Tippler pigeon |
জাতের নাম -Tippler pigeon / Giribaz pigeon
জাতের ধরনঃ- ফেন্সি (Fancy) Exhibition, flying.
উৎপত্তি - United Kingdom
উৎপত্তিগত বর্ণনাঃ-Tippler কবুতরটি গৃহপালিত কবুতরের বংশধর। এটা ধৈর্য প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণের জন্য উত্থাপিত হয়। ইংরাজি অনুবাদে Tipler এর অর্থ হলো "drunkard"। England এর অনেকে মনে করে যে Tipler নামটি ইংরেজী শব্দ "tippling" থেকে এসেছে যার অর্থ - শীর্ষ এবং শীতল ডানা।
এদেরকে সর্বপ্রথম United Kingdom এর প্রজনন করা হয়েছিল বলে ধারনা করা হয় যদিও এদের সঠিক উৎপত্তি অজানা। তবে ধরনা করা হয় যে এদের উৎপত্তি কবুতর অন্য সব প্রজাতির মতো ভূমধ্যসাগর ও চীন অঞ্চলের স্থানীয় Rock কবুতর থেকে প্রজনন করা হয়েছে। অনুমান করা হয় যে ১৮৪৫ সালে England এর Silk milling towns of Congleton এবং Macclesfied in East Cheshire কাছে এটি আবির্ভূত হয়েছিল। এদের কিছু প্রজাতি Middle East থেকে উদ্ভূত হয়েছিল বলেউ মনে করা হয়, তবে টিপলারের সঠিক উৎপত্তি অনিশ্চিত। বেশির ভাগ কবুতর পালক মনে করেন এটি United Kingdom এর একটি প্রজনন।
Tippler কবুতর একটি ক্রস প্রজনন। এটি Cumulet এবং Homing pigeon প্রজাতির মধ্যে ক্রসিং এর ফলাফল। এই ক্রস প্রজনন এদের সহ্যশক্তি উন্নত এবং এদের দীর্ঘ সময় ধরে উড় বার ক্ষমতাকে অনুমোদন বলে মনে করা হয়। এদের একটানা ২২ ঘণ্টার ফ্লাইট ফলাফল রিপোর্ট করা হয়েছে।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ হাইফ্লায়ার জাতের গিরিবাজ গুলো Tippler সম্প্রদায়ের অন্তরগত।
Tippler pigeon |
দৈহিক বর্ণনাঃ-Tippler pigeon
Tippler কবুতরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। এবং এদের আকার এবং চেহারার উপর নির্ভর করে এদের ধরন পরিবর্তিত হয়ে থাকে। এই প্রজাতি গুলোর ধরন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ নীচে বর্ণনা করা হলো।
***Gordon Hughes Tipplers:- এটি England এর Gordon Hughes এর Derby এর একটি সাধারণ প্রকার।এদেরকে ধৈর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য উন্নত করা হয়েছিল, এবং এটি Hughes Type হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ১৯৭৬ সালে এই প্রজাতিটি ১৮.০৭ মিনিট উড়ার রেকর্ড করে।
***Jack Boden Tipplers:-England এর Handsword Jack Boden এই ধরনের Tipplers কে কবুতরকে ধৈর্য্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য উন্নত করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে প্রজাতিটি ২০ ঘন্টা ৪০ মিনিট উড়বার রেকর্ড করেছিল।
***Sheffield Tipplers:- প্রজাতিটি ইংল্যান্ডের Sheffield এ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রজাতিটি ধৈর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যও বিকশিত হয়েছিল এবং প্রায়শই শেফিল্ড প্রকার হিসাবে উল্লেখ করা হয়।এরা ২০ ঘন্টা অনেক বার উড়েছে গেছে বলে রেকর্ড রয়েছে। Sheffield Tipplers পায়রা সাধারণত Red এবং Yellow রঙের হয়ে থাকে।
***Macclesfield Tippler:- এরা short faced এর হয়ে থাকে।একটি ভালো Macclesfield Tippler প্রায় সারাদিন উড়তে সক্ষম। এদের উড়বার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা মেঘের মধ্যে খুব ভালোভাবে উড়তে পারে।সাধারণত কাঁধ বিস্তৃত এবং পা ছোট হয়ে থাকে। North of England এ এরা খুব জনপ্রিয়। ভালো প্রশিক্ষণ দিলে এরা আরও বেশি উড়তে সক্ষম। এদের সাধারণত ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা উড়ার রেকর্ড রয়েছে।
***Manchester Tipplers:- এটি Maklesfild tipler সাথে Almonski tumble এর ক্রস প্রজনন।এদের ছোট পা, ছোট শরীর এবং ডানাগুলি বড় হয় সাথে খুব কম এবং প্রায়শই বর্ণের রঙে বৈচিত্রময় হয়।রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় এরা ১৬, ১৭ ঘন্টা অবধি উড়তে পারে। তবে এদের ১৮ তেকে ২০ ঘন্টা উড়বার রেকর্ড রয়েছে।
এছাড়াও Lovatt Tipplers,
Merredith Tipplers, এবং
Irish Blue Tipplers. এর প্রজাতি রয়েছে।
Tippler পায়রা প্রধানত উড়ন্ত উদ্দেশ্যে উত্থাপিত হয়।তবে এরা প্রদর্শনী বা শো উদ্দেশ্য জন্যও ভাল। এটি একটি খুব বুদ্ধিমান প্রজাতি।এদেরকে খুব সহজেই দীর্ঘ ঘন্টা উড়ন্ত প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষিত করা সম্ভব । বেশির ভাগ Tippler কবুতরের গড় উড়ন্ত ক্ষমতা ১৯ ঘন্টা। তবে এদের কিছু প্রজাতির ২২+ উড়বার রেকর্ড রয়েছে।
Tippler কবুতরের বিভিন্ন ক্লাবের নামঃ-
*National Tippler Union of Great Britain NTU
*National Flying Pigeon Association -INDIA
*American Tippler Union ATU
*Bulgaria Tippler Club NTKBG
*Dutch Tippler Club NVC
*Flying Tippler Club of North America FTCNA
*The Flying Tippler Association of America FTA
*Canadian Tippler Union CNTU
*Russian Tippler Club RTC
*German Tippler Union DFU
*German Tippler Club TCD
*Croatia Tippler Union HTS
*Czech Tippler Club KCHT
*Nepal Pigeons Keeper Association NPKA
*Australian Flying Tippler Union (AFTU)
*National Tippler Union Of TURKEY / (NTU-TR)
*National Tippler Union Of TURKEY / Bursa (BTK-TR)
*National Tippler Union Of TURKEY / Istanbul (İTK-TR)
*All Pakistan Pigeon Lovers Association / Islamabad.
Tippler কবুতরের কিছু রেকর্ডঃ-
আমাদের দেশে অনেক ধরনের হাইপ্লায়ার গিরিবাজ বা টিপলার কবুতর পাওয়া যায়। তবে আমরা বেশিরভাগ কবুতর পালক জাত হিসাবে এটিকে না চিনে সাধারণত বিভিন্ন নামে চিনে থাকি। যেমনঃ-
১. টেডি
২. কালদম
৩. পাংখি,
৪. জিরাগলা
৫. লাল চিলা
৬. সাহজাহান পুরি
৭. সাহারান পুরি
৮. নিলা
৯. গোল্ডন
১০. রামপুরি
১১. বেনারস
১২. শিয়াল কুটি
১৩. আলী ওয়ালা
১৪. বাঙ্কা
১৫. বাতেরী
১৬. চাপরায়
১৭. চাট ওয়ালা
১৮. চিনা
১৯. চোলা
২০. ডাব ওয়ালা
২১. দেওয়ান ওয়ালা
২২. দোভাজ
২৩. ফকির গুল
২৪. ফিরোজপুরী
২৫. গালে
২৬. হারে
২৭. ইমাম দিন
২৮. জনশিরা
২৯. কালে মু
৩০. কামাগার
৩১. কাসনি
৩২. কাসুরী
৩৩. কাটাং
৩৪. লাল-শিরা
৩৫. মোশন ওয়ালা
৩৬. নীল দুমা
৩৫. পট্টি ওয়ালা
৩৬. সালেতা
৩৭. সারকী
৩৮. শিকরা
৩৯. পঁয়ত্রিশ ওয়ালা
৪০. শুরাহ
৪১. ওয়েছি
৪২. জাগ চিনি
৪৩. জাগ
৪৪. জিরা
৪৫. জংলী
ইত্যাদি।
সম্ভাব্য মূল্যঃ- এদের উড়বার দক্ষতা এর উপর মূল্য নিধারিত হয়। সাধারণত ১০০০/৫০০০০ টাকায় ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে।তবে ক্ষেত্র বিশেষ এই মূল্য কম বেশি হতে পারে।
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You ****
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue