ই- কোলি কবুতরের অন্ত্রের মধ্যে বসবাসকারী সাধারণ ব্যাকটেরিয়া জীব।এটা কবুতরের শরীরে এবং অন্ত্রের সিস্টেমে চিরস্থায়ী বসবাস করতে পারে। তবে এরা মাঝে মাঝে কবুতরের শরীরে মারাত্মক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে যা কবুতরের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়।ড্রপিং পরিক্ষার মাধ্যমে এটা সনাক্ত করা সম্ভাব তবে সাধারণ ড্রপিং এউ ই- কোলি এর নমুনা পাওয়া যেতে পারে কিন্তুু এর অতিরিক্ত উপস্থিতি কবুতর এর জন্য বড় সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।E-Coli কবুতর এর অনান্য রোগ কেউ প্রভাবিত করতে পারে এবং গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া হবার কারনে সংক্রমণ যুক্ত ধুলাবালি এর মাধ্যমে এরা খুব দ্রুত লফ্টয়ে ছরিয়ে পরতে পারে।
এ ব্যাকটেরিয়া কবুতর এর শরীরের যে কোন অংশে আবস্থান করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এবং সংক্রমণ এর লক্ষণে ভিন্নতা থাকবে।এরা মুলত প্যারাটাইফয়েড এর মত কবুতরের শরীরের জয়েন্ট গুলোকে নিস্তেজ করে দেয় এবং জয়েন্ট গুলো ফুলে যায় ফলে কবুতর নিস্তেজ হয়ে পরে এবং চলাফেরা কম করে। ই- কোলি এর ফলে নর কবুতর ব্যাপক ভাবে ক্রেজি হয়ে পরে তখন মাদি কবুতরের ডিম্বাশয়য়ে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এবং ভ্রন মেরে ফেলতে পারে বা বাচ্চা কবুতর গুরুতর ভাবে ই- কোলিতে আক্রান্ত হতে পারে। এতে আক্রান্ত কবুতরের ডায়রিয়া হওয়াটা স্বাভাবিক। ই- কোলির সবথেকে বড় বিপদ হলো ডিমে সংক্রমণ।এতে আক্রান্ত বাচ্চা কবুতর হঠাৎ করেই কোন লক্ষণ ছারা মারা যেতে পারে।
ই-কোলি সংক্রমণ এর লক্ষণঃ
১. ক্ষুদামন্দা।
২. পালোক ফুলিয়ে বসে থাকা।
৩. দূর্গন্ধ যুক্ত পাতলা পায়খানা করা।
৪. ডিমের মদ্ধে ভ্রুণ মারা যাওয়া।
৫. প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা।
৬. বমি করা।
৭. কবুতর এর শরীরের জয়েন্ট ফুলে যাওয়া।
৮. শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
৯. বাচ্চা কবুতর হটাৎ করে মারা যাওয়া।
১০. কবুতর চঞ্চলতা হারাবে।
১১. কবুতর এর চেহারায় সবুজ বা হলুদ বর্ণ হয়ে যাবে এবং সাভাবিক সৌন্দর্য্য হারাবে।
রোগ সনাক্তকরণঃ
প্রাথমিক লক্ষণ এর পাশাপাশি ড্রপিং,বমি টেষ্ট করা।
যে সকল মাধ্যমে ছরায়ঃ
১. আক্রান্ত কবুতর এর মাধ্যমে।
২. সংক্রমিত ধুলাবালি এর মাধ্যমে।
৩. বন্য প্রানীর অবাদ চলাচলের মাধ্যমে।
৪. ভিটামিনের অভাবে বিশেষ করে ভিটামিন - A এর অভাবে।
৫. লফ্টএর অপরিচ্ছন্নতার কারনে।
প্রতিরোধে করনীয়ঃ
১. লফ্ট এ জৈব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
২. প্রো - বায়োটিক এর দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবহার।
চিকিৎসাঃ
রোগ সনাক্ত হলে অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি ডাক্তার এর পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা প্রদান করুন।
ন্যাচারাল চিকিৎসাঃ ওরেগানো পাতার ব্যবহার।
১ কেজি খাবার বা গ্রিড সাথে ২ টেবিল চামচ। বিস্তারিত।
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue