কবুতরের এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা মুলত ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। একে বার্ড ফ্লু ও বলা হয়ে থাকে। তবে এই ভাইরাস কবুতরের মাঝে সংক্রমণ ঘটায় কিনা এটা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা কবুতর এর জন্য কতটা ক্ষতিকর তা নিচের আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরতে চেষ্টা করবো।
Avian Influenza মুলত ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। ঐতিহাসিক ভাবে এটা ফাউল প্লাগ নামে পরিচিত। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা মুলত তিন টাইপের হয়ে থাকে, টাইপ - এ, টাইপ -বি, এবং টাইপ -সি। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা এর বেশিরভাগ ফর্মই মানুষের সাথে সম্পর্ক যুক্ত তবে (টাইপ - এ) ভাইরাসটি শুধুমাত্র ঘোরা,এবং মাঝে মাঝে পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রানির মধ্যে পাওয়ায়। টাইপ - বি শুধুমাত্র মানব শরীরে পাওয়া যায়।
এই ভাইরাসের মুলত দুইটি মাত্রায় সংক্রমণ ঘটায়।
১. Highly Pathogenic Avian Influenza
২. Low Pathogenic Avian Influenza
Highly Pathogenic Avian Influenza - সব থেকে ভয়ংকর রুপ নেয় এবং খুব দ্রুত সংক্রমণ ঘটায়।এক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ১০০% পর্যন্তুু হতে পারে।এক গ্রাম সংক্রামিত ড্রপিং ১,০০,০০০ পাখি নতুন করে সংক্রমিত হতে পারে।
Low Pathogenic Avian Influenza- এই ভাইরাস টির প্রভাব তেমন একটা নয় এর সংক্রমণ ঘটানের ক্ষমতা খুব কম। মৃতের হার ১০% পর্যন্তুু হতে পারে।
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা UK তে এটি একটি উল্লেখ যোগ্য রোগ এবং প্রানী স্বাস্থ্য আইন ১৯৮১ এর ধারা ৮৮ তে তালিকা ভুক্ত।
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা পাখির চোখ,শ্বাসপ্রশ্বাস, ড্রপিং এর মাধ্যমে স্রতের গতিতে ছরিয়ে পরে।এবং কিছু কিছু ট্রেন্ড মানুষ ও অনান্য প্রানির মাঝেউ ছরিয়ে পরতে পারে।
এভিয়ান ভাইরাসটি কবুতর ও অনান্য পাখি থেকে আলাদা করার প্রচেষ্টায় ৪১৩২ টি পাখির থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল যার মদ্যে ৪৭৩ টি কবুতর ছিল।তবে ৪৭৩ টি কবুতরের মদ্যে ৩৮৩ টি কবুতরের রক্তের নমুনা এন্টিবডির জন্য নেতিবাচক ছিলো।এন্টিবডি গুলি এমন সংক্রমণ পদার্থ যা সংক্রমণের শরীরের রক্ষাকারী নেটওয়ার্কের দ্বারা উৎপাদিত হয়।১৯৯৬ সালে প্রকাশিত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে গবেষণার দেখা গেছে কবুতরের এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ছোঁয়াচে নয় এবং কবুতরের সংক্রমণ ছরানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সংক্রমণ এর লক্ষণঃ
যেহেতু কবুতর এর সংক্রমণ এর সম্ভাবনা নেই বল্লেই চলে সেহেতু এর তেমন কোন লক্ষণ চিহ্নিত করা সম্বাবপর হয়নি।
সবুজ পাতলা পায়খানা,ঝিমানো,ক্ষুদামন্দা, হটাৎ করে মারা যাওয়া এসব সাধারন লক্ষণ হিসেবে ধরাহয়। প্যাথলজিক্যাল পরিক্ষা ছারা এ রোগ নির্ণয় সম্ভব নয়।
প্রতিরোধে ও চিকিৎসার করনিয়ঃ
যদিও এ রোগে কবুতর সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা নেই বল্লেই চলে তথাপিও আমাদের কিছু বারতি সতর্কতা প্রয়োজন।
১.লফ্টএ বহিরাগত পাখির চলাচল বন্ধ করা।
২. সঠিক পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি প্রয়োগ করা যাতে করে কবুতরের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অক্ষুন্ন থাকে।
৩. কবুতর অসুস্থ হলে অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নেয়া।
প্রয়োজনীয় পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকবেন এবং কোথাও ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।
আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ
স্ট্যাডি ও তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল,পিজন রিলেটেড বই,ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা,বিভিন্ন খামারি ও ভেটেরিয়ানদের পরামর্শ।
তথ্য সংগ্রহে এবং লেখকঃ-
জাকারিয়া হাসান এমরান
Admin
Pigeon Healthcare In BD
*******Thank You *******
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Commenting! please follow our blog and see update continue