কবুতর পালন সৌখিনতার পাশাপাশি ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি ও বটে। কবুতর পালন আদিকাল থেকে হয়ে আসছে।মধ্য যুগিও সময়ে দেখাযায় বিভিন্ন রাজমহলে বিশেষ বিশেষ জাতের কবুতর পালন করা হয়ে ছিলো। আধুনিক সময়ে কবুতরের ব্যাপক প্রজননের পাশাপাশি এদের আধুনিক পালন ব্যবস্থা জরুরী হয়ে পরেছে। আর আধুনিক কবুতর পালন ব্যবস্থাপনায় পাশাপাশি এদের সুন্দর ভাবে প্রতিপালন এর জন্য কিছু জিনিস এর ব্যবহার হয়ে আসছে। আজ আমরা কিছু জিনিস নিয়ে আলোচনা করবো।
আধুনিক কবুতরের খামারে ব্যবহার্য জিনিসপত্র।
১/ খাবারের পটঃ-
কবুতর পালন করতে বিশুদ্ধ খাবারের সরবরাহ জরুরী। আর এই খাবার সরবরাহের জন্য প্রয়োজন খাবার সরবরাহের পাত্র যেটিকে আমরা খাবারের পট বা পাত্র বলে থাকি। বাজারে বিভিন্ন সাইজের এবং আকারের খাবারের পট পাওয়া যায়। আকার ও সাইজ অনুযায়ী এসব পাত্রের দাম নিধারিত হয়ে থাকে।এসব পাত্রে খাবার সরবরাহের পাশাপাশি খামারের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখে।
২/ পানির পটঃ-
কবুতর পালন করতে খাবারের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্হাপনা জরুরী। আর এই পানি সরবরাহের জন্য প্রয়োজন পানি সরবরাহের পাত্র যেটিকে আমরা পানির পট বলে থাকি। বাজারে বিভিন্ন সাইজের এবং আকারের পানির পট পাওয়া যায়। সাইজ ও ডিজাইন অনুযায়ী এসব পাত্রের দাম নিধারিত হয়ে থাকে। এসব পট পানি সরবরাহের পাশাপাশি খামারের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখে।
৩/ গ্রিডের বাটি বা পটঃ-
গ্রিড কবুতরের খাবার ও পানি সরবরাহের পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিধারিত সময় পর পর কবুতরকে স্বাস্থ্য সম্মত গ্রিড প্রদান করা জরুরী। এসব গ্রিড প্রদানের জন্য প্রয়োজন হয় একটি পাত্রের যেটিকে আমারা গ্রিড এর বাটি বা পাত্র বলে থাকি।বাজারে বিভিন্ন সাইজের এবং ডিজাইনের গ্রিড এর পট পাওয়া যায়। ডিজাইন এবং সাইজ অনুযায়ী এদের দাম নিধারিত হয়ে থাকে। গ্রিড প্রদানের পাশাপাশি এটি খামারের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখে।
৪/ ডিমের হাড়ি বা পাত্রঃ-
ডিমের হাড়ি বা পাত্র আধুনিক কবুতর পালন ব্যবস্হাপায় একটি নতুন সংস্করণ।এটি যেমন এক জোড়া কবুতরকে সুন্দর ভাবে বাচ্চা উৎপাদনে সাহায্য করে তেমনি বাচ্চাকে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতেও সাহায্য করে। সুন্দর ভাবে এক জোড়া বাচ্চা উৎপাদনের জন্য ২ টি ডিমের হাড়ি বা পাত্রের প্রয়োজন। (১)ডিম দেবার থেকে শুরু করে বাচ্চা ফোটার প্রথম ১০ দিন মাটির তৈরি পাত্র (২)১১ তম দিন থেকে বাকিটা সময় প্লাস্টিকের পাত্র। বাজারে বিভিন্ন ডিজাইনের প্লাস্টিকের পাত্র বা ঝুড়ি পাওয়া যায়।কোয়ালিটি এবং ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে এদের দাম নিধারিত হয়ে থাকে। বাচ্চা উৎপাদনের পাশাপাশি এটি খামারের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে।
৫/ হাঁড়ির কাপরঃ-
ডিমের হাড়িতে ব্যবহারের জন্য এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাচ্চা ফোঁটার পর সপ্তাহে ২ বার এই কাপড় পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়।এবং ব্যবহারিত কাপড় রৌদ্রে ভালোভাবে শুখিয়ে আবার ব্যবহার করা যায়।
৬/ প্লাস্টিকের ডিমঃ-
প্লাস্টিকের ডিম কবুতরকে সুন্দর ভাবে বাচ্চা উৎপাদনে সাহায্য করে। কবুতর প্রথম ডিম দেবার প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর দ্বিতীয় ডিম দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যদি এইভাবে কবুতর ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোঁটায় তবে বাচ্চা সময়ের ব্যবধান নিয়ে জন্মায় ফলে বাচ্চা ছোট বড় হয়। তাই এটির সমাধানের জন্য প্রয়োজন হয় নকল ডিম বা প্লাস্টিকের ডিমের।কবুতর প্রথম ডিম দেবার পর আসল ডিমটি সরিয়ে নকল ডিম রাখা হয় এভাবে কবুতর দ্বিতীয় ডিম দেবার পার আবার আসল ডিমটি পাত্রে রেখে নকল ডিমটি সরিয়ে নেয়া হয় এতে করে দুইটি ডিম সমান ভাবে উত্তাপ পায় এবং একই সাথে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় এবং সমান ভাবে বেড়ে উঠে।
৭/ ট্যাগ বা কবুতরের রিংঃ-
ট্যাক হলো কবুতরকে চিহ্নিত করার অন্যতম মাধ্যম। ট্যাগের মাধ্যমে মুলত কবুতরে পূর্ব জাত পরিচিতি তুলে ধরা হয় কিন্তু বর্তমান সময়ে সৌখিনতার বসে ট্যাগ বিভিন্ন নামে হয়ে থাকে বিশেষ করে খামারের নামে। ট্যাগ বা রিং দুই ধরনের হয়ে থাকে।(১)রেসিং কবুতরের জন্যঃ- প্রতিটা ট্যাগে আলাদা আলাদা নাম্বার থাকে এবং যে ক্লাব থেকে ট্যাগ সরবরাহ করা হয় তার নাম,বছর,নিবন্ধন নম্বর, থাকে এবং ওই ট্যাগের নাম্বার অনুযায়ী রেসারের রেস রেজাল্ট ও পেডিগ্রি তৈরি হয়।
যা কবুতরের পূর্ব জাত পরিচিতি বর্ণনার করে। (২) অপরদিকে ব্যাক্তিক ব্যবহারিত ট্যাগ বা রিং বাজারের ক্রয় করতে পাওয়া যায়। কবুতরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি,খামারের নাম,কবুতরের সংখ্যা ইত্যাদি দিয়ে ট্যাগ তৈরি করা হয়।বাজারে বিভিন্ন ডিজাইনের ট্যাগ পাওয়া যায়। ট্যাগের আকার ও ডিজাইন অনুযায়ী দাম নিধারিত হয়ে থাকে।সাধারণত বাচ্চার বয়স ১৮ দিবসের পূর্বেই ট্যাগ পরিয়ে দেয়া হয়ে থাকে।
৮/ ট্যাগ কাটারঃ-
বিভিন্ন সময়ে কবুতরের ট্যাগ কে জরুরী ভিত্তিতে অপসারণের প্রয়োজন পরে সেক্ষত্রে ট্যাগ কাটারের মাধ্যমে খুব কম সময়ে এবং নিরাপদে ট্যাগটি অপসারণ করা সম্ভব হয়।এছাড়াও বিভিন্ন কাজে এটি ব্যবহারিত হয়ে থাকে।
৯/ বেবী ফিডারঃ-
বাচ্চা কবুতরের বাবা মা কখনো কখনো বাচ্চাকে কম খাওয়ার বা খাওয়ানো ছেড়ে দেয় সেক্ষেত্রে কবুতরের বাচ্চা কে হাতে ধরে খাওয়ানোর প্রয়োজন পরে। বিশেষ ভাবে তৈরি এই বেবী ফিডার এর মাধ্যমে বাচ্চাকে খুব সুন্দর ভাবে এবং নিরাপদে খাওয়ানো যায়। বাজারে বিভিন্ন সাইজের এবং ডিজাইনের বেবী ফিডার পাওয়া যায়। সাইজ এবং ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে এদের দাম নিধারিত হয়ে থাকে।
১০/ সিরিঞ্জঃ-
সিরিঞ্জ কবুতরের খামারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার্য। কবুতরকে টিকা দেওয়া, ঔষুধ খাওয়ানো,সহ বিভিন্ন কাজে এটির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাজারে বিভিন্ন দামের সিরিঞ্জ পাওয়া যায়।
১১/ ট্রেঃ-
খাঁচায় পালন করা কবুতরের জন্য এই ট্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে।প্রতিটা খাঁচার নিচে এটি দেয়া হয়ে থাকে। ট্রে ব্যবহারের ফলে কবুতর পরিস্কার ভাবে থাকতে পারে কেননা কবুতরের মল,খাবারের উচ্ছিষ্ট খাঁচার মধ্যে না পরে সোজা ট্রেতে গিয়ে জমা হয় এবং সপ্তাহে অন্তত ২ বার এটি পরিস্কারের প্রয়োজন। খাঁচার সাইজ অনুযায়ী এই ট্রের সাইজ নিধারিত হয়ে থাকে। বাজারে বিভিন্ন সাইজের ট্রে পাওয়া যায়। এবং সাইজ অনুযায়ী এদের দাম নিধারিত হয়ে থাকে।
১২/ রেষ্টস্ট্যান্ডঃ-
রেষ্টস্ট্যান্ড হলো কবুতরকে বিশ্রাম নেবার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি একধরনের বস্তু। এটি কবুতরের খামারে নির্ধারিত দূরত্বে সারিবদ্ধ ভাবে সেট করা হয়ে থাকে। প্রতিটি স্ট্যান্ডে একটি কবুতর অবস্থান করতে পারে। বিশেষ করে রেসিং কবুতরের খামার গুলোতে রেষ্ট স্ট্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাজারে বিভিন্ন দামের রেষ্ট স্ট্যান্ড পাওয়া যায়।এটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং এটি খামারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
১৩/ ক্যারিং বক্সঃ-
কবুতকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে নেবার জন্য ক্যারিং বক্স এর প্রয়োজন হয়। বাজারে বিভিন্ন সাইজের এবং ডিজাইনের ক্যারিং বক্স পাওয়া যায়। এবং সাইজ ও ডিজাইন অনুযায়ী দাম নিধারিত হয়ে থাকে।
১৪/ Temperature Measurementঃ-
খামারের তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটা দেখে খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।প্রতিটা খামারে Temperature Measurement থাকাটা খুব জরুরী।
১৫/ স্প্রে মেশিনঃ-
কবুতরকে সুস্থ রাখার জন্য খামার জীবাণু মুক্ত করা অতীব জরুরী। আর জিবাণু মুক্ত কারার জন্য স্প্রে মেশিন এর প্রয়োজন হয়। এর মাধ্যমে খুব সহজে খামার জীবাণু মুক্ত করা সম্ভব হয়।বাজারে বিভিন্ন সাইজের স্প্রে মেশিন পাওয়া যায়।কোয়ালিটি এবং সাইজের উপর এটার দাম নিধারিত হয়ে থাকে।
১৬/ কাঁচি,দা,ছুরি ইত্যাদিঃ-
কাঁচি,দা,ছুরি খামারের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি। এটি খামরের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।যেমনঃ - ট্রে পরিস্কার, খামারের চারপাশ পরিস্কার ইত্যাদি। বাজারে বিভিন্ন মূল্যের এসব যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়।
১৭/ ডাস্টবিনঃ-
কবুতরের ঘরের বিভিন্ন ময়লা ফেলার জন্য একটা মাঝারি আকারের প্যাডেলবিন বা ডাস্টবিন থাকা জরুরী। বাজারে বিভিন্ন সাইজের এবং ডিজাইনের প্যাডেল বিন পাওয়া যায়। কোয়ালিটি ও আকারের উপর এর মূল্য নিধারিত হয়ে থাকে।
১৮/ বালতিঃ-
পরিমাণ মত পানি সরবরাহের জন্য খামারে একটা বালতি থাকা প্রয়োজন। বাজারে বিভিন্ন মূল্যের বালতি পাওয়া যায়।
১৯/ পানির মগঃ-
পানির পটে কবুতরকে পানি দেবার জন্য খামারে একটা পানির মগ থাকা প্রয়োজন। বাজারে বিভিন্ন মূল্যের পানির মগ পাওয়া যায়।
২০/ স্যান্ডেলঃ-
খামারের ব্যবহারের জন্য আলাদা স্যান্ডেল থাকা জরুরী।বাজারে বিভিন্ন মূল্যের স্যান্ডেল পাওয়া যায়।
২১/ হ্যান্ড ওয়াসঃ-
হাতকে জীবাণু মুক্ত করার জন্য খামারে হ্যান্ড ওয়াস থাকা জরুরী।
এছাড়াও আরও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে যা আধুনিক কবুতর খামার গুলোতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কবুতরের খামারের ব্যবহৃত উপকরণ গুলো পেতে। নিচের দেয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
Md.Roman Shikdar Pairawala
Mobile:- 01964870490
Address:- Uttar Badda,Sutivola Khalpar,Gulshan,Dhaka-1212.
Email:- sohelsikder24@gmail.com
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
আধুনিক কবুতরের খামারে ব্যবহার্য জিনিসপত্র।
১/ খাবারের পটঃ-
খাবারের পাত্র |
২/ পানির পটঃ-
কবুতর পালন করতে খাবারের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্হাপনা জরুরী। আর এই পানি সরবরাহের জন্য প্রয়োজন পানি সরবরাহের পাত্র যেটিকে আমরা পানির পট বলে থাকি। বাজারে বিভিন্ন সাইজের এবং আকারের পানির পট পাওয়া যায়। সাইজ ও ডিজাইন অনুযায়ী এসব পাত্রের দাম নিধারিত হয়ে থাকে। এসব পট পানি সরবরাহের পাশাপাশি খামারের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখে।
৩/ গ্রিডের বাটি বা পটঃ-
গ্রিড কবুতরের খাবার ও পানি সরবরাহের পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিধারিত সময় পর পর কবুতরকে স্বাস্থ্য সম্মত গ্রিড প্রদান করা জরুরী। এসব গ্রিড প্রদানের জন্য প্রয়োজন হয় একটি পাত্রের যেটিকে আমারা গ্রিড এর বাটি বা পাত্র বলে থাকি।বাজারে বিভিন্ন সাইজের এবং ডিজাইনের গ্রিড এর পট পাওয়া যায়। ডিজাইন এবং সাইজ অনুযায়ী এদের দাম নিধারিত হয়ে থাকে। গ্রিড প্রদানের পাশাপাশি এটি খামারের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখে।
৪/ ডিমের হাড়ি বা পাত্রঃ-
ডিমের হাড়ি বা পাত্র আধুনিক কবুতর পালন ব্যবস্হাপায় একটি নতুন সংস্করণ।এটি যেমন এক জোড়া কবুতরকে সুন্দর ভাবে বাচ্চা উৎপাদনে সাহায্য করে তেমনি বাচ্চাকে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতেও সাহায্য করে। সুন্দর ভাবে এক জোড়া বাচ্চা উৎপাদনের জন্য ২ টি ডিমের হাড়ি বা পাত্রের প্রয়োজন। (১)ডিম দেবার থেকে শুরু করে বাচ্চা ফোটার প্রথম ১০ দিন মাটির তৈরি পাত্র (২)১১ তম দিন থেকে বাকিটা সময় প্লাস্টিকের পাত্র। বাজারে বিভিন্ন ডিজাইনের প্লাস্টিকের পাত্র বা ঝুড়ি পাওয়া যায়।কোয়ালিটি এবং ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে এদের দাম নিধারিত হয়ে থাকে। বাচ্চা উৎপাদনের পাশাপাশি এটি খামারের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে।
৫/ হাঁড়ির কাপরঃ-
ডিমের হাড়িতে ব্যবহারের জন্য এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাচ্চা ফোঁটার পর সপ্তাহে ২ বার এই কাপড় পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়।এবং ব্যবহারিত কাপড় রৌদ্রে ভালোভাবে শুখিয়ে আবার ব্যবহার করা যায়।
৬/ প্লাস্টিকের ডিমঃ-
প্লাস্টিকের ডিম কবুতরকে সুন্দর ভাবে বাচ্চা উৎপাদনে সাহায্য করে। কবুতর প্রথম ডিম দেবার প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর দ্বিতীয় ডিম দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যদি এইভাবে কবুতর ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোঁটায় তবে বাচ্চা সময়ের ব্যবধান নিয়ে জন্মায় ফলে বাচ্চা ছোট বড় হয়। তাই এটির সমাধানের জন্য প্রয়োজন হয় নকল ডিম বা প্লাস্টিকের ডিমের।কবুতর প্রথম ডিম দেবার পর আসল ডিমটি সরিয়ে নকল ডিম রাখা হয় এভাবে কবুতর দ্বিতীয় ডিম দেবার পার আবার আসল ডিমটি পাত্রে রেখে নকল ডিমটি সরিয়ে নেয়া হয় এতে করে দুইটি ডিম সমান ভাবে উত্তাপ পায় এবং একই সাথে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় এবং সমান ভাবে বেড়ে উঠে।
৭/ ট্যাগ বা কবুতরের রিংঃ-
ট্যাক হলো কবুতরকে চিহ্নিত করার অন্যতম মাধ্যম। ট্যাগের মাধ্যমে মুলত কবুতরে পূর্ব জাত পরিচিতি তুলে ধরা হয় কিন্তু বর্তমান সময়ে সৌখিনতার বসে ট্যাগ বিভিন্ন নামে হয়ে থাকে বিশেষ করে খামারের নামে। ট্যাগ বা রিং দুই ধরনের হয়ে থাকে।(১)রেসিং কবুতরের জন্যঃ- প্রতিটা ট্যাগে আলাদা আলাদা নাম্বার থাকে এবং যে ক্লাব থেকে ট্যাগ সরবরাহ করা হয় তার নাম,বছর,নিবন্ধন নম্বর, থাকে এবং ওই ট্যাগের নাম্বার অনুযায়ী রেসারের রেস রেজাল্ট ও পেডিগ্রি তৈরি হয়।
যা কবুতরের পূর্ব জাত পরিচিতি বর্ণনার করে। (২) অপরদিকে ব্যাক্তিক ব্যবহারিত ট্যাগ বা রিং বাজারের ক্রয় করতে পাওয়া যায়। কবুতরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি,খামারের নাম,কবুতরের সংখ্যা ইত্যাদি দিয়ে ট্যাগ তৈরি করা হয়।বাজারে বিভিন্ন ডিজাইনের ট্যাগ পাওয়া যায়। ট্যাগের আকার ও ডিজাইন অনুযায়ী দাম নিধারিত হয়ে থাকে।সাধারণত বাচ্চার বয়স ১৮ দিবসের পূর্বেই ট্যাগ পরিয়ে দেয়া হয়ে থাকে।
৮/ ট্যাগ কাটারঃ-
বিভিন্ন সময়ে কবুতরের ট্যাগ কে জরুরী ভিত্তিতে অপসারণের প্রয়োজন পরে সেক্ষত্রে ট্যাগ কাটারের মাধ্যমে খুব কম সময়ে এবং নিরাপদে ট্যাগটি অপসারণ করা সম্ভব হয়।এছাড়াও বিভিন্ন কাজে এটি ব্যবহারিত হয়ে থাকে।
৯/ বেবী ফিডারঃ-
বাচ্চা কবুতরের বাবা মা কখনো কখনো বাচ্চাকে কম খাওয়ার বা খাওয়ানো ছেড়ে দেয় সেক্ষেত্রে কবুতরের বাচ্চা কে হাতে ধরে খাওয়ানোর প্রয়োজন পরে। বিশেষ ভাবে তৈরি এই বেবী ফিডার এর মাধ্যমে বাচ্চাকে খুব সুন্দর ভাবে এবং নিরাপদে খাওয়ানো যায়। বাজারে বিভিন্ন সাইজের এবং ডিজাইনের বেবী ফিডার পাওয়া যায়। সাইজ এবং ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে এদের দাম নিধারিত হয়ে থাকে।
১০/ সিরিঞ্জঃ-
সিরিঞ্জ কবুতরের খামারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার্য। কবুতরকে টিকা দেওয়া, ঔষুধ খাওয়ানো,সহ বিভিন্ন কাজে এটির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাজারে বিভিন্ন দামের সিরিঞ্জ পাওয়া যায়।
১১/ ট্রেঃ-
খাঁচায় পালন করা কবুতরের জন্য এই ট্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে।প্রতিটা খাঁচার নিচে এটি দেয়া হয়ে থাকে। ট্রে ব্যবহারের ফলে কবুতর পরিস্কার ভাবে থাকতে পারে কেননা কবুতরের মল,খাবারের উচ্ছিষ্ট খাঁচার মধ্যে না পরে সোজা ট্রেতে গিয়ে জমা হয় এবং সপ্তাহে অন্তত ২ বার এটি পরিস্কারের প্রয়োজন। খাঁচার সাইজ অনুযায়ী এই ট্রের সাইজ নিধারিত হয়ে থাকে। বাজারে বিভিন্ন সাইজের ট্রে পাওয়া যায়। এবং সাইজ অনুযায়ী এদের দাম নিধারিত হয়ে থাকে।
১২/ রেষ্টস্ট্যান্ডঃ-
রেষ্টস্ট্যান্ড হলো কবুতরকে বিশ্রাম নেবার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি একধরনের বস্তু। এটি কবুতরের খামারে নির্ধারিত দূরত্বে সারিবদ্ধ ভাবে সেট করা হয়ে থাকে। প্রতিটি স্ট্যান্ডে একটি কবুতর অবস্থান করতে পারে। বিশেষ করে রেসিং কবুতরের খামার গুলোতে রেষ্ট স্ট্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাজারে বিভিন্ন দামের রেষ্ট স্ট্যান্ড পাওয়া যায়।এটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং এটি খামারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
১৩/ ক্যারিং বক্সঃ-
কবুতকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে নেবার জন্য ক্যারিং বক্স এর প্রয়োজন হয়। বাজারে বিভিন্ন সাইজের এবং ডিজাইনের ক্যারিং বক্স পাওয়া যায়। এবং সাইজ ও ডিজাইন অনুযায়ী দাম নিধারিত হয়ে থাকে।
১৪/ Temperature Measurementঃ-
খামারের তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটা দেখে খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।প্রতিটা খামারে Temperature Measurement থাকাটা খুব জরুরী।
১৫/ স্প্রে মেশিনঃ-
কবুতরকে সুস্থ রাখার জন্য খামার জীবাণু মুক্ত করা অতীব জরুরী। আর জিবাণু মুক্ত কারার জন্য স্প্রে মেশিন এর প্রয়োজন হয়। এর মাধ্যমে খুব সহজে খামার জীবাণু মুক্ত করা সম্ভব হয়।বাজারে বিভিন্ন সাইজের স্প্রে মেশিন পাওয়া যায়।কোয়ালিটি এবং সাইজের উপর এটার দাম নিধারিত হয়ে থাকে।
১৬/ কাঁচি,দা,ছুরি ইত্যাদিঃ-
কাঁচি,দা,ছুরি খামারের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি। এটি খামরের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।যেমনঃ - ট্রে পরিস্কার, খামারের চারপাশ পরিস্কার ইত্যাদি। বাজারে বিভিন্ন মূল্যের এসব যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়।
১৭/ ডাস্টবিনঃ-
কবুতরের ঘরের বিভিন্ন ময়লা ফেলার জন্য একটা মাঝারি আকারের প্যাডেলবিন বা ডাস্টবিন থাকা জরুরী। বাজারে বিভিন্ন সাইজের এবং ডিজাইনের প্যাডেল বিন পাওয়া যায়। কোয়ালিটি ও আকারের উপর এর মূল্য নিধারিত হয়ে থাকে।
১৮/ বালতিঃ-
পরিমাণ মত পানি সরবরাহের জন্য খামারে একটা বালতি থাকা প্রয়োজন। বাজারে বিভিন্ন মূল্যের বালতি পাওয়া যায়।
১৯/ পানির মগঃ-
পানির পটে কবুতরকে পানি দেবার জন্য খামারে একটা পানির মগ থাকা প্রয়োজন। বাজারে বিভিন্ন মূল্যের পানির মগ পাওয়া যায়।
২০/ স্যান্ডেলঃ-
খামারের ব্যবহারের জন্য আলাদা স্যান্ডেল থাকা জরুরী।বাজারে বিভিন্ন মূল্যের স্যান্ডেল পাওয়া যায়।
২১/ হ্যান্ড ওয়াসঃ-
হাতকে জীবাণু মুক্ত করার জন্য খামারে হ্যান্ড ওয়াস থাকা জরুরী।
এছাড়াও আরও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে যা আধুনিক কবুতর খামার গুলোতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কবুতরের খামারের ব্যবহৃত উপকরণ গুলো পেতে। নিচের দেয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
Md.Roman Shikdar Pairawala
Mobile:- 01964870490
Address:- Uttar Badda,Sutivola Khalpar,Gulshan,Dhaka-1212.
Email:- sohelsikder24@gmail.com
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
2 মন্তব্যসমূহ
৯/ বেবী ফিডার পাওয়া যাবে কিভাবে।
উত্তরমুছুনবাচ্চা বা মিডিয়াম কবুতরের জন্য
ব্লগটি ভিজিটের পাশাপাশি আপনার সুন্দর একটি মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আসাকরি আমাদের ব্লগ টি ফলো করবেন এবং সবসময় আপনার মূল্যবান মতামত অব্যাহত রাখবেন।আপনি বেবী ফিডার কোথায় পাওয়া যায় সেটি জানতে চেয়েছেন। আপনি যদি আমাদের এই পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তবে পোস্টের শেষে একটি ঠিকানা ও নাম্বার পাবেন, আসা করি আপনি যেটি খুজছেন সেটি পেয়ে যাবেন।আসা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
মুছুনআপনি চাইলে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ভিজিট করতে পারেন।
ইউটিউব লিংঃ- https://www.youtube.com/channel/UCeE2Jr6s8lse8oGhdSce43g
*********ধন্যবাদ**********
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue