Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

Pigeon Chlamydia কি? Chlamydia রোগ এর লক্ষণ এবং প্রতিকার ও প্রতিরোধে করনীয়।


Pigeon Chlamydia  হলো Microop Ganism নামক  Virus এর সংক্রমণে সংগঠিত এক প্রকার রোগ যা অনেক সময় কবুতরের শরীরে পাওয়া যায় এবং এটি সাধারণত কবুতরের চোখ ও ফুসফুসের সংক্রমণ সৃষ্টি করে। এ Virus এর অনেক গুলো Trend বিদ্যামান যা কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে তাদের সংক্রমণ এর পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে থাকে।

তবে Pigeon Chlamydia এর একক ও প্রধান কারন হলো বহিরাগত কবুতর। যা  খামারের কবুতর সংস্পর্শে আসার মাধ্যমেই এ রোগটির খামারে প্রবেশ করে। বিশেষ করে ফ্লাইং করা কবুতর এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। সাধারণত প্রজনন চলাকালীন সময়ে এবং রেসিং মৌসুমে এ রোগ প্রকোপ আকার ধারন করতে পারে।

প্রজনন কালীনঃ-
প্রজনন চলাকালীন সময়ে সংক্রামিত কবুতরের বাসায় ড্রপিং ছরিয়ে ডিম এবং ভ্রুণ কে ক্ষতি করতে পারে। যদি Chlamydia জীবাণু ডিমের খোলস ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করতে পারে তবে ডিম নষ্ট হয়ে যাবে অথবা ডিমের ভেতর থাকা ভ্রুণটি দুর্বল হয়ে যাবে সে ক্ষেত্রে ডিম ফোটার সময় বেশির ভাগ বাচ্চা মারা যাবে। এমন কি Chlamydia সংক্রমিত কবুতরের বাসায় থাকা বাচ্চা যে কোন মূহুর্তে মারা যেতে পারে। বেঁচে যাওয়া কবুতরের বাচ্চা বছর এর পর বছর এ রোগের ভাইরাস বহন করতে পারে এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

রেসিং মৌসুমেঃ-
এ সময়টা রেসিং বা উরানোর জন্য কবুতরকে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে বা রেসিং এর জন্য কবুতর কে বিভিন্ন কবুতরের সংস্পর্শে আসতে হয় ফলে Chlamydia সংক্রামিত কবুতর থেকে Microop Ganism Virus  টি বিভিন্ন ভাবে সুস্থ কবুতরদের শরীরে প্রবেশ করে। যখন Microop Ganism Virus  বহনকারী কবুতরটি খামারে প্রবেশ করে তখন তার থেকে খামারের কবুতর গুলো সংক্রামিত হয়। একটি সংক্রামিত কবুতর যৌথ পানির পাত্রে একবার পানি পান করার মাধ্যমে ১০০ টি নতুন কবুতর এর শরীরের এ রোগের সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

Pigeon Chlamydia এর লক্ষণ সমূহঃ-
বয়স্ক কবুতরের ক্ষেত্রে।
১. কবুতরের চোখে নোংরা জমতে পারে এবং ফুলে উঠবে।
২. কবুতরের শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
৩. সবুজ পায়খানা করতে পারে।
৪. উরতে অনিহা প্রকাশ করবে।
৫. খাদ্য গ্রহণে অরুচি প্রকাশ করবে।

বাচ্চা কবুতরের ক্ষেত্রে।
১. কোন কারন সারাই দূর্বল হয়ে মারা যাবে।
২. শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
৩. ডাইরিয়া দেখাদিতে পারে।

Pigeon Chlamydia যেভাবে সংক্রমণ ছরায়ঃ

১. বহিরাগত কবুতরের মাধ্যমে।
২. ফ্লাইং করার সময় অন্য কবুতরের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে।
৩. সংক্রমিত কবুতরের ড্রপিং,লালা,মিটিং ইত্যাদির এর মাধ্যমে।
৪. সংক্রমিত কবুতর এর ব্যবহার্য পানির পাত্র থেকে সুস্থ কবুতর পানি পান করার মাধ্যমে।
৫. সংক্রামিত কবুতরের ডিম এর মাধ্যমে বাচ্চা কবুতরের শরীরের।

Pigeon Chlamydia প্রতিরোধে করনীয়ঃ

১. বহিরাগত কবুতরের  খামারে প্রবেশ বা খামারের কবুতরের সাথে মেলামেশা বন্ধ করা।
২. ফ্লাই করানো বা পাল্লা দেওয়া কবুতরের আলাদা করে রাখা।এর মৌসুম শেষ হলে সমস্ত কবুতরকে জীবাণু মুক্ত করার পর খামারে প্রবেশ করানো।
৩. খামারে জৈব নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিশ্চিত করা।
৪. খামারে ভিটামিন,মিনারেল,প্রোবাটিক্স,ক্যালসিয়াম এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

Pigeon Chlamydia এর প্রতিকারে ও চিকিৎসার  করনীয়ঃ

১. অসুস্থ কবুতরকে সুস্থ কবুতর থেকে দ্রুততার সাথে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা।
২. সুস্থ না হওয়া পর্যন্তুু চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া।
৩. অসুস্থ কবুতরের খাবার পাত্র,পানির পট,বাসস্থান দ্রুততার সাথে জীবাণু মুক্ত করা।
৪. এনটিবায়েটিক এর অযাচিত ব্যবহার ও ভুল ঔষুধ প্রয়োগ বন্ধ করা।
৫. Pigeon Chlamydia সাধারণ চিকিৎসার Doxcyciline দেয়া যেতে পারে।
!Doxcyciline(১/৪-০-১/৪)

সর্বপরি কবুতরের Pigeon Chlamydia এর লক্ষণ প্রকাশিত হবার সাথে সাথে ভেটেরিনারি ডাক্তার বা অভিজ্ঞজন এর পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উত্তম ।

প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।

তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD

   *******Thank You *******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ