রসুন হল পিঁয়াজ জাতীয় একটি ঝাঁঝালো সবজি যা রান্নার মশলা ও ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।গাছ একটি সপুষ্পক একবীজপত্রী লিলি শ্রেণীর বহুবর্ষজীবী গুল্ম। বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)।
উপাদানঃ
শক্তি ,কার্বোহাইড্রেট ,চিনি ,খাদ্যতালিকাগত ফাইবার,ফ্যাট ,প্রোটিন, ভিটামিন B1,B2,B3,B5,B6,B9,ভিটামিন সি,ট্রেস ধাতু,ক্যালসিয়াম ,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম ,মংানিজ,ফসফরাস,পটাসিয়াম ,সোডিয়াম,দস্তা
উপকারিতাঃ
১.শ্বাসনালী ও বুকের জীবানুকে ধংস করে ।
২. এন্টিবায়োটিক ঔষধের মতো শরীরের ভেতর এন্টিবডিজকে নষ্ট করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয় না।
৩. শরীরে আক্রমনকারী জীবানুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় ।
৪. ক্রিমির প্রতিরোধে ।
৫. পাচন ক্রিয়াকে সুস্থ - সবল রাখে ।
৬. পাকস্থলি ও অন্ত্রের কাজে টনিকের কাজ করে।
৭. রসুনের রস মিশ্রিত পানি স্প্রে করলে উকুন জাতীয় পরজীবির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।
৮. হৃদযন্ত্র ও লিভারের উপকার করে।
৯. সর্দি-কাশির জন্য উপকারী ।
১০. উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রন ।
১১. ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়
১২. রক্তে কোলেস্টেরল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে ।
১৩. রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক রাখে।
১৪. ইনফেকশন ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী ।
১৫.এছাড়াও খাদ্যে বিষক্রিয়া প্রতিরোধে তাজা রসুন ব্যবহারের খুবই ভালো, এটি যেমন এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী Staphylococcus aurous, এবং সালমোনেলা ও ই coli, জীবাণুগুলো হিসেবে কিছু ব্যাকটেরিয়া হত্যা করতে পারে।
ব্যবহার এর নিয়মঃ
১. ২/৩ টা মাঝারো সাইজের রসুনের কোয়া ছুলে নিবেন অতঃপর সেগুলো থেঁতলে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে কবুতরকে খেতে দিবেন।সপ্তাহে ১/২ দিন।
অথবা
২. ২/৩ টা মাঝারো সাইজের রসুনের কোয়া ছুলে নিবেন অতঃপর সেগুলো থেঁতলে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে রাতে রেখে দিয়ে সকালে সেটা গরম করবেন ৫/১০ মিঃ অতঃপর তা ঠাণ্ডা করে কবুতর কে খেতে দিবেন।সপ্তাহে ১/২ দিন।
অথবা
৩.রসুন ছোটো ছোটো করে কেটে খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন সপ্তাহে ১/২ দিন।
রসুন কিভাবে ব্যবহার করবেন ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুনঃ
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
1 মন্তব্যসমূহ
Thank you
উত্তরমুছুনThanks for Commenting! please follow our blog and see update continue