শীতে বয়স্ক কবুতরের পাশাপাশি বাচ্চা কবুতরের সুস্থতার জন্য আলাদা যত্ন নেয়াটা জরুরী। এ সময় বিভিন্ন কারনে বাচ্চা মারা যেতে পারে। অনেকে বলেন বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীতের সময় টা তে বাচ্চা মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি। তাই এ সময় টাতে বয়স্ক কবুতরের পাশাপাশি বাচ্চা কবুতরের জন্য আলাদা ভাবে যত্নের ব্যবস্থা করা।
যে সকল কারনে বাচ্চা মারা যেতে পারেঃ
১. অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে।বিশেষ করে ১/১৫ দিন বয়সের বচ্চা কে যদি বাবা মা অনেক ক্ষন তাপ দেয়া থেকে বিরত থাকে।
২. এডিনো ভাইরাসের কারনে।
৩. চুনাপায়খানার কারনে।
৪. মা বাবা খাবার না খাওয়ানোর কারনে।
৫. বিভিন্ন কারনে ডায়রিয়া হয়ে মারা যেতে পারে।
৬. লফ্ট এ পর্যাপ্ত তাপমাত্রা না থাকার কারনে।
৭. বিভিন্ন ভাইরাসের কারনে। ইত্যাদি
উপরোক্ত কারন সমুহ ছারাও বাচ্চার মৃত্যুর পেছনে আরও অনেক কারন রয়েছে।
চলুন দেখে নেই কিভাবে শীতে কবুতরের বাচ্চার জন্য বারতি যত্নের ব্যবস্থা করবেন।
১. লফ্টে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্হা নিশ্চিত করা।
২. লফ্ট এমন ভাবে চট বা ছালা দিয়ে ঘেরা যাতে করে লফ্ট এর মধ্যে অক্সিজেন এর ঘাটতি না হয় এবং তাপমাত্রা ২৫/৩০ ডিগ্রীর উপরে থাকে।
৩. নিয়মিত বাচ্চাকে হাতে ধরে পর্যবেক্ষেণ করা।
৪. ১/১৫ দিন এর বাচ্চাকে বাবা মা নিয়মিতভাবে তাপ দিচ্ছে কিনা সেটা লক্ষ্য করা।
৫. শীতে কবুতরের বাচ্চাদের কে তুলনামূলক কম খাবার খাওয়ায় সেদিকে খেয়াল রেখে বাবা মায়ের পাশাপাশি হাতে ধরে কিছু খাবার খাওয়ানো তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত খাবার হাতে ধরে না খাওয়াই এতে বাচ্চার হজমে সমস্যা হয়ে পাকস্থলীতে ইনফেকশন হতে পারে।
৬. বাচ্চাকে সম্ভাব হলে প্রতিদিন ১ ঘন্টা রোদে রাখার ব্যবস্থা করা।এটি সম্ভব না হলে অবশ্যই ১/২ দিন পর পর বাচ্চাকে রোদে রাখা।
৭. বাচ্চার হাড়ির কাপর নিয়মিত রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করা বা ৩/৪ দিন পর পর ভেজা কাপর পরিবর্তন করা।
৮. এই সময় টাতে বাচ্চা কবুতরের বাবা মা কে এন্টিবায়োটিক দেয়া থেকে বিরত থাকা।
৯. নিজে খেতে পারে এমন বাচ্চা দের রাতে আলাদা খাঁচায় বা কাটুনে ভরে তুলনামূলক গরম যায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা।
১০. মাঝে মাঝে, (আদা+ তুলসীপাতা + লং+ মধু) একত্রে মিশিয়ে বাচ্চাকে ৪/৫ ফোঁটা করে খাওয়ানো এতে করে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ১% এর নিচে চলে আসবে।
১১. নিয়মিত বাচ্চার হাড়ি পরিস্কার করা।
১২. বাচ্চা অসুস্থ হলে সাবধানতার সাথে দ্রুত চিকিৎসা প্রদান করা।
উপরোক্ত বিষয় সমুহ সুন্দর ভাবে সম্পাদন এর মাধ্যমে আপনার কবুতরের বাচ্চার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন।মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করুন- আমিন।
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue