কবুতর এর যত্নে পাথরচুনি পাতার ব্যবহারঃ

উপাদানঃ-
রোগ প্রতিরোধে পাথরকুচি অতুলনীয়। এটিতে এন্টিসোরিক, এন্টিসাইকোটিক ও এন্টিটিউবার ধাতের রোগ নিরাময়কারী ভেষজগুণ রয়েছে।
পাথরকুচি একটি গুল্ম জাতীয় ঔষধি গাছ।

পাথরকুচি পাতাকে অনেকে পাঠান বেইদ হিসেবেও চিনে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Bryophillum । এ গাছটি সর্বোচ্চ ১.৫-২ ফুট লম্বা হয়। পাথরকুচি পাতা মোটা ও মসৃণ হয়। আকারে প্রায় ডিম্বাকৃতির মত এই পাতার চারপাশে ছোট ছোট খাঁজ থাকে। পাথরকুচি পাতা মাটিতে পুঁতে রাখলে গাছ হয়। ভিজা-স্যাতস্যাতে জায়গায় এ গাছ তাড়াতাড়ি বাড়ে।

পাথরকুচির পাতা অনেকটা গোল, তার বোটানিক্যাল নাম Berginia ligulata Wall ফ্যামিলি Saxifragaceae । ইউনানি সম্প্রদায় এটিকে বলে আসল পাথরকুচি, আর কবিরাজরা পূর্বেরটিকে বলে আসল।

পাথরকুচি পাতার গুনাগুণঃ
১. ঠান্ডা জাতীয় সমস্যা দুর করতে সাহায্য করে।

২. কাটা-ছিড়াঃ অনেক সময় কেটে গেলে বা চাপ খেয়ে থেঁতলে গেলে টাটকা পাথরকুচি পাতা হালকা তাপে গরম করে কাটা-ছিড়ার স্থানে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায় ও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

৩. পেটের ফাপা জাতীয় সমস্যা দুর করে।

৪. ডায়রিয়া, কলেরা বা আমাশয় নিরাময়ে কাজ করে।

৫. বিষাক্ত পোকায় কামড়ালেঃ মৌমাছি, ভ্রমরা, বিচ্ছু ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত কোনো পোকায় কামড়ালে পাথরকুচি পাতার রস গরম করে কামড়ানো স্থানে সেঁক দিলে ব্যাথা সেরে যাবে।

৬. পেট পরিস্কার রাখে ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

ব্যবহার এর নিয়মঃ-
১. ২চা  চামচ পাথরচুনি পাতার রস  ২০০ মি.লি পানিতে মিশিয়ে মাসে ২/৩ দিন দেয়া যেতে পারে।
২. পেট ফাঁপলে কবুতর কে ৫ মি.লি রস এর সাথে ১ চিমটি লবন মিক্সড করে সরাসরি খাওয়াতে হবে দিনে ২ বার ১/২ দিন।



প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।

তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD

   *******Thank You *******