Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

কবুতরের বাহ্যপরজীবি কৃমি সংক্রমণ এর কারন, প্রতিকার ও প্রতিরোধে করনীয়।



কৃমি এর খুব পরিচিত একটা নাম।এটি বিভিন্নভাবে আমাদের কবুতরের ক্ষতি করে থাকে।এটি কবুতরের অভ্যন্তরীন একটি রোগ। কবুতর এর শরীরের সাধারণত দুই ধরনের কৃমি বসবাস করে।
১. Round worms
২. Thread worms

Roundworm বা গোলকৃমি মুলত কবুতর এর অন্ত্রের প্রাচিরের মদ্ধে বসবাস করে। এবং কবুতরের শরীর থেকে খাদ্য  গ্রহন করে।ডিম পারার সময় হলে এরা অন্ত্রের উপরের অংশের প্রোভেন্টিকুলাসের কাছা কাছি জরো হয় এবং সংক্রমণ ঘটায়।ভারী সংক্রমণ এর সময় এরা সমগ্র অন্ত্রের ট্র্যাক বরাবর ছরিয়ে পরে তখন সেগুলো ডিম কবুতর এর পায়খানার সাথে বাইরে আসে এবং অন্য কবুতরের শরীরের প্রবেশ করে।এটি কবুতর এর শরীরের খুব কম সময় অবস্থান করে তবে এদের ডিম স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে আনেক দিন বাঁচতে পরে।এবং খুব দ্রুত অন্যদের মাঝে ছরিয়ে পরে এবং সংক্রমণ এর পুনরাবৃত্তি ঘটায়। এরা আকারে ১.১/২" থেকে ২" পর্যন্ত বড় হতে পারে।

 অপর দিকে Threadworms  কৃমি গুলো আকারে অনেক ছোট হয়। এরা সাধারণত ১/৪" পর্যন্তুু লম্বা হতে পারে।দেখতে ছোট আর পাতলা হলেউ এরা কবুতর এর অন্ত্রে খুব কঠিন ভাবে অবস্থান করে।এই কৃমি গুলো কবুতরের অন্ত্রের সম্মুখ প্রাচিরে অবস্থান করে এবং কবুতর এর টিস্যুকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতি করে।এবং এর প্রভাবে কবুতরের ডায়রিয়া হয় এবং ওজন হ্রাস হয়।এরা সাধারণত শীতল ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জন্মগ্রহন করে এবং পুনরাবৃত্তি ঘটায়।


কবুতর কৃমিতে আক্রান্ত হবার কারনঃ

১. লফ্ট এর স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ।
২. পর্যাপ্ত আলোবাতাস এর ব্যাবস্থা না থাকা।
৩. অপরিস্কার খাবার ও পানি।
৪. অপরিচ্ছন্ন লফ্ট ও চারিপাশ।

যেভাবে ছরায়ঃ

১. পানির মাধ্যমে।
২. খাবারের মাধ্যমে।
৩.আক্রান্ত  বাবা মায়ের মাধ্যমে।
৪. অপরিস্কার পরিবেশের কারনে।

কৃমি আক্রান্ত  কবুতরের লক্ষনঃ
১. ডায়রিয়া হওয়া।
২. দিনে দিনে শুকিয়ে যাওয়া।
৩. খাদ্য হজমে সমস্যা হওয়া।
৪. কবুতর ঝিম ধরে বসে থাকা।
৫. গায়ের পালক ফোলানো।
৬. বমি করা।
৭. ডিম এর উৎপাদন কমে যাওয়া।
৮. পাখা ঝুল যাওয়া।
৯. খাবার কম খাওয়া।
১০. বিষ্টার সাথে কৃমির টুকরা দেখা যাওয়া
১১. ফিতা কৃমির আক্রমন হলে শ্বাস কষ্ট হতে পারে।

প্রতিরোধে করনীয় কাজ গুলোঃ

১. লফ্ট পরিস্কার রাখা
২. পরিস্কার পানি ও খাবার পরিবেশন।
৩. লফ্ট এর চারিপাশ পরিস্কার রাখা।
৪. লফ্ট এর স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দুর করা।
৫. আক্রান্ত কবুতর কে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা।
৬. নিয়মিত কৃমি কোর্স করানো।


চিকিৎসা ও নিয়মিত কোর্সঃ

দুইভাবে এটা করা যেতে পারে এক ঔষুধ এর মাধ্যমে।  দুই ন্যাচারাল উপাদান এর মাধ্যমে।

ঔষুধঃ-  কৃমিনাশক।

প্রাকৃতিক উপাদানঃ নিমপাতা।

বিঃদ্রঃ  সমস্ত রোগে অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নিন।

প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।

তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD

   *******Thank You *******

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue