরউৎসাহ দেখিয়ে থাকি।যদিও এসব কুসংস্কার বহুকাল ধরে মানুষের মাঝে প্রচলিত। কুসংস্কার (ইংরেজি: superstition) হল অযৌক্তিক যেকোনো বিশ্বাস বা অভ্যাস। এছাড়াও "কুসংস্কার" বলতে ধর্মীয় বিশ্বাস বা অযৌক্তিকতা থেকে উদ্ভূত কর্মকাণ্ডকে বোঝায়। চলুন আমরা আজ এমন কিছু কুসংস্কার সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করি যা যুগের পর যুগ ধরে কবুতরের পালনের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে।
নিম্নে এমন কয়েকটি কুসংস্কার এর কথা তুলে ধরা হল।
০১।কবুতরের ডিম রোদ পরলে ডিম ফুটে না।
০২।কবুতরের ডিমে পানি পরলে বা ডিম ভিজলে, ডিম নষ্ট হয়ে যায়।
০৩।কবুতরের ডিম গরম পানিতে দিলে, যে কবুতরের ডিম গরম পানিতে দেয়া হয়েছে তার ক্ষতি হয়।
০৪।কবুতরের সামনে অন্য কবুতর জবেহ করলে বাকি কবুতর গুলো একে একে চলে যায়।
০৫।কবুতর সবার সহ্য হয় না বা কবুতর সবার কাছে টিকে না।
০৬। বাচ্চা কবুতর কে ভিটামিন ও মিনারেলস দিতে হয় না।
০৭।যে বাড়িতে কবুতর পালা হয় তাদের কখনো উন্নতি হয় না।
০৮। ডিম ধরলে বা ছুলে বাচ্চা হবে না।
০৯।গরমের সময় ভিটামিন ও মিনারেলস বা তেল বীজ/ডাল জাতীয় খাবার কবুতর কে দিতে হয় না।
১০। কবুতরের জন্য ভ্যাকসিন অপরিহার্য না দিলে কবুতর মারা যাবে।
১১। শীতের সময়ে কবুতর বেশী আসুস্থ হয়।
১২।শীতে কবুতরের ব্রিডিং ভালো হয় না।
১৩। কবুতর কে প্রতিদিন রোদে দিতে হয় তা না হলে কবুতর মারা যায় বা বেশি রোগ বালাই হয়।
১৪। কবুতরের ফোঁড়া হলে অস্ত্রপ্রচার করতে হয় না হলে ভাল হয় না।
১৫। কবুতর কে বাইরের গ্রিট খাওয়াতে হয় না।
১৬।জেনারেল মেডিসিন থেকে হারবাল মেডিসিন কবুতরের জন্য ভাল।
১৭।কবুতরের পাখার বাতাস শরীরের জন্য ভালো।
১৮।কবুতরের বিষ্টা অন্য পশু পাখি খেলে সে মারা যায়।
১৯।নতুন কেউ কবুতরের ঘরে হাত দিলে বা ধরলে কবুতরের অমঙ্গল (ছুতো লাগে) হয়।
২০।কবুতরের ঘরের কাছে মহিলারা বেশি ঘোরা ফেরা করলে কবুতরের অমঙ্গল (ছুতো লাগে) হয়।
২১। এছাড়াও আর কিছু ভুল কথা মানুষ প্রচার করে থাকে যেমন-
ক) কবুতর কে বেশি খাবার ও পানি দিতে হয় না।
খ) অসুস্থ কবুতর কে ছোলাবুট ভিজিয়ে খাওয়াতে হয়, বয়লার গ্রয়ার দিতে হয়।
গ) কবুতর অসুস্থ কবুতরকে রোদে দিতেই হবে।
উপরোক্ত এমন সব কুসংস্কার গুলো বা অযৌক্তিক কথা আমরা বিভিন্ন লোকের মুখে সাধারণত শুনে থাকি।
কবুতর পালনের ক্ষেত্রে এসব কুসংস্কার গুলো এরিয়ে চলা বাঞ্ছনীয়।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
2 মন্তব্যসমূহ
100% right
উত্তরমুছুনThanks for commenting
মুছুনThanks for Commenting! please follow our blog and see update continue