Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

কবুতরের Sour Crop বা টক খাদ্য বা শস্য আটকানো রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ।



কবুতরের Sour Crop কবুতরের সাধারণ রোগগুলির মধ্যে একটি।  সাধারণত অনুন্নত গ্রিড এবং খাবার কেই এই রোগের কারন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। sour crop মুলত কবুতরের পাচক অঞ্চলে সংক্রমণ এর সৃষ্টি করে যা কবুতরের জন্য মারাত্মক হুমকি সরুপ।

এটা মুলত কবুতরের হজমে সমস্যা তৈরি করে যার ফলে পাচক অঞ্চলে ছত্রাকের সৃষ্টি হয় এবং খাদ্য হজমে বাঁধা প্রদান করে,যার ফলস্রুতিতে পাকস্থলীতে থাকা খাদ্য হজম না হয়ে পচে যায় এবং সংক্রমণ ঘটায়।

 বিশেষ করে যে সমস্ত কবুতর কে হ্যান্ড ফিডিং করা হয় তারাই এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।এটা সাধারণত পাচক সংক্রামিত ছত্রাক সংক্রমণ এর কারনে হয়।তবে ধারনা করা হয় অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার এ রোগে সংক্রামিত হবার পেছনে গুরুত্বপূর্ন অবদান রায়েছে। সাধারণত বাচ্চা কবুতর এ রোগে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়।


সংক্রামিত হবার লক্ষণ সমূহঃ

১. কবুতর দূর্বল হয়ে পরবে এবং চুপচাপ বসে থাকবে।
২. খাবার খাওয়া ছেরে দিবে।
৩. কবুতরের মুখের কাছে নাক নিলে ভিষণ পচা গন্ধ অনুভুত হবে।
৪. পাকস্থলি পানি দিয়ে ভরা থাকবে এবং ফোলা থাকবে।
৫. গন্ধ যুক্ত বমি করতে পারে।
৬. গলার শেষ ভাগে ছোট ছোট সাদা পানির মত থাকবে যা চুনের মত দেখাবে।যা অনেকে ক্যাংকার মনে করে ভুল করে।
৭. ওজন দ্রুত হ্রাস পাবে।
৮. সময় মত রোগ নির্ণয় সম্ভাব না হলে কবুতর মারা যাবে।
৯. খাদ্য থলিতে চাপ প্রয়োগ করলে মুখদিয়ে পানি বের হওয়া।

সমস্যার সৃষ্টি হবার কারনঃ
১. বড় মাপের খাবার দেওয়া।
২. অপরিস্কার খাবার ও পানি।
৩. সময় মত খাবার না দেয়া।
৪. ধারালো খাদ্য যেমন ধান খাদ্যের থলিতে আটকে থাকা।
৫. হাতে ধরে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো।

চিকিৎসার পূর্বে করনীয়ঃ

যদি পাকস্থলী পানিতে পরিপূর্ণ থাকে তবে কবুতরটির মাথা নিচ দিকে ধরে হালকা চাপ দিয়ে পানি বের করে দিতে হবে।এবং যদি পাকস্থলীতে খাবার আটকে থাকে তবে উষ্ণ গরম পানির সাথে প্ররোয়োটিক মিক্স করে খাদ্য থলি সাবধানতার সাথে পরিস্কার করতে হবে অথবা অ্যাপেলসিডার পানির সাথে মিক্স করে পরিস্কার করতে হবে। সর্বপরি পাকস্থলীতে যাতে খাবার আটকে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

চিকিৎসাঃ
১. সমস্যা পরিলক্ষিত হলে দ্রুত চিকিৎসক বা অভিঙ্গ কারো পরামর্শ নিন এবং দ্রুত চিকিৎসা প্রদান করুন।

অথবাঃ
২. দারুচিনির গুরা ডাবলি সাইজ করে দিনে দুই বার।


প্রতিরোধে করনীয়ঃ

১. উন্নত ফাংঙ্গাছ মুক্ত খাবার পরিবেশন।
২. মান সম্মত গ্রিড খাওয়ানো।
৩. সময় মত খাবার দেয়া এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার না দেয়া।
৪. ছোট খাবার পরিবেশন করা।
৫. পরিস্কার পানি প্রদান করা।


প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।

তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD

   *******Thank You *******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ