কবুতর প্রানীকুলের গৃহপালিত পশুপাখির মধ্যে সবথেকে সৌখিন গৃহপালিত প্রানি।বিশ্বের এমন কোন প্রান্ত নেই যেখানে কবুতর গৃহপালিত পাখি হিসাবে লালনপালন করা হয় না। এমনকি ইতিহাস পর্যলোচনা করলে দেখা যায় বিভিন্ন সামরিক শক্তিধর দেশ গুলোর যুদ্ধ পরিচালনা ক্ষেত্রে একটা সময় সৈনিক দের পাশাপাশি কবুতরের ভুমিকা ছিলো অতুলনীয়।এখন সময় এসেছে বদলাবার, কবুতর এখন কার যুগে শুধু সৌখিনতার বিষয় নয়। সারা বিশ্বে এখন বানিজ্যিক ভাবে কবুতর লালনপালন করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কালের পরিক্রমায় প্রায় ১২০০ জাতের কবুতরের মধ্যে আমাদের দেশেউ ১০০-১৫০ জাতের কবুতর পালন করা হয়ে থাকে। কিন্তুু একটা কথা দুঃখ জনক হলেউ সত্য কবুতর লালনপালন এর জন্য পর্যাপ্ত ঔষুধ ও আধুনিক ব্যবহার্য এবং কবুতর পালন এর জন্য সঠিক বাসস্থান ও খাবারের পর্যাপ্ততা সহ কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্তা না থাকার কারনে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি।
আমার আজকের আলোচনার বিষয় কবুতরে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান নিয়ে।
কবুতরের সুস্থ ভাবে বেঁছে থাকার জন্য যেসকল উপাদান এর প্রয়োজন তা সাধারনত আমার খাবার এর মাধ্যমে পুরন করা সম্ভব । অথচ কবুতরের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে সকল উপাদান প্রয়োজন তা অনেকাংশেই আমাদের দেশের প্রচলিত খাবারের মাধ্যমে পুরন করা সম্ভব পর নয়।এই কারনে অধিকাংশ খামারি কবুতরের শরীরে প্রয়োজনীয় উপাদান পুরন করার জন্য খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করেন।
আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন???
প্রশ্নঃ- আপনি কি আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান পুরন এবং রোগ প্রতিরোধে খাবারের পাশাপাশি বিনা কারণে ঔষুধ সেবন করেন????
আমার উত্তরঃ- না
আপনারঃ-????
আপনার শরীরে নিয়মিত ঔষুধ প্রয়োগ যেমন আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর তেমনি আপনার পোষা প্রানি কবুতরের জন্য ততটাই ক্ষতিকর।
এখন আপনার প্রশ্নঃ-
আমরা তো আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি মেটাতে খাবারের পাশাপাশি পরিপূরক খাদ্য গ্রহন করি কিন্তুু কবুতরের বা আপনার পোষা প্রানিটির শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি কি করে মেটানো সম্ভব????
আমি বলবো হ্যাঁ সম্ভব। কবুতরের সুষম খাদ্য পরিবেশন এর পাশি কিছু প্রকৃতির উপাদান আপনার কবুতরের শরীরের প্রয়োজনীয় এই সমস্ত উপাদানের যোগান দিতে সক্ষম। যা আপনার কবুতরকে এক দিকে যেমন সুস্হ রাখবে তেমনি আপনার খামার কে করবে অনেকাংশেই ঝুঁকি মুক্ত রাখবে।
তাহলে আর দেরি কেন চলুন আগে জেনে নিই কি কি প্রয়োজনীয় উপাদান আপনার কবুতরের শরীরের জন্যে প্রয়োজন।
কবুতরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানঃ-
খাদ্যের কার্যকারিতা অনুযায়ী খাদ্য কে দু'ভাগে ভাগ করা হয়।
১. দেহ-পরিপোষক খাদ্যঃ-যে সব খাদ্য দেহের গঠন, বৃদ্ধি ও শক্তি উৎপাদনে সহায়কারী এ সমস্ত খাদ্যকে দেহ-পরিপোষক খাদ্য বলে।
যেমনঃ-
কার্বোহাইড্রেট -
প্রোটিন-
ফ্যাট -
২. দেহ-সংরক্ষক খাদ্যঃ- যে সব খাদ্য দেহকে রোগ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে এ সমস্ত খাদ্য কে দেহ-সংরক্ষক খাদ্য বলে।
যেমনঃ-
!. ভিটামিন
!!. খনিজ পদার্থ
এ সকল উপাদান সমূহের মধ্যে আবার অনেক উপাদান রয়েছে যার অনেক গুলোই কবুতরের শরীরের জন্য প্রয়োজন যেমনঃ-ভিটামিন ( A,B1,B2,B3,B5,B6,C,D,E,K)প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, খনিজ,লবণ, পানি,ইত্যাদি
সহজ ভাবে বলতে গেলে কবুতরের শরীরের খাবারের উপাদান গুলোর মধ্যে।
১. ভিটামিন এর মধ্যে ( A,B1,B2,B3,B5,B6,B12,C,D,E,K)ইত্যাদি।
২. খনিজ পদার্থ এর মধ্যে ( ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ,জিঙ্ক,কপার) ইত্যাদি।
৩. কার্বোহাইড্রেট এর মধ্যে ( গ্লুকোজ, গ্যালাকটোজ, সুক্রোজ,গ্লাইকোজেন ও সেলুলোজ) ইত্যাদি।
৪. প্রোটিন এর মধ্যে ( প্রোটমিন, হিস্টোন, পেপটন, পেপটাইড , গ্লায়াডিন, গ্লুটেলিন , হিমোগ্লোবিন, হিমোসায়ানিন, ফসফোপ্রোটিন, লাইপোপ্রোটিন ) ইত্যাদি।
৫. ফ্যাট এর মধ্যে ( ওয়াক্স বা মোম, ফসফোলিপিড, গ্লাইকোলিপিড, অ্যামাইনো-লিপিড , ল্যানোলিন) ইত্যাদি।
এ সকল উপাদান গুলো ছারও আরও অনেক উপাদান রয়েছে যা কবুতরের শরীরের জন্য প্রয়োজন পরে কিন্তুু আমাদের দেশের প্রচলিত কবুতরের খাবার এর মাধ্যমে পরিপূর্ণ ভাবে সমস্ত প্রয়োজনীয় উপাদান এর ঘারতি পুরন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না আর এই কারনেই আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঔষুধ পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করি এবং দীর্ঘ মেয়াদে এইসমস্ত ঔষুধ প্রয়োগের ফলে আমার ক্ষতির সম্মুখীন হই।
অথচ আমরা যদি এইসব ঔষুধ এর বিকল্প হিসেবে কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার করি। যে গুলোর দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার এর পরও কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই এবং আমাদের কবুতর গুলোর জন্য কাংখিত সকল উপাদান এর ঘাটতি খুব সহজেই পুরন করা সম্ভাব।
এই কারণে আমি মনে করি যদি আমরা এ সকল উপাদানের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আমাদের কবুতর গুলো একদিকে প্রয়োজনীয় উপাদানের যোগান পাবে অপর দিকে আমরাঔ অর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবো।
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ-
১. শরীরের সমস্ত উপাদানের পরিপূর্ণ যোগান দেয়।
২. দীর্ঘদিন ব্যবহারেউ কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই।
৩. ব্যবহারে ঝামেলা নেই।
৪. অর্থের অপচয় রোধ হয়।ফলে খামারির বেশি লাভবান হয়।
৫. সহজে এমন কি প্রায় বিনামুল্যেই পাওয়া যায়।
৬. কৃত্রিম ঔষুধ এর চেয় ১০ গুন বেশি দ্রুত কাজ করে।
৭. ব্যবহারে কোন ঝুঁকি নেই।
৮. বেশিরভাগ উপাদান কবুতর খেতে পছন্দউ করে।
চলুন এবারে জেনে নেই কবুতরের যত্নে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান এর নাম ও ঐসকল উপাদান ব্যবহার এর ফলে কবুতরের কি কি প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাব পুরন হবে।
প্রাকৃতিক উপাদান সমূহঃ-
১. রসুনঃ-কার্বোহাইড্রেট ,চিনি ,
খাদ্য তালিকা গত ফাইবার,ফ্যাট ,প্রোটিন, ভিটামিন B1,B2,B3,B5,B6,B9,ভিটামিন সি,ট্রেসধাতু,ক্যালসিয়াম ,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম ,ম্যাংঙ্গানিজ,ফসফরাস,পটাসিয়াম ,সোডিয়াম,দস্তা ইত্যাদি।
২. আদাঃ- ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক, লবণ, পটাশিয়াম, ভোলাটাইল, অয়েল ইত্যাদি। এটি একটি ভেষজ ওষুধ।
৩. লেবুঃ- ভিটামিন সি ও ফাইবার। লেবু একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এসিডিফায়ার(সাইট্রিক এসিড), কার্বহাইডেট,প্রটিন,ফ্যাট,এনার্জি,
ভিটামিন(A,B1,B5,B6,B9,C,E,)
আইরোন,পটাসিয়াম,ক্যালসিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ,কপার,মলিবডেনাম,সোডিয়াম, ফসফোরাস,ফ্লুরিড,এবং জিংক।এতে কোনো প্রিজারভেটিভ নেই।
৪. সজিনাপাতাঃ- এটি বহু রোগের ঔষধ এবং ক্যালসিয়াম এর প্রাকৃতিক উৎস। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন (A,B1, B2, B3, B6,B7,C,D,E,K) সহ আরও অনেক উপাদান।
৫. টকদইঃ- টক দইয়ে আছে আমিষ, ভিটামিন, মিনারেল ,ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি,ক্যালসিয়াম ও পটাশ ইত্যাদি।
৬. থানকুনি পাতাঃ- থানকুনির পাতায় Bacoside A এবং Bacoside B, থানকুনিতে যে সকল রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে সে গুলা হলো :Indocentelloside,Brahmoside,Brahminoside,Asiaticoside,Thankuniside,Isothankuniside,Triterpene, glycosides, Indocentoic,brahmic,Mesoinositol,Oligosaccharide,Centellose,Kaempferol
৭. কাঁচা হলুদঃ-হলুদে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে ও কারকিউমিন নামক রাসায়নিক থাকে যা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে কবুতর কে বাঁচায়।কাঁচা হলুদ একটি প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যের উৎস।
৮. দারুচিনিঃ-দারুচিনিতে রয়েছে ক্যালোরি,কার্বোহাইড্রেট,প্রোটিন, চর্বি,খাদ্যশস্যের ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ,ক্যালসিয়াম,লোহা, ভিটামিন(A, C,E,K,B6)ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, দস্তা এবং তামার একটি ছোট পরিমাণ রয়েছে।
৯. তিসিঃ- প্রোটিন, ক্যলসিয়াম,এন্টি অক্সিডেন্টস, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং মিনারেলের একটি অসাধারণ সমন্বয়। এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে।
১০. পাথরকুচিঃ-রোগ প্রতিরোধে পাথরকুচি অতুলনীয়। এটিতে এন্টিসোরিক, এন্টিসাইকোটিক ও এন্টিটিউবার ধাতের রোগ নিরাময়কারী ভেষজগুণ রয়েছে।
১১. ধনিয়াপাতাঃ- ফাইবার, ম্যাংগানিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন (C,E,K) এবং প্রোটিন।
১২. মটরশুঁটিঃ- ভিটামিন (A,C,B1,B2,B3,B6,Be complex,K) কার্বোহাইড্রেড,ফ্যাট,প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, বিটাক্যারোটিন, ফসফরাস, জিঙ্ক, ইত্যাদি থাকে।
১৩. অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ- ভিটামিন,মিনারেলস,অ্যামিনো এসিডস, অর্গানিক এসিডস, পলিফেনল কম্পাউন্ডসক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এতে কোনো চর্বি ও আমিষ নেই।
১৪. তুলসীপাতাঃ- এটি সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।তুলসীতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাংগাল উপাদান রয়েছে।
১৫. কালোজিরাঃ- কালোজিরাতে আছে ফসফেট,লৌহ ও ফসফরাস,১৫ টি অ্যামাইনো এসিড, প্রোটিন,শকরা,ভেষজ তেল ও চর্বি। কালিজিরার অন্যতম উপাদানের মধ্যে আছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল, আমিষ, ফ্যাটি এসিড, লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, টাশিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-(A,B,B2,C)ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশক বিভিন্ন উপাদানসমূহ।
১৬. নিম পাতাঃ- নিম ছত্রাকনাশক হিসেবে, ব্যাকটেরিয়া রোধক হিসেবে, ভাইরাসরোধক হিসেবে, কীট-পতঙ্গ বিনাশে, চ্যাগাস রোধ নিয়ন্ত্রণে, ম্যালেরিয়া নিরাময়ে,ব্যবহার করা হয়।ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবে নিম খুবই কার্যকর।এতে ১৩০ ধরনের বিভিন্ন উপকারী উপাদান বিদ্যমান।
১৭. এ্যালভেরাঃ- ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ এর মধ্যে উচ্চ মানে আছে। ভিটামিন( A,C,E,B1,B2,B3,B6,B12),ফলিক অ্যাসিড, ও 20 ধরনের খনিজ অন্তর্ভুক্ত।এ ছারাও ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, দস্তা, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম, লোহা, পটাসিয়াম, তামা, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে।
১৮. মেথীঃ- খনিজ পদার্থ, ভিটামিন(A,C,B1,B2) এবং phytonutrients সমৃদ্ধ উৎস।প্রতি এছারাও আমিষ, ফ্যাট, আঁশ,শ্বেতসার, খনিজ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ,সোডিয়াম,পটাশিয়াম, আইইউ এবং খাদ্যমান ৩৭০ কিলো ক্যালরি থাকে।
১৯. মধুঃ-গ্লুকোজ,ফ্রুক্টোজ,সুক্রোজ, মন্টোজ,অ্যামাইনো এসিড,খনিজ লবণ,এনকাইম তবে এতে কোন চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি এবং এতে ভিটামিন (A,B1,B2,B3,B5,B6,C)
আয়োডিন, জিংক ও কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল মত উপাদান। এছারাও অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানও আছে। যেমন- এনজাইম বা উৎসেচক, খনিজ পদার্থ (যথা পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ)।
২০. বাদামঃ-খাদ্য আঁশ, উপকারিতেল, শর্করা,আমিষ,ভিটামিন,খনিজ,
ভিটামিন (A,B,C) রেসভেরাট্রল,প্রোটিন ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ইত্যাদি।
২১. পুদিনাপাতাঃ- ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি।
২২. অংক্কুরিত সহ ছোলাঃ- ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ করে। আঙ্কুরিত ছোলা বীজ পাচক এনজাইম এর অসাধারণ উৎস, এটি অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, প্রোটিন ইত্যাদি সমৃদ্ধ। তার সক্রিয় এনজাইম সিস্টেম সমৃদ্ধ এবং পুষ্টির মান বৃদ্ধি পায়।
২৩. পেয়ারাঃ- ভিটামিন-সি আর ময়েশ্চারসমৃদ্ধ ফল। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও লাইকোপিন রয়েছে৷ এর উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ ও ‘সি’ ত্বক, পালক ও চোখের পুষ্টি জোগায়,। এছাড়াও পেয়ারায় রয়েছে ক্যারটিনয়েড, ভিটামিন ‘এ’,ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স, পলিফেনল, লিউকোসায়ানিডিন ও অ্যামরিটোসাইড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মত উপাদান।
উল্লেখিত উপাদান সমূহের ব্যবহার ও বিস্তারিত জানতে ব্লগ টির Natural Care পেজে প্রবেশ করুন।
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue