কবুতর পালকদের জন্য রোগ পরবর্তী কালীন পরিচর্যা হিসেবে জরুরি সতর্কতা ও করনীয়।
প্রত্যেক খামারি কোন না কোন সময় কালে বিপদের সম্মুখীন হন।এতে হয়তোবা কেউ অনেকটা বেশি আবার কেউ একটু কম ক্ষতির সম্মুখীন হয়।তবে যেটাই হোক খামারে রোগ বালাই এর প্রবেশ মানে একজন খামারির ঘুম হারাম হয়ে যাবার কারণ।বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় যে। খামার ক্ষতিগ্রস্হ হবার পর বা পরবর্তী সময়ে অনেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে কবুতর পালন ছেড়ে দেন। আর এই ক্ষতির পেছনে রোগ বালাই থেকে বেশি দ্বায়ী সঠিক পরামর্শ এবং রোগ পরবর্তী কালীন পরিচর্যা।এ সময়টাতে জরুরি ভিত্তিতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, আর এগুলো যদি সঠিক ভাবে মেনে চলা হয় তাহলে, আশা করা যায় তিনি সফল ভাবে খামার পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন।
সঠিকভাবে খামার পরিচালনা করা এবং রোগ পরবর্তী কালীন পরিচর্যা হিসেবে যে সকল সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।
১/প্রথমত কবুতর অসুস্থ হবার পর নিজে হতাশ হবেন না ধর্য্য ধরে চিকিৎসা করুন।
২/ যতটা সম্ভব দ্রুততার সাথে অসুস্থ কবুতরকে সুস্থ কবুতর থেকে আলাদা করুন।
৩/ কবুতর অসুস্থ হলে আগে রাইস স্যালাইন দিবেন। এবং সঠিকভাবে রোগ নির্নয়ের পর চিকিৎসা দিন।
৪/ অসুস্থ কবুতরকে অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহারের ৩ দিনের মধ্যে খেয়াল করবেন যে পায়খানার রঙ পরিবর্তন হচ্ছে কিনা? যদি না হয় তাহলে ৩ দিন পর অন্য অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহার করতে হবে।অর্থাৎ অ্যান্টিবায়োটিক টি পরিবর্তন করে অন্য একটি দিতে হবে।
৫/ অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহারের পর অবশ্যই প্রোভাইটিক দিতে হবে। তাহলে আবার ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরি হবে। আর পাতলা পায়খানা, সর্দি ইত্যাদির মত রোগ থেকে নিরাপদ থাকবে।
৬/ অধিক পরিমাণে অ্যান্টিবায়টিকের ব্যাবহার করা যাবে না।
৭/ চোখের রোগের জন্য কোন চোখের ড্রপ ১০ দিনের বেশি ব্যাবহার করা যাবে না।
৮/ ভিটামিন বা কোন ঔষধ দলা বেঁধে গেলে তা আর ব্যাবহার করা যাবে না।
৯/ ভিটামিন ব্যাবহারের পর যদি দেখেন কবুতর হলুদ ধরনের পায়খানা করছে, তাবে ওই ভিটামিন আর ব্যাবহার করা যাবে না।
১০/ কবুতর বমি করলে Domperidon বা এই ধরনের ঔষধ বেশি ব্যাবহার করবেন না। বা Histacin(Chlorpheniramine Maleata) এই ধরনের ঔষধ কখনও ব্যাবহার করবেন না।
১১/ খামার যেন ভিজা বা স্যাঁতসেঁতে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
১২/ ️ঔষধের গায়ে লেখা নির্দেশনা মত ঔষধ ব্যাবহার করতে যাবে না।
১৩/ Vitamins বা ঔষধ যেন রোদে না রাখা হয় সেটা খেয়াল রাখবেন। বা কোন ঔষধ বা Vitamin পানিতে মেশানোর পর, ৬ ঘণ্টার বেশি মেশানো পানি রাখবেন না।প্রয়োজনে আবার নতুন করে গুলিয়ে নিন।
১৪/ ️যেকোনো রোগের জন্য ঔষধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিজেকে দিয়ে বিচার করবেন।
১৫/ অনর্থক কবুতর কে বিরক্ত করবেন না।
১৬/ সুষম খাবার ও পরিস্কার ফুটানো পানি পরিবেশন নিশ্চিত করুন।
১৭/ সর্বপরি ভ্যাটেরিয়ান বা অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ ব্যাবহার করুন।
উপরোক্ত বিষয় গুলো সঠিকভাবে অনুসরন করলে আসা করি আপনার খামার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
পরিশেষে বলবো কবুতর পালনের এর জন্য চাই আপনার আত্মবিশ্বাস আর সাধারন কিছু জ্ঞান ও প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি।তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন। আজ এ পযন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।এছাড়াও কবুতর বিষয়ক কোন বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করতে চাইলে আমাদেরকে মেইল করতে পারেন অথবা ফেজবুক পেইজে ম্যাসেজ করতে পারেন।
আজ এখানেই শেষ করছি আবার আসবো নুতন কোন বিষয় নিয়ে চোখ রাখুন আমাদের ব্লগে।-আল্লাহ হাফেজ
প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো দ্রুত পেতে আমাদের ব্লগটি Followকরুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন।এছাড়াও ব্লগটি অপরের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।এছাড়াও আপনারা কবুতর বিষয়ক যে কোন বিষয় সম্পর্কে আমাদের সাথে শেয়ার করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন।
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
********Thanks *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue