Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

শীতে কবুতরের সুস্থতায় আব্দুল হালিম ভাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।

শীতে কবুতরের পরিচর্যা নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ  পরামর্শ দিয়ে থাকেন।আজ আমরা এমন একটি পোস্ট সরাসরি ফেজবুক ওয়াল থেকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
        
আজ আমরা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আব্দুল হালিম ভাই কিভাবে শীতের সময়টাতে কবুতরের পরিচর্যা করেন সেই বিষয়টি ঃঃ-  চলুন তাহলে পোস্টটি থেকে ঘুরে আসি।       

#শীত_নিয়ে_কিছু_জরুরী_কথা।

#নিজের_অভিজ্ঞতা ও অবশ্য পালনীয় কিছু বিষয়। আমি ঠিক এভাবেই নিন্মলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলি ফলাফল আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

#আমার কাছে শীত গরম একই মনে হয়। ধরে নিলাম আমি শীত প্রধান দেশের মানুষ। দীর্ঘ দিন শীত থাকার কারনে যখন গরম আসে আসে ভাব তখন মানুষের শরীরে কিছু পরিবর্তন আসে। যেমন জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, শরীর ব্যাথা, মাথা ব্যাথা ও শরীর মেজ মেজ ইত্যাদি। যদিও এক সাথে বাসার সবাই অসুস্থ হয় না। কেউ আগে কেউ পরে বা কারো অসুখ হয়ই না। আমি কি তখন অসুস্থ না এমন পরিবারের সদস্যকে ঔষধ দেই? দেই না কারন সে আমার পরিবারের সদস্য। কিন্তু গরম আশার আগেই সব কবুতরকে ঐন্টিবায়টিক র্কোস করাই। এটাও ঠিক না। মানুষের বেলায় যেমন যে অসুস্থ হবে তাকে ঔষধ দেই কবুতরের খেত্রেও তাই করা উচিত। সব মানুষের যেমন রোগ প্রতিরোধ খমতার এক না কবুতরের ও তাই। সব কবুতরও এক সাথে অসুস্থ হয় না। যদি কোন ভাইরাস এটাক না করে। তাই যেটা অসুস্থ হবে তাকেই ট্রিটমেন্ট দিতে হবে।

#বিভিন্ন কারনে ভাইরাস এটাক করতে পারে। যেমনঃ
বাহিরে কবুতর, কাক, পশু-পাখি, লফ্টে আবাধ বিচরন ইত্যাদি।

- আমি এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখি। শীত গরম সব সময় নতুন কবুতর এনে ২ সপ্তাহ লফ্ট থেকে অনেক দূরে আলাদাভাবে রাখি। তারপর সুস্থ মনে হলে গোসল দিয়ে বা ভালো করে জীবানুনাশক দিয়ে অন্য খাচায় আরো ২/৩ দিন রাখি তারপর মেইন লফ্ট এ দেই।
- বাহিরেও পশুপাখি যাতায়াত যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি।
- লফ্টে নিজের হাটা চলার জন্যে আলাদা সেন্ডেল ব্যবহার করি।
- বাহিরের কেউ লফ্টে আসলে জীবানুনাশক দিয়ে স্প্রে করে তারপর লফ্টে ডুকতে দেই।

#কেউ কেউ আছেন শীতকালে দরজা জানালা বন্ধ করে রাখেন। এটা করা খুবই ভয়ানক একটা ব্যপার।

- আমার ৬০% কবুতর ৪ ফিট বাই ২২ ফিটের বারান্দায় থাকে। আমি শুধু বাহিরে বাতাস যেনো সরাসরি তাদের গায়ে না লাগে এটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছি তেরপল দিয়ে। তবে হ্যা আমার বারান্দার দখিন দিক এবং পশ্চিম দিকে শুধু মাত্র খাঁচা বরাবর কাপড় দিয়ে আটকে রেখেছি যেনো সরাসরি বাতাস না লাগে। দখিন ও পশ্চিম দিকের খাচার বারতি অংশ ফাঁকা রাখি যেনো বাতাস অবাধে চলাচল করতে পারে।
- আমি ঢাকায় কবুতর পালি। শীতকালে আলাদা কোন লাইট ব্যবহার করি না। আমার মনে হয় ঢাকায় যে শীত পরে আলাদা লাইট ব্যবহার করার দরকার হয় না।

#অনেকেই শীতকালে কবুতর রেস্টে আলাদা করে রাখেন আমি তা করি না।

- আমি শীত কালে ব্রিডিং পেয়ার থেকে ভালো রেজাল্ট পাই।
- শীতকালে আমার কবুতর ভালো ডিম বেবি করে।
- মানুষ যেমন শীতকালে ওম চায় তেমনি আমার মনে হয় নর মাদী একসাথে থাকলে তারাও সেই ওমটা পায়।
- শীতকালে নিল পর থেকে ২ পর পর্পর্যন্ত, ৩ থেকে ৫ পরের বেবি গুলো এক খাঁচায় কয়েকটা করে রাখি। ৫ পরের উপরের গুলো একই নিয়মে রাখি।

#কেউ কেউ আছেন লফ্টে সময় দেন না। অন্যের উপর নির্ভরশীল।

- আমি মোটেও এই রকম না। অফিস নিজের ও পরিবারের সব কাজ শেষ করে রাত ১২ টায় ফ্রি হলে ঠিক তখনই কবুতরের কাজ করতে যাই। মিনিমাম ১-২ ঘন্টা সময় দিয়ে তারপর ফ্রেশ হই। যেদিন রাতে কবুতরের কাজ না করি সেদিন ভালো ঘুম হয় না।
- লফ্টে ডুকলে প্রত্যেকটা কবুতরের দিকে আমার চোখ যায়। প্রতিটি বেবির খাবার ড্রপিং ও ট্রে চেক করি। অস্বাভাবিক কিছু দেকলেই তাকে আলাদা করে ট্রিটমেন্ট এর ব্যবস্হা করি। যদিও গত ৩ বছর আমার ট্রিটমেন্টের খাচা খালি আছে, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লআল্লাহ তায়ালার কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া।
- শীত গরম সব সময় আমার স্ত্রী সকাল ১০-১১ টার মধ্যে খাবার ও পানি দেয়।
- প্রতিদিনের খাবার গরম করে দেয়া হয় কারন আমি খাবার রোদে দেয়ার সুযোগ পাই না।
- শীতকালে সকালে পানি গরম করে দেই।
- শীত ও গরমে মাসে ৫/৭ পানিতে লেবু দিয়ে থাকি।
- এছাড়া প্রয়োজন মনে হলে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম দেই।
- মাঝে মাঝে আদা রসুন-মধুর পানিও দেই প্রয়োজন মতো।
- এপেল সিডার ভিন্নেগার ও দেই মাসে ২ দিন।
- সপ্তাহে ২ দিন ট্রে পরিস্কার করি। শুক্রবার ও সোমবার বা মঙ্গলবার।
- কোন কবুতর প্রথম ডিম দিলে একটা করে ক্যলটেক্ট টেবলেট মানুষের ধরে খাইয়ে দেই তিন দিন তিনটা নর মাদী দু্টোকে।
- আমার কবুতরের গ্রিড আমি নিজে বানাই। গ্রিডের মধ্যে কালো জিরাও ব্যবহার করি।
- গরমে ২ মাসে ১ বার ও শিতে ৪৫ দিনে একবার কৃমির কোর্স করাই। সাথে নিজে ও পরিবারের সবাইকে ৩/৪ মাসে একবার কৃমির ঔষধ খাওয়াই।

#অনেকেই আছেন শীতে নতুন কবুতর কিনতে ভয় পান। আর আমি গত শুক্রবারও নিজের জন্যে এক জোড়া নিল পরের বেবি নিয়েছি। আমার মনে হয় আপনি সচেতন থাকলে নিল পর ১০ পরের কবুতর কেনা কোন বিষয় না।

#এক ভাইয়ের পরামর্শে গত ৪ বছর আগে কবুতরকে হাস মুরগির ভেকসিন দিয়েছিলাম কোন রেজাল্ট তো পেলামই না উল্টো প্রায় ৪০ হাজার টাকার কবুতর হাড়িয়েছি। কিন্তু নিজের বুদ্ধিতে গত তিন বছর চলছি আল্লাহর রহমতে কোন কবুতর ট্রিটমেন্ট খাচায় নিতে হয় নি। বাকি আল্লাহ ভরসা। আমার মনে হয় সাধারণ জ্বর ঠান্ডা এগুলো কোন বিষয় না।

#একটি কথা না বললেই না। গত বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি কবুতর অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে। তাদের কয়েকজনের সাথে আমার কথা হয়েছে তার রেজাল্ট হলো বেশির ভাগ খামারিদের নিজের কারনে কবুতর মারা গিয়েছে এবং জোরাগুলো নষ্ট হয়েছে। কারনগুলা বল্লাম না তাতে কারো কারো ব্যবসায়িক খতি হতে পারে।

আরো অনেক কিছু লিখার ছিলো, লিখতে পারলাম না বলে দূঃখিত। এই রকম লেখতে অনেক সময় লাগে। কবুতর পালা শখে শুরু করেছিলাম। এখন আমি শখের ব্যবসায়ি। অনেকেই বলেন আমি কবুতর বিক্রি করে খাইনা। আসলে আমি কিন্তু তা না। কবুতর বিক্রিয় করে কবুতরের প্রয়োজন মিটিয়ে কবুতর বিক্রয়ের টাকা থেকে নিজের ও পরিবারের প্রয়োজন মিটাই। কবুতর পালাটা আমাকে একটা বাড়তি ইনকামের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে। পরিশেষে একটা কথাই বলবো। যদি কবুতরের প্রতি ভালোবাসা না থাকে সময় দিতে না পারেন এবং শুধু মাত্র ব্যবসায়িক চিন্তা থাকে তাহলে কবুতর না পালাই ভালো। নিজস্ব মতামত।

ব্যক্তি জীবনে আমি দুই সন্তানের জনক। একটা প্রাইভেট ফার্মে (এডমিন, এইচআর) চাকরি করি। অফিস টাইম সকাল ৮-৬ টা। তারপর পরিবারকে সময় দিতে হয়। গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা আছেন চাঁদপুর নিবাসি। পাশাপাশি মাছের খামার ও আছে তাদের খোঁজ খবর রাখতে হয় যেহেতু নিজে ঢাকায় থাকি। কবুতরের টানে ও ব্যবসায়িক সার্থে নেট এ ২/৪ জনের সাথে কথা বলতে ও যোগাযোগ রাখতে হয়। বাসায় এসে কবুতরকে সময় দিতে হয়। তাই ইনবক্সে অনেকেই যোগাযোগ করলে সময় মতো রিপ্লাই দিতে পারি না। কিছু মনে করবেন না। আসলে আমার সময়ের বড় অভাব। অনেকেই বিভিন্ন গ্রুপের এডমিন হতে প্রস্তাব দেন। সময় দিতে পারবো না বলে হয়ে উঠে না। আমাকে মাফ করবেন। সবার সাথে মিলেমিশে ছিলাম আছি থাকবো ইন শা আল্লাহ।

দোয়া চাই সব ভাই বন্ধুর কাছে আমার ও আমার পরিবারের জন্যে। ভালো থাকুক সবার শখের কবুতর ও শখের খামার।

পোস্টটি আব্দুল হালিম ভাইয়ের পারসোনাল ফেসবুক থেকে সংগ্রহীতঃ https://www.facebook.com/100007570897428/posts/2403211159941224/

#কবুতরের_শীতকালীন_পরিচর্যা
#শীতে_কবুতরের_পরিচর্যা
#কবুতর
#pigeon_health_care_in_bd


শীতে কবুতরকে কিভাবে পরিচর্যা করবেন পোস্ট টি দেখুনঃ- 
 

প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো দ্রুত পেতে আমাদের ব্লগটি Followকরুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন।এছাড়াও ব্লগটি অপরের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।এছাড়াও আপনারা কবুতর বিষয়ক যে কোন বিষয় সম্পর্কে আমাদের সাথে শেয়ার করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন।


তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD

*******Thanks *******
#তুরিবাজ
#parlor_roller
#pigeon_breed_

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ