“রিং,ট্যাগ বা ব্রান্ড” শব্দ গুলি কবুতর পালকদের কাছে খুবই প্রচলিত, শব্দগুলি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হলেউ প্রকৃতপক্ষে একজন কবুতর প্রেমিকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে।যদিও শব্দগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বা অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।কিন্তু একজন কবুতর প্রেমিকের কাছে এটি Pigeon Ring’ বা Pigeon Tag বা Pigeon Brand হিসেবে পরিচিত, যা সাধারণত কবুতরের ডান পায়ে পরানো হয়। আজ আমরা আলোচনা করবো Pigeon Ring বা Pigeon Tag কি? প্রজাতির ভিন্নতায় Tag এর আকার,এবং Tag পরানোর পদ্ধতি নিয়ে। চলুন তাহলে মূল আলোচনায় আসা যাক।
কবুতরের ব্যান্ড বা ট্যাগ বা রিং হলো পৃথকভাবে কবুতরগুলোকে সনাক্ত করার একটি মাধ্যম যা সাধারণত কবুতরের মালিক,উৎপত্তি,নিবন্ধিত ক্লাব বা সংস্থার নাম,জন্ম বৃত্তান্ত,এবং ক্রমিক নম্বর ইত্যাদি সহজে পাবার উপায় সরবরাহ করে।এছাড়াও বর্তমানে কবুতরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যও কবুতরের পায়ে ট্যাগ বা ব্রান্ড লাগানো হয়ে থাকে। ট্যাগ গুলি সাধারণত প্লাস্টিকের বা ধাতবের হয়ে থাকে তবে বর্তমানে GPRS TAG পাওয়া যায় ।
ছোট ধাতব বা প্লাস্টিকের ট্যাগ বা ব্রান্ড গুলি গুলি সারাজীবন কবুতরের পায়ে ধরে থাকে। এটি জানতে ভিন্নতায় ৮ থেকে ১৩ মিমি সাইজের হতে পারে। এই আইডি ট্যাগ পরানো কবুতরগুলোর মালিক কে তা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে এবং হারিয়ে যাওয়া বা আহত কবুতরদের ঘরে ফিরে আসতে সহায়তা করতে পারে।
Pigeon Ring শব্দটি মূলত ১৮০৩ সালে সর্বপ্রথম North America এর John James Audubon এবং Ernest Thompson কবুতরগুলোকে সনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করেন। তারা প্রথম কবুতরের পায়ে একটি সিলবার সুতা বেঁধে এই রিং শব্দটি কবুতরের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে ১৮৯৯ সালে Hans Christian Cornelius Mortensen অ্যালুমিনিয়াম রিং এর প্রবর্তন করেন। ব্যবহারিক দিক দিয়ে মূলত এটিকে কবুতরের পায়ে বিশেষ প্রকৃয়ার মাধ্যমে পরানো হয়ে থাকে।“আলোচনার শেষ অংশে আমরা কবুতরের রিং বা ট্যাগ পড়ানোর পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করবো।”
যদিও ট্যাগ বা ব্রান্ড একটা সময়ে শুধুই রেসিং কবুতরকে সনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হতো।কিন্তু বর্তমান সময়ে এই ব্রান্ড বা ট্যাগকে বিভিন্ন কারনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ব্যবহারিক দিক বিবেচনা করে কবুতরের ট্যাগ বা রিং কে আমরা ২টি ভাগে ভাগ করবো।
১/সৌন্দর্য বর্ধন এর জন্য।
২/ কবুতরে হিস্ট্রি বা বিস্তারিত তথ্য রাখার জন্য।
****১/সৌন্দর্য বর্ধন এর জন্যঃ- কবুতরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কিছু কিছু কবুতর পালকগন কবুতরের পায়ে বিভিন্ন কালের রিং বা ট্যাগ পড়িয়ে থাকেন।এতে একদিকে যেমন কবুতরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় অপরদিকে নিজের কবুতর সনাক্ত করার জন্যউ ব্যবহৃত হয়।এসব রিং বা ট্যাগ বিভিন্ন দোকান থেকে ব্যক্তিগত ভাবে সংগ্রহ করার প্রয়োজন পড়ে।এসব রিং বা ট্যাগ ব্যবহারের কোন নিয়ম বা বাধ্য বাধকতা নেই যে কেউ ইচ্ছা করলেই এটি ব্যবহার করতে পরেন।ট্যাগ গুলোতে কোন সংকেত থাকে না।এবং কোন নির্ধারিত আকারও নেই। বাজারে এগুলোর বিভিন্ন কালারের এবং ধরনের পাওয়া যায়।
****২/ কবুতরে হিস্ট্রি বা বিস্তারিত তথ্য রাখার জন্যঃ-
কবুতর পালকগন তাদের কবুতরগুলোকে গণনা করা এবং সনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ বা রিং ব্যবহার করে থাকেন।এসব ট্যাগে বা রিংয়ে কবুতর গুলোকে সনাক্ত ও গণনা করার জন্য পালকের সুবিধা মত নাম্বার সংযুক্ত থাকে এবং কখনো কখনো পালকের ফোন নাম্বার এবং নাম সংযুক্ত করা হয়ে থাকে।এতে করে কখনো কবুতর হারিয়ে গেলে বা দুরে কোথাও গেলে সহজেই তা সনাক্ত করা সম্ভব হয়। এছাড়াও কবুতর গুলোকে গণনা এবং বয়স,উৎপত্তি, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্যও এসব রিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে।এসব রিং বা ট্যাগ ব্যক্তিগত ভাবে সংগ্রহ করার যেতে পারে বা কবুতরের ক্লাব কতৃপক্ষের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যেতে পারে ।এসব রিং বা ট্যাগ ব্যবহারের নির্ধারিত কিছু নিয়ম রয়েছে তবে যে কেউ ইচ্ছা করলেই এটি ব্যবহার করতে পরেন।
রেসিং কবুতর ব্রিডাররা ৭ থেকে ১৫ দিন বয়সের কবুতরের বাচ্চাদের তাদের পূর্ব পুরুষ হিস্ট্রি সম্বলিত ব্যান্ড বা ট্যাগ গুলি তাদের কবুতরের পায়ে পারিয়ে থাকেন।ছোট এ ধাতব বা প্লাস্টিকের স্ট্রিপগুলি সারাজীবন কবুতরের পা ধরে থাকে।এবং এই ট্যাগ বা ব্রান্ড অনুযায়ী তাদের পূর্ব পুরুষের হিস্ট্রির সাথে নিজের হিস্ট্রি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।অপরদিকে এই আইডি ট্যাগ বা ব্রান্ড গুলি পরিহিত কবুতরের মালিক কে তা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে এবং হারিয়ে যাওয়া বা আহত কবুতরদের ঘরে ফিরে আসতে সহায়তা করতে পারে।প্রতিটি ব্যান্ডের উপর ড্যাশ দ্বারা পৃথক পৃথক নম্বর এবং অক্ষর রয়েছে। এগুলির প্রত্যেকটিরই এক অনন্য অর্থ বহন করে।
অপরদিকে প্রয়োগিক দিক থেকে এই ব্রান্ড বা ট্যাগ কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
১/পারসোনাল ব্রান্ড বা ট্যাগ।
২/ নিবন্ধনকৃত ক্লাবের ব্রান্ড বা ট্যাগ।
****১/পারসোনাল ব্রান্ড বা ট্যাগঃ- এসব ট্যাগ বা ব্রান্ড ব্যক্তিগত ভাবে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই এটি ব্যবহার করতে পরেন। কিছু কবুতর পালকগন কোনও ক্লাবের সাথে নিবন্ধিত নন।এদের কবুতরের ব্যান্ড গুলিতে সাধারণত মালিকের নাম এবং যোগাযোগের তথ্য থাকে যেমনঃ- ফোন নম্বর, ঠিকানা বা ইমেল ঠিকানা ইত্যাদি। ট্যাগে কোন ধরনের তথ্য সংযুক্ত করা হবে এটি নির্ভর করে পালকের ইচ্ছার উপর। কিছু ক্ষেত্রে, কবুতর পালকগন ক্লাবের ব্যান্ডগুলির পাশাপাশি তাদের কবুতরগুলোকে এই জাতীয় ব্যান্ড পরিয়ে থাকেন। যাতে হারিয়ে যাওয়া কবুতরগুলোকে কেউ পেলে তাদের পক্ষে বাড়িতে পৌঁছানো সহজ হয়।
****২/ নিবন্ধনকৃত ক্লাবের ব্রান্ড বা ট্যাগঃ- যখন কোন কবুতর কোন ক্লাবে নিবন্ধিত হয়ে থাকে তখন তার পায়ে নিবন্ধিত ক্লাব থেকে নিবন্ধনকৃত নাম্বারের একটি ট্যাগ সরবরাহ করা হয়।এই ট্যাগের নাম্বার অনুযায়ী ক্লাবের কাছে উক্ত কবুতর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকে। পরবর্তীতে যে কেউ উক্ত ক্লাব থেকে সেই তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। প্রতিটি ক্লাবের ট্যাগ বা ব্রান্ডের উপর ড্যাশ দ্বারা পৃথক পৃথক নম্বর এবং অক্ষর রয়েছে। এগুলির প্রত্যেকটিরই আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে।
নিবন্ধিত ক্লাবের ট্যাগকে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
(ক)ফেন্সি কবুতরে ট্যাগ।
(খ) রেসিং কবুতরের ট্যাগ।
(ক) ফেন্সি কবুতরে ট্যাগ বা ব্রান্ডঃ- বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কবুতর প্রদর্শনী তে Parent Organizations বা নিবন্ধিত ক্লাব গুলো দ্বারা এই ট্যাগ সরবরাহ করা হয়। আমার এই কবুতর গুলোকে বলি রিংয়ের কবুতর। অনেকেই মনে করি এটা আসলে বিভিন্ন দেশের থেকে আসা কবুতর কে বলে। আবার অনেকে মনে করেন রিং এর কবুতর হলো বাইরের দেশে কতৃক স্বীকৃত কবুতর যার স্ট্যান্ডার মারকিং রয়েছে এমন কবুতরকে বোঝায়।বিভিন্ন Parent Organizations কতৃপক্ষের মাধ্যমে এই ট্যাগ সরবরাহ করা হয়।
(খ) রেসিং কবুতরের ট্যাগঃ-রেসিং কবুতরে ট্যাগ দুই ধরনের হয়ে থাকে।★ স্থায়ী, অন্যটি ★অস্থায়ী।
স্থায়ী ট্যাগ বা রিংঃ- এটি রেসিং কবুতরের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১৫ দিন বয়সে পরানো হয় যেটি সে সারাজীবন পায়ে বহন করে। এই ট্যাগে তার পূর্ব পুরুষের তথ্য সংরক্ষিত থাকে এবং তার নিজের সমস্ত তথ্য সংযুক্ত হয়। এবং এটি অবশ্যই Parent Organizations থেকে সরবরাহ করা ট্যাগ হতে হবে।
অস্থায়ী ট্যাগ বা রিংঃ- যখন কোন রেসিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় তখন এটি ট্যাগ ক্লিপ আকারে বা প্রেছ করে রেস এর আগে লাগানো হয়। এবং উক্ত ক্লিপে বা ট্যাগে একটি গোপন নাম্বার থাকে,যার বিস্তারিত নাম্বার কমিটি বা ক্লাব এই গোপন নাম্বারটি যথাযথ ভাবে গোপনীয়তা বজায় রেখে সংরক্ষণ করে,এবং কবুতর বাসস্থানে ফিরে আসার পর তার পায়ে লাগানো ট্যাগের গোপন নাম্বার চেক করে দেখা হয় ঠিক আছে কিনা।আধুনিক রেসিং ব্যবস্থাপনায়, আন্তর্জাতিক ভাবে বিভিন্ন দেশের আংশগ্রহনের মাধ্যমে যে সকল রেসি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে অংশগ্রহণ করা কবুতর গুলোর পায়ে অস্থায়ী GPRS TAG লাগানো হয়ে থাকে।
নিবন্ধনকৃত ক্লাবের ট্যাগে যে সমস্ত তথ্য গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে।
প্রথমতঃ- Parent Organization (অভিভাবক সংস্থা)-
কবুতর ব্যান্ডের প্রথম অক্ষর গুলো নিশ্চিত করে যে কবুতরটি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে নিবন্ধিত হয়েছে। প্রতিটি সংস্থা এটিতে নিবন্ধিত কেবল সেই কবুতরগুলোই সনাক্ত করতে পারে,যা তাদের সংস্থায় নিবন্ধন করা হয়েছে। তাই যদি আপনি কোনও হারিয়ে যাওয়া কবুতরটি সনাক্ত করতে চেষ্টা করেন, তবে ব্রান্ড বা ট্যাগের প্রথম অক্ষরটি হলো আপনার জন্য প্রারম্ভিক সুত্র।
যেমনঃ- North America এর বেশ কয়েকটি প্রচলিত কবুতর সমিতি এবং তাদের ব্যান্ড বা ট্যাগের প্রথম সংকেত হলো IF অর্থ্যাৎ International Federation যেটি IF অক্ষর দ্বারা স্বাক্ষরিত।CRPU বা CU,NPA,IPB,AU, এগুলো বিভিন্ন ক্লাবের সংক্ষিপ্ত রুপ।এই সমস্ত ক্লাব বা অন্য ক্লাবের সংক্ষিপ্ত রুপ গুলি ট্যাগে সংযুক্ত করা হয়।
দ্বিতীয়তঃ- Local Club ( স্থানীয় ক্লাব)-
Local Club গুলি যারা ব্যান্ড বা ট্যাগ বন্টনের জন্য প্রতিনিধিত্ব করে। ক্লাবের তথ্য সাধারণত ব্যান্ডের বা ট্যাগের তৃতীয় বিভাগে থাকে এবং দ্বিতীয় সেটটি কয়েকটি কারণকে বোঝায়। এবং এটি একটি বর্ণের হয়, দুটি বর্ণের একটি সেট বা তিনটি বর্ণের একটি সেটও হতে পারে। Parent Organizations এর সাথে নিবন্ধিত সমস্ত ক্লাবগুলির তালিকা রয়েছে এবং সাধারণত org এর ওয়েবসাইটে এই ক্লাবগুলির তালিকা করে।
তৃতীয়তঃ- Serial Number(ক্রমিক সংখ্যা)-
প্রতিটি Local Club মধ্যমে কবুতরকে একটি সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়। এটি চতুর্থ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। গোষ্ঠীর একাধিক কবুতরকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা কখনও দেওয়া হয় না যা নির্দিষ্ট কবুতরটি সনাক্ত করার উপায় সরবরাহ করে। ক্রমিক সংখ্যাটি সাধারণত একটি চার-অঙ্কের নম্বর তবে ক্লাবটির আকারের উপর নির্ভর করে এটি দীর্ঘ বা সংক্ষিপ্ত হতে পারে। ব্যান্ড বা ট্যাগের সিরিয়াল নম্বর স্থাপন Parent Organizations উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত Parent Organizations তথ্য বা ক্লাবের সনাক্তকরণের সাথে সাথে এটি পাওয়া যায়।
চতুর্থতঃ-Birth Year(জন্ম সাল)-
দ্বিতীয় বা চতুর্থ অবস্থানের দুটি অঙ্কের সংখ্যাটি কবুতরের জন্মের বছরটিকে উপস্থাপন করে। যদিও এই সংখ্যা এবং ক্রমিক সংখ্যা একই স্পটে প্রদর্শিত হতে পারে তবে এটি সহজেই বলা যায় জন্ম সাল কোনটি। যেহেতু জন্ম বছরটি সর্বদা একটি দুই-অঙ্কের সংখ্যা থাকে এবং ক্রমিক সংখ্যাটি দীর্ঘ হয়।
আসাকরি এবার আপনি নিজেই কবুতরের ট্যাগ বা ব্রান্ড কে সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন।
****কবুতরের জাত ভেদে বিভিন্ন সাইজের ট্যাগ পরানো হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন ধরনের কবুতরের জন্য কোন সাইজের ট্যাগ বা রিং নির্বাচন করবেন।
বিভিন্ন জাতের কবুতরের রিং বা ট্যাগের সাইজঃ-
****৭ মিমি সাইজের ট্যাগ বা রিং। এটি কবুতরের ট্যাগয়ের বা রিং এর সবথেকে ছোট সাইজ।যে সকল কবুতরে জন্য ৭ মিমি সাইজের রিং প্রযোজ্যঃ-
আমেরিকান ফ্লাইং টাম্বলার,
এ্যারাবিয়ান ট্রাম্পেটর,
আর্চএ্যান্জেল,
ফ্লাইং ব্লোডহেড,
ব্রেসলাউয়ার টাম্বলার,
ব্রুনার পটার,
কাতালোনিয়ান টাম্বলার,
সমস্ত পরিস্কার পায়ের সর্টফেজ টাম্বলার,
কমুলেট,
ড্যানজিং হাইফ্লায়ার,
ফিগুরিটা,
জার্মান নান,
গাম্ববিনার,
হ্যাম্বার্গ স্টিকেন,
হেলমেট,
ইটালিয়ান আউল,
স্ট্যালিং,
ফ্লাইং টিপলার,
হায়সেন্থ,
লগহার,
নুরেমবার্গ লার্ক,
পোলিশ আউল,
পর্তুগীজ টাম্বলার,
ফ্লাইং ওরিয়েন্টাল রোলার,
পার্লর রোলার,
পার্লর টাম্বলার,
পারফর্মিং রোলার,
পোলিশ মার্জিন,
শরকা,
রাজহেব স্টারটেইল,
সিরিয়ান তুরবিটেন,
ট্যাগানরোগার,
ভিয়েনা মিডিয়াম ফেজ,
জিটারহল।
****৮ মিমি সাইজের ট্যাগ বা রিং।যে সকল কবুতরে জন্য ৮ মিমি সাইজের রিং প্রযোজ্যঃ-
আফ্রিকান আউল,
আল্টেনবার্গ ট্রাম্পেটর,
এ্যান্সিয়েন্ট,
আর্চেন ল্যাকুইয়ার স্লাইড আউল,
বাকু টাম্বলার,
বার্লিন লংফেজ টাম্বলার,
বার্নহাডিনার,
বোহেমিয়ান পটার,
চাইনিজ আউল,
চাইনিজ ন্যাসাল টুফ্টস,
ক্লিন লেগ আইচ পিজন,
চেক আইচ পটার,
ড্যানিস টাম্বলার,
ডমেস্টিক শো ফ্লাইট,
ডনেক,
ডার্চ হাইফ্লায়ার,
ইজিপ্টশন সুইফ্ট,
ইলেস্টার পার্জলার,
ইংলিশ নান,
ফ্যানটাইল,
ফ্লাইং ফ্লাইট,
ফ্রান্কোনিয়ান ভেলভেট স্লিড,
জার্মান মডেনা,
হের্সিয়ান পটার,
হলি ক্রোপার,
হর্সম্যান পটার,
জ্যাকোবিন,
LFCL টাম্বলার,
কর্মনার টাম্বলার,
ক্রস টাম্বলার,
ম্যাসেডোনীয় তুরবিট,
মিনিয়েচ্যার আমেরিকান ক্রেস্ট,
মুক্কি,
নরউইস ক্রোপার,
ওল্ড ডার্চ ক্যাপুচাইন,
ওল্ড জার্মান আউল,
ওরিয়েন্টাল রোলার,
পিগমি পটার,
রেসিং হোমার,
শ্লির্ড ক্রোপার,
সাইলিসিয়ান পটার,
সমস্ত স্প্যানিস পটার,
শো রোলার,
শো টাইপ রেসিং পিজন,
সুইং পটার,
রিংবেটার,
স্যাকেন,
শো টিপলার,
স্প্যানিস বার্ব,
সিরিয়ান ফ্যানটাইল,
স্রাবনিয়াক,
সুয়াবিয়ান,
সিরিয়ান সুইফ্ট,
সাউর্থ জার্মান প্রিস্ট,
টেমেসবার্গ,
সমস্ত তুরিংগার কালার পিজন,
ইউক্রেনিয়ান স্কাইকাটার,
ভোরবার্গ ক্রোপার।
****৯ মিমি সাইজের ট্যাগ বা রিং।যে সকল কবুতরে জন্য ৯ মিমি সাইজের রিং প্রযোজ্যঃ-
এন্টওয়ার্প সামারলি,
বার্লিন সর্টফেজ টাম্বলার,
কাসচুইস,
ক্লাসিক ওল্ড ফ্রিল,
কবুর্গ লার্ক,
ড্রাগন,
ইংলিশ ম্যাগপাই,
ইংলিশ আউল,
চেক বাগদাদ,
ইংলিশ বার্ব,
ডিউল্যাপ,
এক্সিবিশন হোমার,
জেনুইন হোমার,
গোল্ডক্যারাজেন,
লেবানন,
লুসার্ন,
মাল্টেসি,
মডেনা,
ওল্ড ডার্চ তুরবিট,
ওল্ড জার্মান ক্রোপার,
পোলিশ লেনক্স,
শেরাফিম,
শেকশারলি,
শো এ্যান্টওয়ার্ফ,
উজবেক।
১০ মিমি সাইজের ট্যাগ বা রিং।যে সকল কবুতরে জন্য ১০ মিমি সাইজের রিং প্রযোজ্যঃ-
আমেরিকান শো রেসার,
কারনিয়াক্স,
ইংলিশ ক্যারিয়ার,
ফ্লরেনটিন,
হাঙ্গেরিয়ান ইংলিশ পটার,
ইংলিশ শো হোমার,
ফ্রান্স বাগদাদ,
ফ্রিলব্যাক,
জার্মান বিউটি হোমার,
কাজানার টাম্বলার,
LF মার্ফ টাম্বলার,
মোরহেড টাম্বলার,
নর্থ ককেশাসিয়ান টাম্বলার,
ওরিয়েন্টাল ফ্রিল,
পার্সিয়ান রোলার,
পটারমিগান,
রোস্টআউয়ার,
রয়েল সেলযুক,
রয়েল শো টাম্বলার,
স্ক্যানড্রারন,
শো কিং,
স্টারেচার,
সিরিয়ান কোপ টাম্বলার,
টেক্সান পাওনিয়ার,
ইউটিলিটি কিং,
ভলগা টাম্বলার,
ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ড টাম্বলার।
১১মিমি সাইজের ট্যাগ বা রিং।যে সকল কবুতরে জন্য ১১মিমি সাইজের রিং প্রযোজ্যঃ-
ব্যাভারিয়ান পটার,
ডাচেস,
ফেরি স্যালো,
ফ্রান্স মন্ডেইন,
ফুলহেড স্যালো,
জায়েন্ট আমেরিকান ক্রেস্ট,
জায়েন্ট হোমার,
আইচ পিজন,
ইন্ডিয়ান ফ্যানটাইল,
ইন্ডিয়ান ফ্যান্টাসি,
ইন্ডিয়ান মন্ডেইন,
লাহোর,
ওল্ড ডার্চ টাম্বলার,
রাশিয়ান টাম্বলার,
সেইন্ট,
স্যাক্সন সিল্ড,
সাইলিসিয়ান স্যালো,
স্যাক্সন ব্রেস্ট,
স্যাক্সন ফিল্ড পিজন,
স্যাক্সন মংক,
স্যাক্সন প্রিষ্ট,
স্যাক্সন হোয়াইটটেইল,
স্মালকালডেন মহ্-রেনকার্ফ,
সুইস ক্রেসেন্স,
সুইস মন্ডেইন।
****১২ মিমি সাইজের ট্যাগ বা রিং।যে সকল কবুতরে জন্য ১২ মিমি সাইজের রিং প্রযোজ্যঃ-
ইন্ডিয়ান ফ্যানটেইল,
মার্ফড পটার এবং ক্রোপার,
সেইন্ট,
****১৩ মিমি সাইজের ট্যাগ বা রিং।এটি কবুতরে রিং বা ট্যাগের সর্বচ্চ সাইজ। যে সকল কবুতরে জন্য ১৩ মিমি সাইজের রিং প্রযোজ্যঃ-
ডার্চ ক্রোপারর্স,
গেন্ট পটার,
জায়েন্ট রাম্বেলর্স,
জায়েন্ট রান্ট,
হেনা পটারর্স,
হাঙ্গেরীয়ান জায়েন্ট হাউস পিজন,
প্রোমেনিয়ান পটার,
রিভারসুইং পটার,
স্যাক্সন পটার,
ট্রাম্পেটরর্স।
নোটঃ- কবুতরের প্রজাতি অনুযায়ী ট্যাগের এই পরিমাপটি National Pigeon Association(NPA) এর নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহীত। সুতরাং প্রজাতি এবং ট্যাগের সাইজ পরিবর্তন,পরিবর্ধন সংক্রান্ত কোন কমেন্ট গ্রহনযোগ্য নয়।
*****কবুতরের রিং বা ট্যাগ পরানোর পদ্ধতিঃ- আমরা এখানে একটি পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করবো।আপনি চাইলে এই পদ্ধতি অনুযায়ী আপনার কবুতরকে রিং বা ট্যাগ পড়িয়ে নিতে পারেন।
বাজারে সাধারণত ২ ধরনের রিং বা ট্যাগ পাওয়া যায়।
একটি হলো রিমুভেবল যেটি যে কোন সময় বা বয়সে কবুতরগুলোকে পড়ানো যায়। আবার প্রয়োজন অনুসারে তা পরিবর্তন করা সহজ হয়। এসমস্ত রিংয়ের একটি অংশে খোলা এবং বন্ধ করার সুবিধা থাকে, যেটি কবুতরকে সাবধানে ধরে জাতে কবুতর আঘাত প্রাপ্ত না হয়। এমন অবস্থায় কবুতরের পা একহাতে ধরে রিং টির যেখানে বন্ধ এবং খোলার সুবিধা রয়েছে সে জায়গাটাতে হাতের মাধ্যমে চাপ দিয়ে প্রয়োজন অনুসারে ফাঁকা করে কবুতরে পায়ে পরিয়ে রিং এর মুখটি আবদ্ধ করে দেয়া হয়।এক্ষেত্রে কবুতরের আকার অনুযায়ী রিং বা ট্যাগ লাগানো উচিৎ যাতে করে কোন ভাবেই রিংটি কবুতরের পায়ে শক্ত ভাবে আবদ্ধ না হয়। সব সময় এমন ট্যাগ বা রিং নির্বাচন করা উচিৎ যেটি কবুতরের পায়ের হাঁটু থেকে টাকনুর মাঝখানে খুব সহজে নড়াচড়া করতে পারে। আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য ছবি সংযুক্ত করা হলো।
ছবিঃ-
দ্বিতীয় টি হলো এমন রিং যেটির সহজে খোলার কোন ব্যবস্থা নেই।আমরা এটিকে স্থায়ী রিং বা ট্যাগ বলতে পারি। এই রিং বা ট্যাগ সাধারণত কবুতরের বাচ্চার বয়স যখন ৭ থেকে ১০ দিন হয় তখন পড়ানো হয়। এসব রিং সাধারণত রেসার বা ফ্লাইং কবুতরগুলোকে বাচ্চা বয়সে বিভিন্ন ক্লাব থেকে সংগ্রহ করে পড়ানো হয় অথবা নিজউ দোকান থেকে সংগ্রহ করে পরাতে পারেন।
বাচ্চা কবুতরকে যেভাবে ভাবে রিং বা ট্যাগ পড়ানো হয়ঃ-
বাচ্চা কে খুব আলতোভাবে ধরে খুব সাবধানে যে পায়ে রিং পড়াতে হবে সেটি একটি হাতে ধরে বাচ্চার পায়ের আঙুল গুলোকে ২ টি আংশে ৩/১ ভাগে বিভক্ত করতে হবে।। অর্থাৎ পায়ের পেছনের আঙুলকে এবং সামনের তিনটি আঙুলকে আলাদা ভাবে বিভক্ত করা হয় আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য ছবি সংযুক্ত করা হলো।
এবার সামনের আঙুল তিনটিকে একসাথে ধরে তার মধ্যে কবুতরের ধরন অনুযায়ী যে আকারের রিং রয়েছে তা তিনটি আঙুলের মধ্য দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হবে।আসতে আসতে পায়ের টাকনুকে সাবধানতার সহিত অতিক্রম করুন । আপনি হয়ত এবার লক্ষ্য করেছেন পায়ের পেছনের আঙুলটি রিং এর নিচে অবস্থান করছে। এবার রিংটি নিচে থাকা পেছনের আঙুলের নকের কাছাকাছি বা আঙুলের মাঝামাঝি চলে এলে রিং টি শক্ত করে ধরে কলম বা কাটি দিয়ে খুব সাবধানে হালকা চাপদিয়ে নিচের আঙুলটি রিং থেকে বের করে আনুন। রিং পড়ানো হয়ে গেলে আঙুল গুলোকে হালকা ম্যাসেস করে ছেরে দিন।
ছবিঃ-
****যে সকল আন্তর্জাতিক ক্লাব গুলো, আন্তর্জাতিক ভাবে বিভিন্ন দেশে ট্যাগ সরবরাহ করে থাকেঃ-
NPA = NATIONAL PIGEONASSOCIATION. Contact NPA Secretary at secretary@npausa.com
IF = INTERNATIONAL FEDERATION ORG.www.ifpigeon.com
AU = AMERICAN RACING PIGEON UNION ORGANIZATION www.pigeon.org
CU = CANADIAN PIGEON UNION www.canadianracingpigeonunion.com
IPB = INDEPENDENT PIGEON BREEDERS www.foyspigeonsupplies.com
NBRC = NATIONAL BIRMINGHAM ROLLER CLUB www.nbrconline.com
পোস্ট টি দেখুনঃ-
রিং এর কবুতর কাকে বলে? কিভাবে রিং এর কবুতর সনাক্ত করবেন?
আজ এখানেই শেষ করছি। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং পোস্টটি সম্পর্কে কোন ধরনের মতামত থাকলে অনুগ্রহ করে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিন এবং আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue