Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

কবুতর এর যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান এর গুরুত্ব ও ব্যবহারঃ

    " কৃএিম ঔষধকে না বলি ,
          সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি "



অধিকাংশ নতুন কবুতর পালনকারীরা মনে করে শুধু ঔষধ দিলেই কবুতর ভালো থাকে , , , অাসলে ধারনাটা ভুল , এসব হাই পাওয়ার এর ঔষুধ  কবুতরের যত টুকু উপকার করে তার থেকে ক্ষতিসাধনই বেশি করে ,এমনকি অতিরিক্ত ব্যবহার এর ফলে কবুতরের মৃত্যুও  হতে পারে ,
অামি এসব ঔষধকে খারাপ বলছিনা বরং এর কম/বেশি মাএায় প্রয়োগ ,কবুতরের জন্য ক্ষতিকর ।নতুন কবুতর পালকরা এ ভুলটা করে , ,যাই হোক এসবের চাপে যেন অামরা সহজে কবুতরকে শুধু মাএ প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ রাখতে পারি সেটা যেন ভুলে না যাই . প্রচলিত অাছে “প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ ভাল”, আর প্রতিরোধটা যদি প্রাকৃতির প্রয়োজনীয় উপাদান থেকে হয় তাহলে আরও ভাল ।

         

কিছু কাজ যা আপনার কবুতরকে সুস্থ রাকতে সাহায্য করবেঃ

1. প্রথমত কবুতরকে সপ্তাহে/১৫ দিনে/মাসে অন্তত ১ দিন কিছু সময়ের জন্য উপবাস রাখা। এতে কবুতরের কর্প এ জমে থাকা সঞ্চিত খাদ্য হজম হয় ফলে বিভিন্ন রোগ থেকে বেচে থাকে। অামি যেটা করি ও ভালো ফল পেয়েছি
2. আপনারা যদি মাঝে মাঝে কালজিরা + মেথি + মউরি + জাউন এই উপাদানের মিক্স করে (৪০% + ৩০% + ১৫% + ১৫%) খেতে দেন আপনার কবুতর কে তাহলে দেখবেন আপনার খামারে অনেক অনাখাঙ্কিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে। যা ওষুধের বাপ
3. এছাড়াও মধু/রসুন/লেবুর রস, কাঁচা হলুদ, অ্যাঁলভিরা বা কাঁচা শাক-সবজি এগুলো আপনার কবুতর কে সজিব রাখতে সাহায্য করবে। অামি ব্যবহার করি , ,
4. একটা বিষয়ে সতর্ক থাকবেন অনেকেই কবুতর কে মোটা তাজা করার জন্য সংক্ষেপ রাস্তা খুজেন! এটা ঠিক না বিশেষ করে যারা বর্তমানে বয়লার গ্রয়ার খাওয়াচ্ছেন তারা এটা খাওয়ান বন্ধ করে দেন কারন বর্তমানে এই খাবারে না ধরনের ক্যেমিকাল মিক্স করা হচ্ছে যা আপনার কবুতরের স্বাস্থ্য গত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
5. আপনার খামারে রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে অন্যতম উপাদান হল, খাদ্য পরিস্কার বা নিয়মিত ফাঙ্গাস মুক্ত বাস্যাঁতসেঁতে মুক্ত রাখা। খাবারে ফাঙ্গাস সব ঋতুতেই কমবেশি পরে এই আপনি যদি আপনার খাবারের এই ফাঙ্গাস এর ব্যাপারে খেয়াল রাখেন বা খাবার পরিস্কার এর ব্যাপারে খেয়াল রাখেন তাহলে আশা করা যায় যে আপনার খামার ৮০% রোগ মুক্ত থাকবে কোন প্রকার ঔষধ প্রয়োগ ছাড়াই। আর এই লক্ষে আপনাকে খাবার রোদে দিতে হবে মাঝে মাঝে বা আগুনে হালকা গরম করে নিতে পারেন।
6. ৪৫ দিন পর পর কৃমির ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। তবে অসুস্থ ও বাচ্চা যেগুলোর আছে সেগুলো কে বাদে বা যেগুলো ১-২ দিনের মধ্যে ডিম দিতে পারে এমন বা যে সমস্থ কবুতরের ৩-৪ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফুটবে আমন কবুতর কে অনুগ্রহ করে দিবেন না। তবে কৃমির ঔষুধ হিসাবেে নিমপাতা ব্যবহার করলে সব ধরনের কবুতর কে দিতে পারবেন।নিম পাতা ব্যবহার এর নিয়ম পরবর্তী পোষ্টএ পাবেন। 

কবুতর এর যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান এর গুরুত্ব অনেক।  কিছু প্রাকৃতিক খাদ্য যা আপনার কবুতরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করবে।

1.এ্যালোভেরা(#গ্রিতকুমারি)
2. মেথি
3. কালোজিরা
4. জাওন
5. টকদই
6. রসুন
7. কাঁচাহলুদ
8. মধু
9. আদা
10. পুদিনা_পাতা
11. থানকুনি_পাতা
12. তুলসি_পাতা
13. বাদাম
14. পেয়ারা
15. লেবু
16. নিমপাতা
17. সজনেপাতা
18. ধনিয়াপাতা
19. তিসি
20. মটর_সুটি
21. অক্কুরিতসহ_ছোলা_বুট
22. অ্যাপেল_সিডার
23. চা
25.গ্রিট

একে একে এগুলো বিস্তারিত আলোচনা করবো এছারাউ আরো আনেক প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে পোষ্ট থাকবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমাদের সাথে থাকুন.
    
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।

তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD

   *******Thank You *******



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ