Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

কবুতরের যত্নে নিমপাতা এর উপকারিতা ও ব্যবহারঃ


উপাদানঃ
নিম -বৈজ্ঞানিক নাম: AZADIRACHTA INDICA  একটি ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে ।অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহারের জন্য অধিক কাজকারি । নিম ছত্রাকনাশক হিসেবে, ব্যাকটেরিয়া রোধক হিসেবে, ভাইরাসরোধক হিসেবে, কীট-পতঙ্গ বিনাশে, চ্যাগাস রোধ নিয়ন্ত্রণে, ম্যালেরিয়া নিরাময়ে,ব্যবহার করা হয়।ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবে নিম খুবই কার্যকর।

উপকারিতাঃ
১.কৃমি নাশক।
২.শক্তিশালী জীবাণুনাশক।
৩.মাইট ধ্বংস হয়।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫.ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে কবুতর কে রক্ষা করে।

ব্যবহার এর নিয়মঃ
১.নিমের পাতা বেঁটে ডাবরির মত করে রোদে শুখিয়ে মাসে ২/৪ দিন খাইয়ে দিয়ে পারেন।

অথবা
২.১০/১২ তি নিমের পাতা ১ লিটার পানিতে ফুটিয়ে তা পানি হিসাবে খেতে দিতে পারেন।

অথবা
৩.কিছু পাতা দিমের হাড়িতে রেখে দিতে পারেন তাতে পোকামাকড় দূর হয়ে যাবে।

অথবা
৪।নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে তা ঠাণ্ডা করে কবুতরকে গোসল করতে দিন ,শরীরের পোকামাকড় চলে যাবে ।

কৃমি হলে নিমের দ্রবন - প্রতি মাসে টানা ৩ দিন (দিনের বেলায় নিমের দ্রবণ,বিকাল বেলায় সাধারণ খাবারের পানি) ২০/২৫ টি নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে ৫০০ মিলি পরিমাণ ফুটন্ত গরম পানিতে ছেড়ে দিন। এর পরে পাত্রটি ঢাকনি দিয়ে ঢেকে ১৫-২০ মিনিট ধরে হালকা আঁচে সিদ্ধ করুন। পানির রঙ গাঢ় বাদামী হলে পাত্রটি চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন তারপর কবুতরের পানির পাএে দিবেন।

অথবা
৫. নিম পাতার সাথে সমপরিমান কালোজিরা বেঁটে ডাবরির মত গোল করে রোদে শুখিয়ে খাওয়াতে পারেন মাসে ৩ দিন একটা করে।




প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।

তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD

   *******Thank You *******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ