উপাদানঃ
পেয়ারা একটি ভিটামিন-সি আর ময়েশ্চারসমৃদ্ধ ফল। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও লাইকোপিন রয়েছে৷ এর উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ ও ‘সি’ ত্বক, পালক ও চোখের পুষ্টি জোগায়, ঠান্ডাজনিত অসুখ দূর করে। এছাড়াও পেয়ারায় রয়েছে ক্যারটিনয়েড, ভিটামিন ‘এ’,ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স, পলিফেনল, লিউকোসায়ানিডিন ও অ্যামরিটোসাইড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
উপকারিতাঃ
১.রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে:
পেয়ারায় রয়েছে ক্যারটিনয়েড, পলিফেনল, লিউকোসায়ানিডিন ও অ্যামরিটোসাইড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ক্ষতস্থান শুকানোর জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
২.কবুতরের চোখ ওটা চোখ দিয়ে পানি পরা কবুতর খামারিদের নিয়মিত সমস্যা ।। রোজই Group এ পোষ্ট দেখি কবুতরের চোখের সমস্যা নিয়ে । যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তবে পেয়ারা খাওয়ান কেননা পেয়ার কবুতরের চোখের জন্য খুব খুব উপাকারী ।।
৩.এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ।
৪.ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে:
পেয়ারায় অবস্থিত ভিটামিন সি বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে৷ এছাড়াও এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম৷
৫.কবুতরের পাতলা পায়খানাও খামারিদের জন্য আরেকটি বিপদের নাম ।যদিও বা কবুতর নানা কারনে পাতলা পায়খানা করে থাকে । তবে ৯০% ই ব্যাকটেরিয়া জনিত কারনে হয়ে থাকে ।পেয়ারার আছে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা।
৬.রক্ত পরিষ্কার করে:
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও লাইকোপিন রয়েছে৷ এর ফলে রক্ত পরিষ্কার হয় ও ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়৷ এছাড়াও লাইকোপিনের সাহায্যে গালে গোলাপী আভা ফুটে ওঠে৷
৭.এবার আসি পুষ্টিগুণের দিকে - পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স॥এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ।
৮.পেয়ারার আছে আরও অনেক অনেক গুণাবলি যা আপনার কবুতরকে খাওয়ালেই দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ
৯.পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
যেকোন ব্যকটেরিয়া সংক্রমণ বা পেটের গোলযোগে সবচেয়ে কার্যকরী হল পেয়ারা৷ এই ফলটিতে অ্যাস্ট্রিজেন্ট ও অ্যান্টি-মাইক্রোবাল উপাদান থাকে ফলে এটি পাকস্থলীর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে৷
ব্যাবহার এর নিয়মঃ
পেরায়া নেন ১টা । সেটাকে বাটুন মিহি করে । তারপর সেটা থেকে ১চামচ রস 1লিটারের মামের (পরিমাপের জন্য বলছি )যে বোতল আছে তার ভিতর দিয়ে ভালো ঝাকিয়ে ছেকে কবুতরের পানির বাটিতে দিয়ে দিন ।
উল্লেখ্য পেয়ারা গাছের পাতাও পেয়ার মতোই কবুতরের জন্য খুবই উপকারী এবং কবুতর খেতেও পছন্দ করে। যাইহোক যারা পেয়ারা পাতা ম্যানেজ করতে পারবেন তারা দিবেন ইনশাআল্লাহ খুবই ভালো ফলাফল পাবেন ।
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue