দারুচিনি, (ইংরেজি নাম: Cinnamon) (বৈজ্ঞানিক নাম: Cinnamomus Zeylanicum) একটি মসলা বৃক্ষের নাম।দারুচিনি এইগ্রহের সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ। এর মিষ্টি স্বাদ এবং সুন্দর সুবাস জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে প্রায় প্রত্যেক সংস্কৃতির দ্বারা সম্মানিত হয়ে আসছে।
দারুচিনিতে রক্তের শর্করার রোধক সহ উন্নত অসাধারণ ঔষধি গুণাবলী রয়েছে যা , প্রদাহ কমাতে এবং স্নায়বিক স্বাস্থ্য উন্নীত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও সুগন্ধি মসলা হিসাবে দারুচিনি ব্যপকভাবে পরিচিত । শুধু রান্নায় গন্ধ বৃদ্ধি নয়, শরীর ও ত্বক উভয়ের জন্যই দারুচিনির ব্যবহার করা যায়। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে ।
উপাদানঃ
দারুচিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে এবং বিশেষ করে ফাইবার এবং ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ।এক চামচ দারুচিনিতে রয়েছে 19 ক্যালোরি,6.2 গ্রাম কার্বোহাইড্রেট,0.3 গ্রাম প্রোটিন,0.1 গ্রাম চর্বি,4.1 গ্রাম্য খাদ্যশস্যের ফাইবার,1.4 মিলিগ্রাম ম্যাঙ্গানিজ (68 শতাংশ DV),77.7 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম (8 শতাংশ DV),0.6 মিলিগ্রাম লোহা (4 শতাংশ DV),2.4 মাইক্রোগ্রামের ভিটামিন কে (3 শতাংশ ডিভি)
উপরে তালিকাভুক্ত পুষ্টি ছাড়াও, দারুচিনি মধ্যে ভিটামিন A, ভিটামিন C, ভিটামিন E, ভিটামিন K, ভিটামিন বি 6, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, দস্তা এবং তামার একটি ছোট পরিমাণ রয়েছে।
উপকারিতাঃ
১.কবুতরকে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে ।
২.কবুতর এর সাম্মেলিনা প্রতিরোধে খুবই খুবই উপকারি ।
৩.কবুতরে এর গলার ভিতরে অথবা মুখের ভিতরে ঘা হলে দারুচিনি খাওয়ালে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৪.কবুতর বমি করলে দারুচিনি গুড়া পানির সাথে মিক্স করে ১টা পেষ্ট বানান । তারপর সেটাকে ডাবলির আকার দিয়া ৩ বেলা (১+১+১)৩ টি বড়ি খাইয়ে দেন বমি বন্ধ হয়ে যাবে ।
৫.পেটের যে কোন সমস্যা দূর করে।
৬.দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
৭.ইনফেকশন ও ভাইরাস এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
ব্যবহার এর নিয়মঃ
দারুচিনি গুড়া বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায় ।আমার মতে বাজার থেকে দারুচিনি কিনে ভাঙিয়ে নেওয়াটাই ভালো তাতে গুনাগুন অক্ষুণ্ণ থাকে। এতে আপনার কিছুটা হলেও সাশ্রয়ও হবে ।
১. ১ কেজি খাবার এর সাথে ১ টেবিল চামচ নারকেলের তেল অথবা ১ টেবিল চামচ অ্যাপেলসিডার ভিনেগার দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন অতঃপর ১ টেবিল চামচ দারুচিনি গুড়া দিয়ে এমন ভাবে মেশান জাতে খাবারের গায়ে সুন্দর ভাবে লেগে থাকে।অতঃপর তা রোদে শুখিয়ে কবুতরকে খাবার হিসেবে সরবরাহ করুন মাসে ৩/৪ দিন।
অথবা
২. ১ কেজি গ্রিট এর সাথে ২ চামচ দারুচিনি গুরা মিশিয়ে সপ্তাহে ১/২ দিন খওয়াতে পারেন।
অথবা
৩. ১ কেজি খাবার নিন তাতে একটি লেবুর রস দিয়ে আগে ভালভাবে মিসেয়ে নিন অতঃপর ১ টেবিল চামচ দারুচিনি গুড়া তাতে মাখিয়ে ২ ঘণ্টা রোদে রেখে পরিবেশন করুন সপ্তাহে ১/২ দিন।
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue