কবুতরের বহিঃপরজীবি সংক্রমণ মূলত মশা,মাছি,উকুন, মাইট,বহিরাগত জিবানু ইত্যাদি এর কারনে হয়ে থাকে। এ ধরনের বহিঃপরজীবি গুলো প্রায় বছরের সব ঋতুতেই কম বেশি কবুতরকে আক্রমণ করে থাকে অবশ্য এর জন্য আমারা নিজেরাই অনেকাংশে দায়ী। লফ্ট এর অপরিচ্ছন্নতা ও স্যাঁতস্যাঁতে ভাব বহিঃপরজীবি সংক্রমণ এর প্রধান কারন হিসেবে ধরা হয়।
বেশিরভাগ বহিঃপরজীবি নিশাচর প্রকৃতির হয় দিনের আলোতে এরা ভয়ংকর না হলেউ রাতের আঁধারে ভয়ংকর হয়ে উঠে এরা কবুতরের শরীরের রক্ত শোষণ করে বেঁচেথাকে এবং বিভিন্ন রোগ জীবাণু দ্রুত ছরাতে সাহায্য করে।
এছারাও কখনো কখনো কবুতরের ম্যালেরিয়ার জন্য দ্বায়ি করা হয়ে থাকে। এরা সাধারণত কবুতরের শরীরে বসবাস করে এবং কবুতরের বাসস্থানের লুকানো কোন জায়গাতে ডিম পারে এভাবেই তাদের জীবন পরিক্রমা সম্পন্ন করে। বহিঃপরজীবি দের মধ্যে মশাকে সবথেকে বেশি খারাপ পরজীবি হিসাবে ধরা হয় কেননা এরা কবুতরের রক্ত শোষণ, ভাইরাস ছরানো সহ পক্স সৃষ্টির জন্য দ্বায়ি।
বহিঃপরজীবি সংক্রমণের ক্ষতিকারক দিকঃ
১. এরা কবুতরের শরীরের রক্ত শোষণ করে বেঁচে থাকে।
২. বিভিন্ন ক্ষতিকারক ভাইরাসের দ্রুত প্রসার ঘটায়।
৩. মশা পক্স সৃষ্টির জন্য দ্বায়ি।
৪. কবুতরকে বিশ্রাম নিতে দেয় না।
৫. কবুতর ডিমে তা দিতে বিরক্ত প্রকাশ করে।
৬. কবুতর রক্ত শুন্যতায় ভুগতে পারে।
৭. কবুতরের গায়ে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে।
৮. ম্যালেরিয়া সৃষ্টির জন্য এরা অনেকাংশে দ্বায়ি।
বহিঃপরজীবি নিয়ন্ত্রনে করনীয়ঃ
১. লফ্ট পরিস্কার রাখা।
২. পর্যাপ্ত আলোবাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা।
৩. লফ্টে নিয়মিতভাবে বহিঃপরজীবি নিয়ন্ত্রক ঔষুধ ব্যবহার করা।
৪. মাঝে মাঝে কবুতরকে নিমপাতার দ্রবণে গোসল করানো।
৫. লফ্টের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দুর করা।
৬. লফ্টের চারিপাশ পরিস্কার পরিছন্ন রাখা।
বহিঃপরজীবি সংক্রমণের চিকিৎসাঃ
১. পরজীবি দূরিকরণ ঔষুধ দ্বারা গোসল করানে বা কবুতরের গায়ে ব্যবহার করা।
অথবা
২. নিমপাতার দ্রবণে গোসল করানো।
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue