Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

কবুতর এর যত্নে মধু এর উপকারিতা ও ব্যবহারঃ

কবুতরের যত্নে মধু


উপাদানঃ
মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে।মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫-১২ শতাংশ মন্টোজ। আরো থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ ভাগ এনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।
এতে ভিটামিন এ, বি, সি প্রচুর পরিমাণ বিদ্যমান।
মধুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, আয়োডিন, জিংক ও কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল মত উপাদান। এছারাও অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানও আছে। যেমন- এনজাইম বা উৎসেচক, খনিজ পদার্থ (যথা পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ)।

উপকারিতাঃ
১. মধু অনেক ailments এবং আরো অনেক জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার রয়েছে। কৃমির ঔষধ না ব্যাবহার করা থাকলে মধু ব্যাবহার কবুতরের জন্য জীবন হানিকর হতে পারে।
২.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. মধু তাপ ও শক্তির ভালো উৎস।
৪.হজমে সহায়তাঃ এতে যে শর্করা থাকে তা সহজেই হজম হয়। কারণ এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে।
৫.পাকস্থলীর সুস্থতায়ঃ মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে।
৬.দেহে তাপ উৎপাদনেঃ শীতের ঠান্ডায় এটি দেহকে গরম রাখে।
৭.মধুর গুরুত্বপূর্ণউপকরণ ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম  হাড় ও পালকের গোড়া শক্ত রাখে, পালকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে।
৮.আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়ে।
৯.জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইঃ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছেযে মধুতে রয়েছে উচ্চশক্তিসম্পন্ন অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এই এজেন্ট শরীরের ক্ষতিকর রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।।
১০.হজম সমস্যার সমাধানেও কাজ করে মধু।
১১.ঠান্ডা যাতিও সমস্যা দূর করে
১২.মধুতে আছে প্রকৃতির শক্তির সহায়তাকারী।
১৩.মধু একটি মহান অনাক্রম্যতা(immunity) সিস্টেম রচয়িতা,
১৪.মধু অনেক ailments এবং আরো অনেক জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার রয়েছে।
বিঃদ্রঃ কৃমির ঔষধ না ব্যাবহার করা থাকলে মধু ব্যাবহার কবুতরের জন্য জীবন হানিকর হতে পারে।

ব্যাবহার এর নিয়মঃ
১.  ১কেজি খাবারের সাথে এক টেবিল চামচ পরিমান মধু ভালভাবে মিশিয়ে কবুতর কে দিতে পারেন সপ্তাহে ১/২ দিন।

অথবা

২.কালজিরার সাথে পরিমান মত মধু নিয়ে বেটে ডাবরি সাইজ এর বানিয়ে মাসে ১/২ দিন খাওয়াতে পারেন।

বিঃদ্রঃ বেশি গরম পরলে মধু ব্যবহার এ সতর্কতা অবলম্বন করুন।কৃমির ঔষধ না ব্যাবহার করা থাকলে মধু ব্যাবহার কবুতরের জন্য জীবন হানিকর হতে পারে।



প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।

তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD

   *******Thank You *******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ